ঢাকা ০৪:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রংপুরে বেড়েছে আলু-পেঁয়াজের দাম ।

রংপুর বাজারে সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিতে   বেড়েছে আলুসহ বেশ কিছু সবজি । এ সাথে বেড়েছে দেশি পিঁয়াজের দাম । চলতি সপ্তাহে পিঁয়াজের দাম বেড়েছে ১০-১৫ টাকা ।  তবে কিছুটা কমেছে কাঁচামরিচ ও বেগুনের দাম। এছাড়া অপরিবর্তিত রয়েছে ডিম, চাল, ডাল, চিনি ও পোলট্রি মুরগির দাম।

রংপুরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহ ব্যবধানে খুচরা বাজারে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজের দাম ৭৫-৮০ টাকা থেকে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। তবে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে আগের মতোই ৬৫-৭০ টাকায়। কার্ডিনাল আলু গত সপ্তাহের মতোই খুচরা বাজারে ৪৫ টাকা বিক্রি হলেও বেড়েছে অন্য জাতের আলুর দাম। সাদা দেশি আলু ৫৮-৬০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৬৫ টাকা, শিল ৫৮-৬০ টাকা থেকে বেড়ে ৬৫-৭০ এবং ঝাউ আলু ৬৫ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৭০ টাকা। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে কাঁচামরিচের দাম। ১৮০-২০০ টাকা থেকে কমে এখন ১৪০-১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে কাঁচামরিচ।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে পোলট্রি মুরগির ডিমের হালি গত সপ্তাহের দরেই ৪৯-৫০ টাকা, দেশি আদা (নতুন) ২৩০-২৪০ টাকা ভারতীয় আদা ২২০-২৪০ টাকা, প্রতিকেজি টমেটো আগের মতোই ১১০-১২০ টাকা, গাজর ১১০-১২০ টাকা, প্রতিপিস চালকুমড়া ৪৫-৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৫৫-৬০ টাকা, চিকন বেগুন ৬৫-৭০ টাকা থেকে কমে ৬০ টাকা, গোল বেগুন ৮৫-৯০ টাকা থেকে কমে ৭৫-৮০ টাকা, পেঁপে ২৫-৩০ টাকা, করলা ৬৫-৭০ টাকা থেকে বেড়ে ৭৫-৮০ টাকা, বরবটি ৫০-৬০ টাকা থেকে বেড়ে ৬০-৭০ টাকা, লেবু প্রতিহালি ১২-১৫ টাকা, শুকনা মরিচ ৪৫০-৫০০ টাকা, প্রতিপিস লাউের দাম কমে (আকারভেদে) ৫০-৫৫ টাকা, ধনেপাতা ১৬০-১৭০ টাকা, কাঁচকলা প্রতিহালি ২০-২৫ টাকা, প্রতিকেজি মিষ্টিকুমড়া ৪০-৪৫ টাকা, ঝিঙে ৬৫-৭০ টাকা, দুধকুষি ৪০-৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৬৫-৭০ টাকা, পটল ৪৫-৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৬৫-৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০-৬০ টাকা থেকে বেড়ে ৬৫-৭০ টাকা, কাঁকরোল ৪০-৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৬৫-৭০ টাকা, কচুরলতি আগের মতোই ৭০-৮০ টাকা, কচুরবই ৬৫-৭০ টাকা, শিম ১৫০-১৬০ টাকা, বাঁধাকপি ৫০-৬০ টাকা, ফুলকপি ১১০-১২০ টাকা, মুলা ৪৫-৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৫৫-৬০ টাকা, দেশি রসুন আগের মতোই ২২০-২৪০ টাকা ও ভারতীয় রসুন ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে সবধরনের শাকের আঁটির দাম বেড়ে হয়েছে ২৫-৩০ টাকা।

টার্মিনাল বাজারের সবজি বিক্রেতা আতিকুল ইসলাম বলেন, বাজারে অনেক সবজির আমদানি কমে গেছে। যেসব সবজির ফলন এখন নেই সেইসব সবজির দাম বেড়েছে।

