ঢাকা ০৩:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
Logo স্বৈরাচারের দোসররা পরিকল্পিতভাবে নানা ঘটনা ঘটাচ্ছে: মির্জা ফখরুল Logo নরেন্দ্র মোদিকে খুনের হুমকি Logo যাত্রাবাড়ীতে ফের হাসনাত-সারজিসের গাড়িতে ট্রাকের ধাক্কা Logo বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার সময় ‘মিয়ানমার নৌবাহিনীর গুলিতে’ বাংলাদেশি জেলে আহত Logo সাম্প্রদায়িক উসকানিতে পা না দিয়ে দেশবাসীকে সজাগ থাকাতে হবে: মামুনুল হক Logo ঝালকাঠিতে সম্পত্তি লিখে নিতে বাবাকে ৮ দিন তালাবদ্ধ করে রাখলেন মেয়েরা Logo চীন সরকারের আমন্ত্রণে, চীন সফরে গেলেন জামায়াত ও অন্যান্য দলের প্রতিনিধিরা Logo ১৫ বছর পর রিয়াল মাদ্রিদকে হারিয়ে লিভারপুলের জয় Logo ২০০ টাকার হিসাব দিতে না পারায় স্বামীর হাতে প্রাণ গেল স্ত্রীর Logo কর ফাঁকির ২ মামলা থেকে তারেক রহমানকে অব্যাহতি

এ সরকারের পদত্যাগ ছাড়া কোনো নির্বাচন নয় : মির্জা ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে দেশে আর কোনো নির্বাচন হবে না। এই সরকারকে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে। পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে।

রবিবার বিকেলে সিলেট নগরীর আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল আয়োজিত ‘তারুণ্যের সমাবেশে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।

সমাবেশে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ বলে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। কিন্তু কোন সংবিধান? যে সংবিধান আওয়ামী লীগ নিজেরাই কাটছাঁট করে নিজেদের মতো করেছে, সেই সংবিধান অনুযায়ী তারা নির্বাচন করতে চায়। অথচ বাংলাদেশের জনগণ আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে-নির্বাচন হবে নির্দলীয় সরকারের অধীনে। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। বিশেষত আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না। তার প্রমাণ গত দুটি নির্বাচনে পাওয়া গেছে। দেশে এখন কারো ভোটাধিকার নেই। জনগণ ভোট দিতে পারে না। ভোটাধিকারের কথা বললে হামলা, নির্যাতন, গুম, খুন করা হয়।

স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, আওয়ামী লীগ কথায় কথায় উন্নয়নের কথা বলে। অথচ উন্নয়নের নামে তারা লুটপাট করছে। শতভাগ বিদ্যুতের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটে নেয়া হয়েছে। সরকারি গবেষণা সংস্থাই বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সাথে করা চুক্তিকে অপচুক্তি ও লুটেরা মডেল বলেছে। গত এক বছরে ২৪ হাজার কোটি টাকা লুট হয়েছে বলে সরকারি সংস্থার পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে। আদতে গত দুই বছরে বিদ্যুত খাতে ১ লক্ষ ৪৮ হাজার কোটি টাকা লুট করা হয়েছে। কেবল বিদ্যুৎ নয়, সবক্ষেত্রেই লুটপাট চলছে। যে পদ্মাসেতু নির্মাণে ১০ হাজার কোটি টাকা প্রয়োজন সেটির জন্য ২০ হাজার কেটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। দুর্নীতি করে স্বাস্থ্য ও শিক্ষাখাতকে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, সরকার কেবল রাস্তাঘাট বানাচ্ছে, কিন্তু কোনো কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছে না। দেশে লাখ লাখ লোক বেকার। কৃষক ফসলের দাম পায় না। অথচ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। মানুষ খেতে পারছে না। এই হলো আওয়ামী লীগের উন্নয়ন।

১২ জুলাই ঢাকায় তারুণ্যের সমাবেশ হবে জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, এই সমাবেশের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ হবে। এই সমাবেশ থেকে সমগ্র তরুণ সমাজ দেশকে পুণরুদ্ধারের জন্য, গণতন্ত্র পুণরুদ্ধারের জন্য রাস্তায় নেমে আসবে। ১২ জুলাই ঢাকার সমাবেশ থেকে বর্তমান সরকারের পদত্যাগে এক দফা কর্মসূচি দেয়া হবে। আন্দোলনের মাধ্যমেই সরকারকে হটাতে হবে।

সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্যে যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, তরুণরা জেগে উঠলে কোনো স্বৈরশাসকই ক্ষমতায় টিকতে পারেনি। এই সরকারও টিকে থাকতে পারবে না।

