নওগাঁয় এক কলেজ শিক্ষার্থীকে মাদক মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগ করা হয়েছে । এলাকায় না থাকলেও চোরাচালান করা মাদকের সাথে নাম যুক্ত করা হয়েছে ওই শিক্ষার্থীর।ওই শিক্ষাথীীর নাম তানভির আলম। এ মামলা থেকে নাম প্রত্যারের দাবীতে তিনি সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সংবাদ সম্মেলেনে তিনি দাবী করেন সম্প্রতি নওগাঁর ধামইরহাট থানায় ১৪ বিজিবি’র দায়ের করা মাদক চোরাচালান সংক্রান্ত করা মামলায় তাকে জড়ানো হয়েছে শুধু মাত্র ব্যাক্তি আক্রোশে।
তানভীরের দাবি তিনি কোনভাবেই মাদক ব্যবসা বা মাদক সংশ্লিষ্ট কোন কাজের সাথে সম্পৃক্ত নন। তিনি একজন কলেজ ছাত্র । তিনি ঘটনার সময় ঢাকায় ছিলেন।অথচ বিজিবি’র পরিত্যক্ত অবস্থায় মাদক( ফেনসিডিল) উদ্ধারের মামলায় তাকে সহ নিরাপরাধ এলাকার আরো ৩ জনকে আসামী করা হয়েছে। তিনি এই ঘটনার সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে মামলা থেকে তার নিজের সহ মুকুল,স্বাধীন ও উজ্জ্বলের নাম প্রত্যাহার দাবি করেন। তানভীর আলম জেলার ধামইরহাট উপজেলার কালুপাড়া গ্রামের আব্দুস সেলিমের ছেলে।
নওগাঁ বাইপাস সড়কের পাশে একটি হোটেলের ১৯ জুন দুপুরে অনুষ্টিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তানভীর আলম বলেন, ধামইরহাট সীমান্তের কালুপাড়া এলাকা থেকে গত ১৬ জুন গভীর রাতে ১৪ বিজিবি ১৪৮ বোতল ফেনসিডিল সিরাপ পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে। পরদিন বিজিবি’র পক্ষ থেকে কালুপাড়া ক্যাম্পের নায়েক মিজানুর রহমান ৮ জনের নাম উল্লেখ করে ধামইরহাট থানায় মাদক চোরাচালান সংক্রান্ত মামলা করেন। মামলায় তানভীর আলম, স্বাধীন, উজ্জ্বল, মুকুল সহ ৮ জনকে আসামী করা হয়েছে। ঘটনার সময় আমি ঢাকায় ছিলাম এই ঘটনাসহ মাদক ব্যবসার সাথে আমি কোনভাবেই সম্পৃক্ত নই। অথচ অন্যায় ভাবে অন্যের প্ররোচনায় ওই মামলায় আমাকেসহ মুকুল,স্বাধীন ও উজ্জ্বলকে জড়ানো হয়েছে। আমরা এই ঘটনার সুষ্টু ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে ওই মামলা থেকে আমাদের নাম প্রত্যাহার দাবি জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে তানভীর আলমের বাবা আব্দুস সেলিম,বড় বাবা আব্দুর রহিম ও এই মামলার সাক্ষী দেলদার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে মামলার বাদি ১৪ বিজিবি’র কালুপাড়া ক্যাম্পের নায়েক মিজানুর রহমানের সাথে যোযোগ করা হলে তিনি বলেন,তানভীরসহ অন্যরা মাদক চোরাকারবারের সাথে জড়িত সঠিক তথ্য প্রমাণের ভিত্তিত্বে তাদেরকে আসামী করা হয়েছে। কলেজ শিক্ষার্থীর কাছ থেকে অর্থদাীর কথা তিনি অ স্বীকার করেন ।
১৪ বিজিবি’র কমান্ডিং অফিসার লে, কর্ণেল হামিদ উদ্দিন জানান,আমরা গোয়েন্দা তথ্য ও অনুসন্ধানের ভিত্তিত্বে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত আসামীরা মাদক চোরাকারবারের সাথে সম্পৃক্ত। তবে এ বিষয়টি নিয়ে যেহেতু কথা উঠেছে আমরা বিষয়টি আরো অধিকতর তদন্ত করে দেখবো। তারা নিরাপরাধ হলে অবশ্যই মামলা থেকে অব্যাহতি পাবে।