ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালক রিক হক সিকদারের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ঋণখেলাপি হয়ে পড়েছে। এ জন্য ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালক হিসেবে তাঁর পদ কেন শূন্য হয়ে যাবে না, তা জানতে চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক চিঠি পাঠিয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে তাঁর পদ শূন্য হয়ে যাবে বলে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি জানিয়ে দিয়েছে।
এ নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা বলেন, পরিচালকদের ঋণ এখন নিয়মিত ভিত্তিতে তদারক করা হচ্ছে। কোনো ব্যাংকের অভিযোগ করা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হচ্ছে না। কোনো পরিচালক ঋণখেলাপি হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাঁদের কাউকে কাউকে ইতিমধ্যে পরিচালক পদ থেকে সরে যেতে হয়েছে।
জানা গেছে, সিকদার গ্রুপের প্রতিষ্ঠান বেসরকারি বিমান সংস্থা আর অ্যান্ড আর এভিয়েশনের নামে থাকা এবি ব্যাংকের ঋণ খেলাপি হয়ে গেছে, যা ধরা পড়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণ তথ্য ব্যুরোতে (সিআইবি)। এই প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার রিক হক সিকদার। এর পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংক কোম্পানি আইনের ১৭ ধারা অনুযায়ী তাঁকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
আইনের ১৭ ধারা অনুযায়ী, কোনো ব্যাংক পরিচালক ঋণ বা সুদ পরিশোধে ব্যর্থ হলে তাঁর পরিচালক পদ শূন্য হয়ে যাবে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক নোটিশ দেওয়ার দুই মাসের মধ্যে ঋণ শোধ করলে পদ শূন্য হবে না।
রিক হক সিকদারকে পাঠানো চিঠিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক লিখেছে, ‘নোটিশ প্রাপ্তির দুই মাসের মধ্যে আপনি যদি নোটিশে উল্লেখিত পরিমাণ অর্থ পরিশোধে ব্যর্থ হন, তাহলে ব্যাংক কোম্পানি আইনের ১৭ ধারার বিধান মোতাবেক নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার পর ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালক হিসেবে আপনার পদ শূন্য হবে।
এ নোটিশের বিষয়ে আপনার কোনো বক্তব্য থাকলে তা নোটিশ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকে উপস্থাপন করতে পারবেন। আপনার বক্তব্যের ওপর বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।’
কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই নোটিশ দিয়েছে গত ১৭ সেপ্টেম্বর। গত সপ্তাহ পর্যন্ত তিনি কেন্দ্রীয় ব্যাংকে কোনো বক্তব্য উপস্থাপন করেননি। এবি ব্যাংকের ঋণও নিয়মিত করা হয়নি।
এ নিয়ে জানতে ন্যাশনাল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেহমুদ হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাড়া দেননি।