৭৬ বছরে পা দিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ১৯৪৮ সালের এই দিনে ঠাকুরগাঁও জেলার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।
বিশেষ এ দিনে তাকে শুভেচ্ছায় সিক্ত করছেন দলের নেতারা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও শুভেচ্ছায় ভাসাচ্ছেন তার ভক্ত-অনুসারীরা।
মির্জা ফখরুলের বাবার নাম মির্জা রুহুল আমিন ও মাতা মির্জা ফাতেমা আমিন। বাবা ছিলেন একজন আইনজীবী, যিনি ঠাকুরগাঁওয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার আগে ও পরে একাধিকবার সংসদ সদস্য (এমপি) নির্বাচিত হয়েছিলেন।
মির্জা ফখরুলের দুই মেয়ে। বড় মেয়ে মির্জা শামারুহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা শেষে সেখানেই শিক্ষকতা করেছেন। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় পোস্ট ডক্টরাল ফেলো হিসেবে কর্মরত আছেন। ছোট মেয়ে মির্জা সাফারুহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা শেষে একটি স্কুলে শিক্ষকতা করছেন।
তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রিধারী। বর্তমানে বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
দলের ২০১৬ সালে দলের ৬ষ্ঠ কাউন্সিলে মির্জা ফখরুল বিএনপির মহাসচিব নির্বাচিত হন। এর আগে তিনি দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ছিলেন। ২০১১ সালের মার্চে দলের মহাসচিব খন্দকার দেলওয়ার হোসেনের মৃত্যুর পর তিনি দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব হন। এরপর টানা পাঁচ বছর ভারপ্রাপ্ত হিসেবেই তিনি এই দায়িত্ব পালন করেন।
মির্জা ফখরুল ঠাকুরগাঁও-১ আসন থেকে ১৯৯১, ১৯৯৬ এবং ২০০১ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে বিএনপি সরকারের মন্ত্রিসভায় প্রথমে কৃষি প্রতিমন্ত্রী পরে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
শিক্ষাজীবনে মির্জা ফখরুল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি সেখানকার ছাত্র রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। তিনি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের (পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন) সদস্য ছিলেন এবং সংগঠনটির এস এম হল শাখার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের সময়ে তিনি সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ছিলেন।
ছাত্রজীবনে রাজনীতিতে সক্রিয় থাকলেও মির্জা ফখরুলের কর্মজীবন শুরু হয় শিক্ষকতায়। একাধিক সরকারি কলেজে অধ্যাপনা করেছেন তিনি। ৮০’র দশকে তিনি মূলধারার রাজনীতিতে আসেন। এর আগে মির্জা ফখরুল ১৯৭০’র দশকের শেষে তৎকালীন উপ-প্রধানমন্ত্রী এস এ বারির ব্যক্তিগত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ওই পদে তিনি ১৯৮২ সাল পর্যন্ত বহাল ছিলেন। ১৯৮৮ সালে ঠাকুরগাঁও পৌরসভার নির্বাচনের মাধ্যমে ফিরে আসেন রাজনীতিতে। তারপরের বছরই তিনি যোগ দেন বিএনপিতে।