মুরগি বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে ব্রয়লার মুরগি গত সপ্তাহের মতোই ১৭০-১৮০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগি ৩০০-৩১০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৪৩০-৪৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে গরুর মাংস আগের মতোই ৭০০-৭২০ টাকা এবং ছাগলের মাংস ৮০০-৯০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া খুচরা বাজারে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন ১৭০-১৭৫ টাকা এবং দুই লিটার ৩৫৮-৩৬০ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল ১৬০-১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে খুচরা বাজারে স্বর্ণা (মোটা) চাল গত সপ্তাহের মতোই ৪৮-৫০ টাকা, পাইজাম ৫৫ টাকা, জিরাশাইল ৬০ টাকা, বিআর২৮ ৬৩-৬৫ টাকা, মিনিকেট ৬৮-৭০ টাকা ও নাজিরশাইল সামান্য কমে ৭৮-৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজার ঘুরে আরও দেখা যায়, খুচরা বাজারে খোলা চিনি গত সপ্তাহের দরেই ১৩৫-১৪০ টাকা, প্যাকেট আটা ৫০ টাকা ও খোলা আটা ৪৫ টাকা, ছোলাবুট ৯০-১০০ টাকা এবং প্যাকেট ময়দা ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মসুর ডাল (মাঝারি) ১১০-১২০ টাকা, চিকন ১৩০-১৪০ টাকা, মুগডাল ১৫০ টাকা এবং বুটডাল ৯০-১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছেএদিকে মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, আকারভেদে রুইমাছ ২৫০-৩৫০ টাকা, মৃগেল ২২০-২৫০ টাকা, কারপু ২০০-২২০ টাকা, পাঙাশ ১৫০-১৬০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০-১৬০, কাতল ৪০০-৪৫০ টাকা, বাটা ১৬০-১৮০ টাকা, শিং ৩০০-৪০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৫০-২৫০ টাকা এবং গছিমাছ ৬০০-৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

রংপুরে বেড়েছে আলু-পেঁয়াজের দাম ।

আপডেট সময় ১০:০৩:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৩

রংপুর বাজারে সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিতে   বেড়েছে আলুসহ বেশ কিছু সবজি । এ সাথে বেড়েছে দেশি পিঁয়াজের দাম । চলতি সপ্তাহে পিঁয়াজের দাম বেড়েছে ১০-১৫ টাকা ।  তবে কিছুটা কমেছে কাঁচামরিচ ও বেগুনের দাম। এছাড়া অপরিবর্তিত রয়েছে ডিম, চাল, ডাল, চিনি ও পোলট্রি মুরগির দাম।

রংপুরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহ ব্যবধানে খুচরা বাজারে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজের দাম ৭৫-৮০ টাকা থেকে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। তবে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে আগের মতোই ৬৫-৭০ টাকায়। কার্ডিনাল আলু গত সপ্তাহের মতোই খুচরা বাজারে ৪৫ টাকা বিক্রি হলেও বেড়েছে অন্য জাতের আলুর দাম। সাদা দেশি আলু ৫৮-৬০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৬৫ টাকা, শিল ৫৮-৬০ টাকা থেকে বেড়ে ৬৫-৭০ এবং ঝাউ আলু ৬৫ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৭০ টাকা। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে কাঁচামরিচের দাম। ১৮০-২০০ টাকা থেকে কমে এখন ১৪০-১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে কাঁচামরিচ।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে পোলট্রি মুরগির ডিমের হালি গত সপ্তাহের দরেই ৪৯-৫০ টাকা, দেশি আদা (নতুন) ২৩০-২৪০ টাকা ভারতীয় আদা ২২০-২৪০ টাকা, প্রতিকেজি টমেটো আগের মতোই ১১০-১২০ টাকা, গাজর ১১০-১২০ টাকা, প্রতিপিস চালকুমড়া ৪৫-৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৫৫-৬০ টাকা, চিকন বেগুন ৬৫-৭০ টাকা থেকে কমে ৬০ টাকা, গোল বেগুন ৮৫-৯০ টাকা থেকে কমে ৭৫-৮০ টাকা, পেঁপে ২৫-৩০ টাকা, করলা ৬৫-৭০ টাকা থেকে বেড়ে ৭৫-৮০ টাকা, বরবটি ৫০-৬০ টাকা থেকে বেড়ে ৬০-৭০ টাকা, লেবু প্রতিহালি ১২-১৫ টাকা, শুকনা মরিচ ৪৫০-৫০০ টাকা, প্রতিপিস লাউের দাম কমে (আকারভেদে) ৫০-৫৫ টাকা, ধনেপাতা ১৬০-১৭০ টাকা, কাঁচকলা প্রতিহালি ২০-২৫ টাকা, প্রতিকেজি মিষ্টিকুমড়া ৪০-৪৫ টাকা, ঝিঙে ৬৫-৭০ টাকা, দুধকুষি ৪০-৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৬৫-৭০ টাকা, পটল ৪৫-৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৬৫-৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০-৬০ টাকা থেকে বেড়ে ৬৫-৭০ টাকা, কাঁকরোল ৪০-৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৬৫-৭০ টাকা, কচুরলতি আগের মতোই ৭০-৮০ টাকা, কচুরবই ৬৫-৭০ টাকা, শিম ১৫০-১৬০ টাকা, বাঁধাকপি ৫০-৬০ টাকা, ফুলকপি ১১০-১২০ টাকা, মুলা ৪৫-৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৫৫-৬০ টাকা, দেশি রসুন আগের মতোই ২২০-২৪০ টাকা ও ভারতীয় রসুন ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে সবধরনের শাকের আঁটির দাম বেড়ে হয়েছে ২৫-৩০ টাকা।

টার্মিনাল বাজারের সবজি বিক্রেতা আতিকুল ইসলাম বলেন, বাজারে অনেক সবজির আমদানি কমে গেছে। যেসব সবজির ফলন এখন নেই সেইসব সবজির দাম বেড়েছে।

মুরগি বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে ব্রয়লার মুরগি গত সপ্তাহের মতোই ১৭০-১৮০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগি ৩০০-৩১০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৪৩০-৪৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে গরুর মাংস আগের মতোই ৭০০-৭২০ টাকা এবং ছাগলের মাংস ৮০০-৯০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া খুচরা বাজারে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন ১৭০-১৭৫ টাকা এবং দুই লিটার ৩৫৮-৩৬০ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল ১৬০-১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে খুচরা বাজারে স্বর্ণা (মোটা) চাল গত সপ্তাহের মতোই ৪৮-৫০ টাকা, পাইজাম ৫৫ টাকা, জিরাশাইল ৬০ টাকা, বিআর২৮ ৬৩-৬৫ টাকা, মিনিকেট ৬৮-৭০ টাকা ও নাজিরশাইল সামান্য কমে ৭৮-৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজার ঘুরে আরও দেখা যায়, খুচরা বাজারে খোলা চিনি গত সপ্তাহের দরেই ১৩৫-১৪০ টাকা, প্যাকেট আটা ৫০ টাকা ও খোলা আটা ৪৫ টাকা, ছোলাবুট ৯০-১০০ টাকা এবং প্যাকেট ময়দা ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মসুর ডাল (মাঝারি) ১১০-১২০ টাকা, চিকন ১৩০-১৪০ টাকা, মুগডাল ১৫০ টাকা এবং বুটডাল ৯০-১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছেএদিকে মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, আকারভেদে রুইমাছ ২৫০-৩৫০ টাকা, মৃগেল ২২০-২৫০ টাকা, কারপু ২০০-২২০ টাকা, পাঙাশ ১৫০-১৬০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০-১৬০, কাতল ৪০০-৪৫০ টাকা, বাটা ১৬০-১৮০ টাকা, শিং ৩০০-৪০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৫০-২৫০ টাকা এবং গছিমাছ ৬০০-৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।