নওগাঁয় এবার আমের ভালো ফলন হয়েছে । গেলো বার এ জেলা থেকে ৭৭ মেট্রিন আম বিদেশে রপ্তানী করা হয় । আমের গুনগতমান ভালো পাওয়ায় এবার ৫শ মেট্রিক টন আম রপ্তানীর অর্ডার পেয়েছে বাগান মালিকরা ।
আর রপ্তানী উপযোগী আম উৎপাদনে বাগান গুলোতে নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা ।গাছে থোকায় থোকায় ঝুলছে আম । স্থানীয় চাহিদা পুরণের পাশাপাশী এসব আম বিদেশে রপ্তানী করার জন্য নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা । রুপালী বারিফোর ব্যানানা জাতের আম পরিপক্ক হওয়ার অন্তত ১ মাস আগে ভরা হয়েছে হলুদ রংয়ের বিশেষ ব্যাগে । নওগাঁর বরেন্দ্র এলাকার বাগান গুলোতে বিদেশে রপ্তানীর জন্য এসব আমে চলছে বাড়তি পরিচর্যা ।
গেলো বছর এ জেলা থেকে ৭৭ মেট্রিক টন আম বিদেশে যায় । এসব আমের গুনগত মান ভালো পাওয়ায় চলতি বছর ৫শ মেট্রিক টনের উপরে আম মধ্যেপ্রাচ্য, যুক্তরাজ্য সহ বেশ কয়েকটি দেশে রপ্তানীর অর্ডার পেয়েছে নওগাঁর বাগান মালিকরা । তবে আম রপ্তানীতে বেশ কিছু বাঁধা রয়েছে । এসব বাঁধা দুর করতে প্রশাসনের সহযোগিতা চান তারা । বাগান মালিকদের মধ্যে নওগাঁর সাপাহারের তরুণ উদ্য্যাক্তা সোহেল রানা বলেন, সাপাহারে একটি আম প্যাকিং হাউস করা প্রয়োজন । তা না হলে যখন আম গুলো আমরা শ্যামপুর নিয়ে যাচ্ছি তখন অনেক আম নষ্ট হচ্ছে তা ছাড়া নওগাঁর আম ঢাকার ব্যবসায়ীরা কিনে বিদেশে প্রেরণ করে । যা অনেক সময় গুনগত মান নিশ্চিত হয়না এ বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে ।
গত ২৮ মে থেকে পরিপক্ক আম আসতে শুরু করেছে জেলার হাট গুলোতে । এবার মওসুমের শুরতেই কিছুটা দর কম । বাগান মালিকদের দাবী আমের কাংখিত দাম না পেলে আগামীতে উৎসাহ হারাবে চাষীরা । সাপাহারের আর একজন ব্যবসায়ী ফায়সাল শেখ বলেন । দিন দিন আমের বাগান গড়ে তোলা হচ্ছে এসব আমের সটিক বাজার আমাদের এখন বেশি প্রয়োজন ।
আমের গুন গতমান বৃদ্ধি করে রপ্তানী উপযোগী করতে বাগান মালিকদের সার্বিক সহযোগিতা দেওয়ার আশ্বাস প্রশাসনের । নওগাঁ জেলা প্রশাসক মো: খালিদ মেহেদী হাসান বলেন আমরা বিদেশে আম রপ্তানীর জন্য বাগান মালিকদের বিশেষ সুযোগ সুবিধা দেওয়া জন্য কাজ করছি । নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর প্রশিক্ষন অফিসার মো: মুনজুর এ মওলা বলেন, আমাদের লক্ষ হলো গেলো বারের চেয়ে বেশি আম বিদেশে রপ্তানী করা । এ লক্ষে চাষীদের বাছাই করে উচ্চমান সম্পন্ন আম তৈরি করা । এবং বাগান মালিকদের গুনগত মান বজায় রাখার জন্য প্রশিক্ষন দেওয়া হচ্ছে ।
জেলায় ছোট বড় আমের বাগান রয়েছে ১০ হাজারের উপরে । এবার ৩০ হাজার হেক্টর জমির বাগান থেকে প্রায় ৪ লাখ মেট্রিক টন আম পাওয়ার আশা করছে কৃষি বিভাগ ।