ভারত কানাডা সম্পর্ক চরম অবনতি থাকা সত্ত্বেও কানাডার নাগরিকদের জন্য সীমিত আকারে ভিসা দেওয়ার কথা বলেছেন ভারত । আজ থেকে এ ব্যবস্থা চালুকরা হচ্ছে । গতকাল বুধবার সকালে কানাডায় ভারতীয় হাইকমিশন থেকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আপাতত ভিসা দেওয়া শুরু হবে চারটি ক্ষেত্রে। ‘এন্ট্রি ভিসা’, ‘বিজনেস ভিসা’, ‘মেডিকেল ভিসা’ ও ‘কনফারেন্স ভিসা’।
খালিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদী হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যাকাণ্ডে ভারতের হাত থাকা নিয়ে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো গুরুতর সন্দেহ প্রকাশ করার পর গত ২১ সেপ্টেম্বর থেকে কানাডার নাগরিকদের জন্য সব ধরনের ভিসা দেওয়া ভারত বন্ধ রেখেছিল। এক মাস অতিক্রান্ত হওয়ার পর সীমিত আকারে সেই পরিষেবা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো।
ভারতের এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর এখন মনে করা হচ্ছে ভারত থেকে যাঁরা বিভিন্ন কারণে (বিশেষ করে, পড়াশোনা) কানাডায় যাওয়ার আবেদন করেছেন, তাঁদের বিষয়গুলোও ত্বরান্বিত হবে। ভারতের নির্দেশ মেনে ৪১ জন কূটনীতিককে কানাডায় ফিরিয়ে নেওয়ার সময় সে দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলাইনা জোলির ইঙ্গিত ছিল, বকেয়া ভিসার আবেদনের নিষ্পত্তি হতে চলতি বছর শেষ হয়ে যাবে।
যদিও এই সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে এমন মনে করার তেমন কোনো কারণ নেই যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক দ্রুত স্বাভাবিক হতে চলেছে। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং সে দেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার সঞ্জয় কুমার ভার্মা দুজনই সম্প্রতি ভিন্ন পরিসরে জানিয়েছেন, সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে, ভারতবিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনিব্যবস্থা গৃহীত না হলে এবং উপযুক্ত নিরাপত্তার জন্য অনুকূল আবহ তৈরি না হলে কানাডার সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়া কঠিন। জয়শঙ্কর অবশ্য পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার বিষয়ে আশাবাদী।
ভারতের চণ্ডীগড়, মুম্বাই ও বেঙ্গালুরুর কনস্যুলেট অফিস কানাডা সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে। ৪১ জন কূটনীতিককে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তারা ভারতকে দোষারোপ করেছে। বলেছে, ভিয়েনা কনভেনশন ও আন্তর্জাতিক আইন মেনে ওই কাজ ভারত করেনি।
ভারতও পাল্টা ভিয়েনা কনভেনশনের উল্লেখ করে জানিয়েছে, কূটনীতিকদের নিযুক্তির ক্ষেত্রে সামঞ্জস্য রক্ষার কথা বলা হয়েছে। ভারত সেটাই করেছে। ভারতের সিদ্ধান্তের পর এখন দেখার বিষয় কানাডা তার কনস্যুলেট অফিসগুলোর কাজ কত দ্রুত শুরু করে।