এ সময় উপস্থিত নেতাকর্মীদের সরকার পতন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া ও ঘরে না ফেরার শপথবাক্য পাঠ করান যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।

যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, স্বেচ্ছাসেবকল দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান ও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ বক্তার বক্তব্য রাখেন ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ।

এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হোসেন জীবন, বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা তাহসীনা রুশদীর লুনা, জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, মহানগর কমিটির সভাপতি নাসিম হোসাইন প্রমুখ।

ট্যাগস
সর্বাধিক পঠিত

স্বৈরাচারের দোসররা পরিকল্পিতভাবে নানা ঘটনা ঘটাচ্ছে: মির্জা ফখরুল

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

এ সরকারের পদত্যাগ ছাড়া কোনো নির্বাচন নয় : মির্জা ফখরুল

আপডেট সময় ০৮:২১:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ জুলাই ২০২৩

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে দেশে আর কোনো নির্বাচন হবে না। এই সরকারকে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে। পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে।

রবিবার বিকেলে সিলেট নগরীর আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল আয়োজিত ‘তারুণ্যের সমাবেশে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।

সমাবেশে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ বলে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। কিন্তু কোন সংবিধান? যে সংবিধান আওয়ামী লীগ নিজেরাই কাটছাঁট করে নিজেদের মতো করেছে, সেই সংবিধান অনুযায়ী তারা নির্বাচন করতে চায়। অথচ বাংলাদেশের জনগণ আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে-নির্বাচন হবে নির্দলীয় সরকারের অধীনে। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। বিশেষত আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না। তার প্রমাণ গত দুটি নির্বাচনে পাওয়া গেছে। দেশে এখন কারো ভোটাধিকার নেই। জনগণ ভোট দিতে পারে না। ভোটাধিকারের কথা বললে হামলা, নির্যাতন, গুম, খুন করা হয়।

স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, আওয়ামী লীগ কথায় কথায় উন্নয়নের কথা বলে। অথচ উন্নয়নের নামে তারা লুটপাট করছে। শতভাগ বিদ্যুতের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটে নেয়া হয়েছে। সরকারি গবেষণা সংস্থাই বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সাথে করা চুক্তিকে অপচুক্তি ও লুটেরা মডেল বলেছে। গত এক বছরে ২৪ হাজার কোটি টাকা লুট হয়েছে বলে সরকারি সংস্থার পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে। আদতে গত দুই বছরে বিদ্যুত খাতে ১ লক্ষ ৪৮ হাজার কোটি টাকা লুট করা হয়েছে। কেবল বিদ্যুৎ নয়, সবক্ষেত্রেই লুটপাট চলছে। যে পদ্মাসেতু নির্মাণে ১০ হাজার কোটি টাকা প্রয়োজন সেটির জন্য ২০ হাজার কেটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। দুর্নীতি করে স্বাস্থ্য ও শিক্ষাখাতকে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, সরকার কেবল রাস্তাঘাট বানাচ্ছে, কিন্তু কোনো কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছে না। দেশে লাখ লাখ লোক বেকার। কৃষক ফসলের দাম পায় না। অথচ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। মানুষ খেতে পারছে না। এই হলো আওয়ামী লীগের উন্নয়ন।

১২ জুলাই ঢাকায় তারুণ্যের সমাবেশ হবে জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, এই সমাবেশের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ হবে। এই সমাবেশ থেকে সমগ্র তরুণ সমাজ দেশকে পুণরুদ্ধারের জন্য, গণতন্ত্র পুণরুদ্ধারের জন্য রাস্তায় নেমে আসবে। ১২ জুলাই ঢাকার সমাবেশ থেকে বর্তমান সরকারের পদত্যাগে এক দফা কর্মসূচি দেয়া হবে। আন্দোলনের মাধ্যমেই সরকারকে হটাতে হবে।

সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্যে যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, তরুণরা জেগে উঠলে কোনো স্বৈরশাসকই ক্ষমতায় টিকতে পারেনি। এই সরকারও টিকে থাকতে পারবে না।

এ সময় উপস্থিত নেতাকর্মীদের সরকার পতন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া ও ঘরে না ফেরার শপথবাক্য পাঠ করান যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।

যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, স্বেচ্ছাসেবকল দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান ও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ বক্তার বক্তব্য রাখেন ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ।

এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হোসেন জীবন, বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা তাহসীনা রুশদীর লুনা, জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, মহানগর কমিটির সভাপতি নাসিম হোসাইন প্রমুখ।