ঢাকা ০৫:৫৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাজায় চিকিৎসা ও খাদ্য সরবরাহ প্রত্যাখ্যান করল ইসরায়েল

গাজায় চিকিৎসা ও খাদ্য সরবরাহের অনুরোধ ইসরায়েল প্রত্যাখ্যান করেছে। প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন (পিএলও) বলেছে, তারা গাজায় খাদ্য ও চিকিৎসা সরবরাহের জন্য অনুরোধ করেছিল কিন্তু ইসরায়েল তাতে রাজি হয়নি।

পিএলও কর্মকর্তা হুসেইন আল-শেখ বলেছেন, ‘আমরা আন্তর্জাতিক মানবিক প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আগ্রাসন বন্ধ করতে, ত্রাণসামগ্রী প্রবেশের অনুমতি দিতে এবং বিদ্যুৎ ও পানি পুনরুদ্ধার করার বিষয়ে জরুরি হস্তক্ষেপের আহ্বান জানাচ্ছি। কারণ গাজা উপত্যকা একটি বড় মানবিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে।


গত শনিবার হামাস হামলা চালানোর পরেই ইসরায়েলের কর্তৃপক্ষ গাজায় বিদ্যুৎ, জ্বালানি, খাবার, পানিসহ সব ধরনের সেবা বন্ধে ‘সম্পূর্ণ অবরোধ’ দেওয়ার পর সংকটে গাজার সাধারণ মানুষ। ফলে গাজা উপত্যকা একটি বড় মানবিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে। গাজায় প্রায় ২৩ লাখ মানুষ বসবাস করে, যাদের ৮০ শতাংশ সাহায্যের ওপর নির্ভর করে চলে। অনেকেই বর্তমানে বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সেবা ছাড়াই আছেন।

ইতিমধ্যে হয়তো প্রয়োজনীয় খাদ্য ও পানি সরবরাহও বন্ধ হয়ে গেছে। কর্তৃপক্ষ সতর্ক করেছে, গাজা উপত্যকার জ্বালানি শেষ হয়ে যাবে। এর আগে গতকাল গাজা উপত্যকার ২০০টিরও বেশি স্থানে রাতভর হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। যার মধ্যে গাজা শহরের রিমালপাড়া এবং খান ইউনিস শহরও রয়েছে।

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে, যেসব জায়গায় হামলা করা হয়েছে তার মধ্যে একটি মসজিদ ও অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে। মসজিদের ভেতরে অস্ত্র রাখার জায়গা ছিল এবং কথিত এক হামাস কমান্ডারের বাড়িতেও হামলা চালায় তারা।
হামাস ও ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা-পাল্টাহামলা চলছেই। হামলায় এখন পর্যন্ত উভয় পক্ষের দুই হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে। নিহতদের মধ্যে ১২০০ ইসরায়েলি এবং ৯০০ জন ফিলিস্তিনি রয়েছে।

ট্যাগস

গাজায় চিকিৎসা ও খাদ্য সরবরাহ প্রত্যাখ্যান করল ইসরায়েল

আপডেট সময় ১২:৫৫:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ অক্টোবর ২০২৩

গাজায় চিকিৎসা ও খাদ্য সরবরাহের অনুরোধ ইসরায়েল প্রত্যাখ্যান করেছে। প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন (পিএলও) বলেছে, তারা গাজায় খাদ্য ও চিকিৎসা সরবরাহের জন্য অনুরোধ করেছিল কিন্তু ইসরায়েল তাতে রাজি হয়নি।

পিএলও কর্মকর্তা হুসেইন আল-শেখ বলেছেন, ‘আমরা আন্তর্জাতিক মানবিক প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আগ্রাসন বন্ধ করতে, ত্রাণসামগ্রী প্রবেশের অনুমতি দিতে এবং বিদ্যুৎ ও পানি পুনরুদ্ধার করার বিষয়ে জরুরি হস্তক্ষেপের আহ্বান জানাচ্ছি। কারণ গাজা উপত্যকা একটি বড় মানবিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে।


গত শনিবার হামাস হামলা চালানোর পরেই ইসরায়েলের কর্তৃপক্ষ গাজায় বিদ্যুৎ, জ্বালানি, খাবার, পানিসহ সব ধরনের সেবা বন্ধে ‘সম্পূর্ণ অবরোধ’ দেওয়ার পর সংকটে গাজার সাধারণ মানুষ। ফলে গাজা উপত্যকা একটি বড় মানবিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে। গাজায় প্রায় ২৩ লাখ মানুষ বসবাস করে, যাদের ৮০ শতাংশ সাহায্যের ওপর নির্ভর করে চলে। অনেকেই বর্তমানে বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সেবা ছাড়াই আছেন।

ইতিমধ্যে হয়তো প্রয়োজনীয় খাদ্য ও পানি সরবরাহও বন্ধ হয়ে গেছে। কর্তৃপক্ষ সতর্ক করেছে, গাজা উপত্যকার জ্বালানি শেষ হয়ে যাবে। এর আগে গতকাল গাজা উপত্যকার ২০০টিরও বেশি স্থানে রাতভর হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। যার মধ্যে গাজা শহরের রিমালপাড়া এবং খান ইউনিস শহরও রয়েছে।

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে, যেসব জায়গায় হামলা করা হয়েছে তার মধ্যে একটি মসজিদ ও অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে। মসজিদের ভেতরে অস্ত্র রাখার জায়গা ছিল এবং কথিত এক হামাস কমান্ডারের বাড়িতেও হামলা চালায় তারা।
হামাস ও ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা-পাল্টাহামলা চলছেই। হামলায় এখন পর্যন্ত উভয় পক্ষের দুই হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে। নিহতদের মধ্যে ১২০০ ইসরায়েলি এবং ৯০০ জন ফিলিস্তিনি রয়েছে।