ঢাকা ০৪:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিএনপির আরও ৫১ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার

রাজধানীর কাকরাইলে মেরিনা আবাসিক হোটেল থেকে ‘ষড়যন্ত্রের পাঁয়তারা’র অভিযোগে বিএনপির ৫১ জনকে আটক করেছে বলে দাবি করেছে ডিবি পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। পরে আজ বুধবার রাতে তাঁদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য উপাদানাবলী আইনে রমনা থানায় মামলা হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার তাঁদের আদালতে হাজির করা হবে।

ডিবি মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার মো. রাজীব আল মাসুদ আজ রাতে প্রথম আলোকে বলেন, রাজধানীর মতিঝিলের কয়েকটি আবাসিক হোটেলে কিছু ব্যক্তি ‘ষড়যন্ত্রের পাঁয়তারা’ করছে-এমন তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল মঙ্গলবার রাতে সেখানে অভিযান চালানো হয়। এক পর্যায়ে কাকরাইলে মেরিনা হোটেলে অভিযান চালাতে গেলে পুলিশের ওপর ককটেল ছুড়ে মারা হয়। তবে এতে কেউ আহত হননি। এ সময় ডিবি পুলিশ সেখান থেকে স্থানীয় বিএনপির ৫১ নেতা-কর্মীকে আটক করে। তাঁদের কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে। মহানগর গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পুলিশের এক কর্মকর্তা বাদী হয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

ডিবির কর্মকর্তা রাজীব আল মাসুদ বলেন, ডিবি এ ঘটনায় বিস্ফোরক দ্রব্য উপাদানাবলী আইনে মামলা করে। মামলায় গ্রেপ্তার স্থানীয় ৫১ জন নেতা কর্মীকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা ২০০-৩০০ জনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আগামীকাল বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করা হবে। তবে আজ রাতে হোটেলের একটি সূত্র জানায়, গতকাল রাতে হোটেল থেকে তিনজনকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এর বেশ কিছুক্ষণ পর কাকরাইল মোড়ে ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়।এদিকে আদালত সূত্র জানায়, গতকাল মঙ্গলবার রাত থেকে আজ বুধবার সকাল পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার ১৯৮ জন বিএনপি নেতা কর্মীকে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে আদালত পরে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, বিএনপি নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে এর আগের মামলা রয়েছে। সেসব মামলায় এবং বুধবার রাতে হওয়া মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান চলবে।এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আজ রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মুখপাত্র মো. ফারুক হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, আগের কর্মসূচিগুলোতে বিএনপি নেতা কর্মীরা ভাঙচুর চালানোর সময় তাদের অনেককেই গ্রেপ্তার করা হয়। তখন সেই ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা হয়েছিল। সেসব মামলার আসামি হিসেবে তাদের এখন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।

বিএনপির আরও ৫১ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার

আপডেট সময় ০১:১৫:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৩

রাজধানীর কাকরাইলে মেরিনা আবাসিক হোটেল থেকে ‘ষড়যন্ত্রের পাঁয়তারা’র অভিযোগে বিএনপির ৫১ জনকে আটক করেছে বলে দাবি করেছে ডিবি পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। পরে আজ বুধবার রাতে তাঁদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য উপাদানাবলী আইনে রমনা থানায় মামলা হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার তাঁদের আদালতে হাজির করা হবে।

ডিবি মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার মো. রাজীব আল মাসুদ আজ রাতে প্রথম আলোকে বলেন, রাজধানীর মতিঝিলের কয়েকটি আবাসিক হোটেলে কিছু ব্যক্তি ‘ষড়যন্ত্রের পাঁয়তারা’ করছে-এমন তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল মঙ্গলবার রাতে সেখানে অভিযান চালানো হয়। এক পর্যায়ে কাকরাইলে মেরিনা হোটেলে অভিযান চালাতে গেলে পুলিশের ওপর ককটেল ছুড়ে মারা হয়। তবে এতে কেউ আহত হননি। এ সময় ডিবি পুলিশ সেখান থেকে স্থানীয় বিএনপির ৫১ নেতা-কর্মীকে আটক করে। তাঁদের কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে। মহানগর গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পুলিশের এক কর্মকর্তা বাদী হয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

ডিবির কর্মকর্তা রাজীব আল মাসুদ বলেন, ডিবি এ ঘটনায় বিস্ফোরক দ্রব্য উপাদানাবলী আইনে মামলা করে। মামলায় গ্রেপ্তার স্থানীয় ৫১ জন নেতা কর্মীকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা ২০০-৩০০ জনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আগামীকাল বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করা হবে। তবে আজ রাতে হোটেলের একটি সূত্র জানায়, গতকাল রাতে হোটেল থেকে তিনজনকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এর বেশ কিছুক্ষণ পর কাকরাইল মোড়ে ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়।এদিকে আদালত সূত্র জানায়, গতকাল মঙ্গলবার রাত থেকে আজ বুধবার সকাল পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার ১৯৮ জন বিএনপি নেতা কর্মীকে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে আদালত পরে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, বিএনপি নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে এর আগের মামলা রয়েছে। সেসব মামলায় এবং বুধবার রাতে হওয়া মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান চলবে।এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আজ রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মুখপাত্র মো. ফারুক হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, আগের কর্মসূচিগুলোতে বিএনপি নেতা কর্মীরা ভাঙচুর চালানোর সময় তাদের অনেককেই গ্রেপ্তার করা হয়। তখন সেই ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা হয়েছিল। সেসব মামলার আসামি হিসেবে তাদের এখন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।