ঢাকা ০৬:৪০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তিস্তা অংশে বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় হঠাৎ বন্যায় ভোগান্তিতে তিস্তাপাড়ের মানুষ

ভারতের উত্তর সিকিমে তিস্তা অংশে বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় পানির ঢল এবং টানা বৃষ্টিতে তিস্তায় দেখা দিয়েছে বন্যা। এতে তিস্তার দুই পাড়ের নিম্নাঞ্চলসহ চরাঞ্চল পানিতে ডুবে গেছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।

বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় দোয়ানী পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার নিচ পানি প্রবাহিত হলেও কাউনিয়া পয়েন্টে ২৫ সেন্টিমিটার ওপরে রেকর্ড করা হয়। এর আগে দুপুর ১২টায় ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬৮ সেন্টিমিটার নিচে ও কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হয়।

এদিকে হঠাৎ পনবন্যায় তিস্তার চরাঞ্চলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ও দমকা বাতাসে বিপাকে পড়েছেন বানভাসী মানুষ।গরু-ছাগল নিয়ে ঠাঁই নিয়েছেন আশ্রয়কেন্দ্রে, কেউবা উঁচু রাস্তায়। উৎকণ্ঠায় রাত পার করলেও পানি নেমে যেতে শুরু করায় এখন কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। তবে বন্যা পরবর্তী ভাঙনের আশঙ্কায় রয়েছেন তিস্তা পাড়ের হাজারো মানুষ।লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার গোবর্দ্ধন এলাকার ফজর আলী বলেন, চরে ৫ দোন জমিতে রোপা আমন ধান করেছি, ধান কাটার সময়ও চলে আসছে। হঠাৎ পানি আসায় সব ডুবে আছে। কতটুকু ধান থাকবে বলা মুশকিল।

একই এলাকার কৃষক আমিনুর রহমান বলেন, চরে কয়েকদিন আগে ধান কেটে রেখেছি। হালকা বৃষ্টি হওয়ায় বাড়িতে নিয়ে আসিনি। পানি আসার খবরে কোনো রকমে ভেজা ধান নিয়ে আসছি। বৃষ্টি পড়ছে। তাই ধান মাড়াই করতেও পারছি না।আদিতমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ওমর ফারুক বলেন, বন্যার পানিতে চরের সবজিক্ষেত, আলু, রোপা আমনসহ বিভিন্ন ফসল ডুবে আছে। মাঠ পর্যায়ে আমাদের লোকজন কাজ করছে। এখনো ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণ করা সম্ভব হয়নি।

আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জি আর সারোয়ার বলেন, বন্যা দুর্গত মানুষদের খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সরকারি সহযোগিতা প্রদান করা হবে। যেকোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমরা প্রস্তুত রয়েছি।লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার বলেন, তিস্তার দোয়ানি পয়েন্টে পানি কমতে শুরু করায় আদিতমারী ও লালমনিরহাট সদর বন্যার আশঙ্কামুক্ত। আমরা সার্বিক খোঁজখবর রাখছি।

তিস্তা অংশে বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় হঠাৎ বন্যায় ভোগান্তিতে তিস্তাপাড়ের মানুষ

আপডেট সময় ০৪:৪৫:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৩

ভারতের উত্তর সিকিমে তিস্তা অংশে বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় পানির ঢল এবং টানা বৃষ্টিতে তিস্তায় দেখা দিয়েছে বন্যা। এতে তিস্তার দুই পাড়ের নিম্নাঞ্চলসহ চরাঞ্চল পানিতে ডুবে গেছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।

বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় দোয়ানী পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার নিচ পানি প্রবাহিত হলেও কাউনিয়া পয়েন্টে ২৫ সেন্টিমিটার ওপরে রেকর্ড করা হয়। এর আগে দুপুর ১২টায় ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬৮ সেন্টিমিটার নিচে ও কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হয়।

এদিকে হঠাৎ পনবন্যায় তিস্তার চরাঞ্চলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ও দমকা বাতাসে বিপাকে পড়েছেন বানভাসী মানুষ।গরু-ছাগল নিয়ে ঠাঁই নিয়েছেন আশ্রয়কেন্দ্রে, কেউবা উঁচু রাস্তায়। উৎকণ্ঠায় রাত পার করলেও পানি নেমে যেতে শুরু করায় এখন কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। তবে বন্যা পরবর্তী ভাঙনের আশঙ্কায় রয়েছেন তিস্তা পাড়ের হাজারো মানুষ।লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার গোবর্দ্ধন এলাকার ফজর আলী বলেন, চরে ৫ দোন জমিতে রোপা আমন ধান করেছি, ধান কাটার সময়ও চলে আসছে। হঠাৎ পানি আসায় সব ডুবে আছে। কতটুকু ধান থাকবে বলা মুশকিল।

একই এলাকার কৃষক আমিনুর রহমান বলেন, চরে কয়েকদিন আগে ধান কেটে রেখেছি। হালকা বৃষ্টি হওয়ায় বাড়িতে নিয়ে আসিনি। পানি আসার খবরে কোনো রকমে ভেজা ধান নিয়ে আসছি। বৃষ্টি পড়ছে। তাই ধান মাড়াই করতেও পারছি না।আদিতমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ওমর ফারুক বলেন, বন্যার পানিতে চরের সবজিক্ষেত, আলু, রোপা আমনসহ বিভিন্ন ফসল ডুবে আছে। মাঠ পর্যায়ে আমাদের লোকজন কাজ করছে। এখনো ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণ করা সম্ভব হয়নি।

আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জি আর সারোয়ার বলেন, বন্যা দুর্গত মানুষদের খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সরকারি সহযোগিতা প্রদান করা হবে। যেকোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমরা প্রস্তুত রয়েছি।লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার বলেন, তিস্তার দোয়ানি পয়েন্টে পানি কমতে শুরু করায় আদিতমারী ও লালমনিরহাট সদর বন্যার আশঙ্কামুক্ত। আমরা সার্বিক খোঁজখবর রাখছি।