ভারতের ম্যাচের আগে বাংলাদেশ দলে দুশ্চিন্তার নাম সাকিব আল হাসান। ভারতের বিপক্ষে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার খেলতে পারবেন কিনা তা নিয়ে শঙ্কা কাটেনি এখনও। স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে খেলার জন্য অবশ্য মুখিয়ে আছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। আপ্রাণ চেষ্টা করছেন ইনজুরি কাটিয়ে ম্যাচটা খেলতে।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৩ অক্টোবরের ম্যাচে ব্যাট করার সময় রান নিতে গিয়ে থাই স্ট্রেইনের চোট পেয়েছিলেন সাকিব। পরবর্তীতে বোলিং ও ফিল্ডিং করলেও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি টাইগার অধিনায়ককে।
সহকারী অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত সে সময় জানান, সাকিব তার চোটের স্ক্যান করাতে দ্রুত হাসপাতালে গিয়েছেন। পরে জানা যায়, পায়ের মাংসপেশী ছিঁড়ে গেছে সাকিবের।
গত কয়েকদিন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে দেয়া বিবৃতিতে ভারতের বিপক্ষে সাকিবের খেলা নিয়ে কোনো নিশ্চয়তা পাওয়া যায়নি।
সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে সাকিবের সবশেষ অবস্থা জানিয়ে টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, ‘যেহেতু (মাংসপেশি) ছিঁড়ে যাওয়ার ব্যাপার আছে। তবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে, যেমন হাঁটলেও ব্যথা হয়, সাকিবের ওরকম সমস্যা নেই। সে জন্যই আমরা একটু আশাবাদী।
সাকিব চাচ্ছে খেলতে, তবে এটা অবশ্যই ওর ফিটনেসের ওপর নির্ভর করছে। টুর্নামেন্টে এখনও ৬টা ম্যাচ বাকি। আমরা কেউ চাই না একটা ম্যাচ খেলে সে বাকি ম্যাচগুলো মিস করুক। তবে ফিজিওরা একটা সিদ্ধান্ত তো নেবেনই। এটা কোচের সিদ্ধান্ত নয়। সাকিবও তার ব্যাপারটা বুঝবে।’
তবে আশার কথা, ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ সামনে রেখে অনুশীলনে ফিরেছেন সাকিব। মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) সাকিব নেটে প্রায় আধাঘন্টা ব্যাটিং করেছেন। যেখানে তাকে বেশ স্বচ্ছন্দ মনে হয়েছে। যা আশার পালে নতুন করে হাওয়া দিয়েছে।
এদিন প্রথমে হালকা নকিং করেন। এরপর প্রথমে স্পিন বোলারদের মোকাবেলা করেন তিনি। পরে পেসারদেরও মুখোমুখি হন। এ সময় নেটে বড় শট খেলার চেষ্টা করেছেন সাকিব। তার পায়ের ব্যথাটা যে আর নেই, সেটা তার ব্যাটিং দেখেই বোঝা গেছে।
ব্যাটিং শুরু করার আগে হালকা ওয়ার্ম আপও করেছিলেন। সব মিলিয়ে অনুশীলন পর্বটা আশানুরূপই হয়েছে। এর আগে দুপুরে মাঠে এসেই কোচ, টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট এবং প্রধান নির্বাচককে সঙ্গে নিয়ে উইকেট দেখেছেন সাকিব।
ভারতের বিপক্ষে বরাবরই সফল সাকিব আল হাসান। ওয়ানডেতে তা সর্বোচ্চ ৯টি ফিফটি রয়েছে এই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে। তাই যেকোনো মূল্যেই ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামতে মুখিয়ে আছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক।