প্রতি সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সদস্যরা এখন থেকে প্রতি সভায় ৭ হাজার টাকা করে পাবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের এটি সূত্র। এর আগে তারা প্রতি সভায় পেতেন ৫ হাজার টাকা করে । রবিবার (২২ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের বোর্ড মিটিংয়ে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে।
কমিটি পুনর্গঠন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নতুন কমিটিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিজস্ব কর্মকর্তাদের বাইরে প্রথমবারের মতো তিনজন বিশেষজ্ঞকে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া কমিটির আকারও কমিয়ে আনা হচ্ছে।
এদিন বোর্ড সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রানীতি পলিসি মুদ্রানীতি প্রণয়নে বর্তমানে ৯ সদস্যের কমিটি রয়েছে। এ কমিটির প্রধান গভর্নর। বাকী ৮ সদস্যের মধ্যে আছেন, চার ডেপুটি গভর্নর, প্রধান অর্থনীতিবিদ, বিএফআইইউ প্রধান, মুদ্রানীতি বিভাগের নির্বাহী পরিচালক ও পরিচালক। তবে পুনর্গঠিত কমিটি হবে ৭ সদস্যের, যার প্রধানও হবেন গভর্নর।
তবে নতুন কমিটিতে তিনজন ডেপুটি গভর্নরকে বাদ দিয়ে তাদের জায়গায় বাইরে থেকে তিনজন বিশেষজ্ঞকে যুক্ত করা হচ্ছে। তারা হলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রধান, বিআইডিএসের মহাপরিচালক ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পর্ষদ কর্তৃক মনোনীতি একজন। অপর সদস্যের মধ্যে থাকবেন মুদ্রানীতি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডেপুটি গভর্নর, নির্বাহী পরিচালক ও পরিচালক।
এছাড়াও পর্ষদ সভায় দুটি ডিজিটাল ব্যাংকের অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তাদের লেটার অব ইনটেন্ট বা সম্মতিপত্র (এলওআই) দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আরও ৬টি প্রতিষ্ঠান নীতিগত অনুমোদন পেয়েছে। সবমিলিয়ে পর্যায়ক্রমে ৮টি প্রতিষ্ঠান ডিজিটাল ব্যাংক খুলতে পারবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক জানান, যারা এলওআই পেয়েছে তাদের ৬ মাসের মধ্যে মূলধন সংগ্রহসহ শর্ত পূরণ করে কার্যক্রমে আসতে হবে। তাদের লাইসেন্সবাবদ গুণতে হবে তিন কোটি টাকা। এছাড়া ব্যাংকের সঙ্গে জড়িত তিনটি প্রতিষ্ঠানকে ডিজিটাল ব্যাংকিং উইং খোলার সময় দুই কোটি টাকা ফি দিতে হবে।