মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে আইনি প্রক্রিয়া পাশ কাটিয়ে শ্রম আইন সংশোধন প্রক্রিয়া বন্ধ, অত্যাবশ্যক পরিষেবা বিল প্রত্যাহার এবং জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ঘোষণার দাবিসহ বাজার দরের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে পোশাক শ্রমিকদের মজুরি ২৩ হাজার টাকাসহ ৯ দফা দাবি জানিয়েছে শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ)।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দাবি আদায়ে আগামী ১৯ অক্টোবর শ্রম মন্ত্রীর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হবে। দাবিসমূহ উপেক্ষিত হলে আগামীতে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে স্কপের যুগ্ম সমন্বয়ক শ্রমিক নেতা শাহ মোহাম্মদ জাফর বলেন, শ্রম আইন সংশোধনের জন্য সর্বোচ্চ ফোরাম ত্রি-পক্ষীয় পরামর্শ পরিষদ বা টিসিসি। শ্রম আইন সংশোধনের লক্ষ্যে সরকারের পক্ষ থেকে একটি কমিটি করা হয়েছিল। সেই কমিটিতে শ্রমিক পক্ষের তিনজন প্রতিনিধি আছেন। শ্রম আইন সংশোধনের জন্য স্কপের পক্ষ থেকে সুপারিশ পাঠানো হয়েছিল। স্কপ সহ বিভিন্ন অংশীজনের প্রস্তাবগুলো বিবেচনা করে প্রায় এক বছর পরিশ্রম করে শ্রম আইন সংশোধনী কমিটির ওয়ার্কিং গ্রুপ একটি খসড়া সংশোধনী প্রণয়ন করেছে।
এই খসড়া চূড়ান্ত করার পর টিসিসিতে অনুমোদনের পর মন্ত্রিসভায় প্রেরণ করার কথা ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, খসড়া চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে আইনের কিছু বিষয়ে শ্রমিক পক্ষের আপত্তি উত্থাপন করা হয়। সেসব বিষয়ে আলোচনা না করেই শ্রম আইন সংশোধনী পাশ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে শ্রম আইন সংশোধনী কমিটির চূড়ান্ত অনুমোদন যেমন নেওয়া হয়নি, তেমনি টিসিসিতেও আলোচনা চূড়ান্ত না করেই মন্ত্রিসভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ মনে করে এর ফলে শ্রম আইনকে লঙ্গন করা হয়েছে। শ্রম আইন সংশোধন একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া, যেখানে শ্রমিক সংগঠন সমূহের, মালিকপক্ষ ও সরকারের প্রস্তাবগুলো পর্যালোচনা করে সংশোধনীর যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল সেই প্রক্রিয়াকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করা হচ্ছে। শ্রম আইন সংশোধনের এ প্রক্রিয়া বন্ধ করে পুনরায় আলোচনার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান তারা।
শ্রমিক নেতা রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, শ্রমিক প্রতিনিধিদের না জানিয়ে আইনটা পাশ করানো হয়েছে। আমাদের গেজেট করে ওই কমিটির সদস্য করা হয়েছিল। আইনটা পাশ করার আগে কী সংশোধন করা হল তা জানার পূর্ণ অধিকার আমাদের আছে। কিন্তু আইনের বিষয়াদি আমাদের পত্রিকার খবরের মাধ্যমে জানতে হচ্ছে।’