ঢাকা ০২:৪৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তত্বাবধায়ক সরকারের আর ফিরে আসার সুযোগ নেই: তথ্যমন্ত্রী

তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে না জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন সরকারের অধীনে হয় না। নির্বাচন হয় নির্বাচন কমিশনের অধীনে।

তফসিল ঘোষণার পর সরকারের একজন ওসি, ইউএনও কিংবা দারোগা বদলি করার ক্ষমতাও থাকে না। এ সমস্ত চাকরি সবগুলো নির্বাচন কমিশনের হাতে ন্যস্ত হয়। সরকার শুধুমাত্র রুটিন কাজ করে। পৃথিবীর কোথাও এখন তত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা নেই, আছে শুধু পাকিস্তানে। বিএনপি তো পাকিস্তানকে অনুকরণ করে। আমাদের দেশে ভোট হবে সেইভাবে, যেভাবে অস্ট্রেলিয়ায় হয়, ইন্ডিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কন্টিনেন্টাল ইউরোপ, জাপানে হয়, সেভাবে হবে। সেখানে যখন ভোট হয়, সরকার রুটিন কাজ করে। তাদের অধীনে নির্বাচন হয় না। আমাদের দেশেও তাই হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা অবশ্যই চাই ইভিএম। যে আধুনিক যন্ত্র দিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ভোট হয়। এতে কারচুপি করার সুযোগ নেই। কিন্তু ইভিএম কিনতে গিয়ে নির্বাচন কমিশন পৌনে ৯ হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাব দিয়েছিল। অর্থাৎ এক বিলিয়ন ডলারের একটি প্রস্তাব। এ টাকায় ইভিএম মেশিন আমদানি করতে হবে। বিশ্ব প্রেক্ষাপটে এই সময়ে এত বড় প্রকল্প পাস করে ইভিএম কেনা, অর্থনীতির জন্য বিশ^ প্রেক্ষাপটে সমীচিন নয়। বিশ^মন্দার মধ্যে মানুষের অন্য কল্যাণগুলো আমাদের কাছে অগ্রাধিকার পেয়েছে। সে জন্য আমরা ইভিএম চাইলেও বর্তমান বাস্তবতার প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন যত আসনে ইভিএম করুক, আমরা সেটি মেনে নেব। কারণ, মানুষের কল্যাণই আমাদের কাছে প্রাধান্য পায়।’

সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বেগম আখতার জাহান, মেরিনা আখতার কবিতা, মাগুরার এমপি সাইফুজ্জামান শিখর, নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, জেলার সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াদুদ দারা, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। পরিচালনা করেন মহানগরের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার।#

 

ট্যাগস

তত্বাবধায়ক সরকারের আর ফিরে আসার সুযোগ নেই: তথ্যমন্ত্রী

আপডেট সময় ০৭:৫৯:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৩

তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে না জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন সরকারের অধীনে হয় না। নির্বাচন হয় নির্বাচন কমিশনের অধীনে।

তফসিল ঘোষণার পর সরকারের একজন ওসি, ইউএনও কিংবা দারোগা বদলি করার ক্ষমতাও থাকে না। এ সমস্ত চাকরি সবগুলো নির্বাচন কমিশনের হাতে ন্যস্ত হয়। সরকার শুধুমাত্র রুটিন কাজ করে। পৃথিবীর কোথাও এখন তত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা নেই, আছে শুধু পাকিস্তানে। বিএনপি তো পাকিস্তানকে অনুকরণ করে। আমাদের দেশে ভোট হবে সেইভাবে, যেভাবে অস্ট্রেলিয়ায় হয়, ইন্ডিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কন্টিনেন্টাল ইউরোপ, জাপানে হয়, সেভাবে হবে। সেখানে যখন ভোট হয়, সরকার রুটিন কাজ করে। তাদের অধীনে নির্বাচন হয় না। আমাদের দেশেও তাই হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা অবশ্যই চাই ইভিএম। যে আধুনিক যন্ত্র দিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ভোট হয়। এতে কারচুপি করার সুযোগ নেই। কিন্তু ইভিএম কিনতে গিয়ে নির্বাচন কমিশন পৌনে ৯ হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাব দিয়েছিল। অর্থাৎ এক বিলিয়ন ডলারের একটি প্রস্তাব। এ টাকায় ইভিএম মেশিন আমদানি করতে হবে। বিশ্ব প্রেক্ষাপটে এই সময়ে এত বড় প্রকল্প পাস করে ইভিএম কেনা, অর্থনীতির জন্য বিশ^ প্রেক্ষাপটে সমীচিন নয়। বিশ^মন্দার মধ্যে মানুষের অন্য কল্যাণগুলো আমাদের কাছে অগ্রাধিকার পেয়েছে। সে জন্য আমরা ইভিএম চাইলেও বর্তমান বাস্তবতার প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন যত আসনে ইভিএম করুক, আমরা সেটি মেনে নেব। কারণ, মানুষের কল্যাণই আমাদের কাছে প্রাধান্য পায়।’

সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বেগম আখতার জাহান, মেরিনা আখতার কবিতা, মাগুরার এমপি সাইফুজ্জামান শিখর, নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, জেলার সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াদুদ দারা, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। পরিচালনা করেন মহানগরের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার।#