ঢাকা ১০:৪১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিশ্বকাপ জয়, উৎসবে উত্তাল আর্জেন্টিনার রাজধানী

  • ক্রীড়া ডেক্স:
  • আপডেট সময় ০৩:০৯:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২২
  • ৬৮৯ Time View

দীর্ঘ ৩৬ বছর পর ফিফা বিশ্বকাপের শিরোপা ঘরে তুলল আর্জেন্টিনা। ফুটবল জাদুকর লিওনেল মেসির হাত ধরে শিরোপার খরা কাটল লাতিন দেশটির। সেই ১৯৮৬ সালে ম্যারাডানো দিয়েছিলেন বিশ্বকাপ উপহার। এরপর ২০২২ সালে শিরোপা উপহার দিলেন আরেক মহাতারকা লিওনেল মেসি।

রবিবার দিবাগত রাতে কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্স। ফাইনাল ম্যাচটি ছিল যেন থ্রিলারের ভরা। নির্ধারিত সময়ে ২-২ সমতা। এরপর ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে তখনও খেলা থেকে যায় অমীমাংসিত। ৩-৩ সমতা।

এরপর শ্বাসরুদ্ধকর টাইব্রেকারে গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজের নৈপুণ্যে শিরোপা জেতে আর্জেন্টিনা। এতে ৩৬ বছর পর শিরোপা খরা ঘোচে আকাশি-নীলদের।

বিশ্বকাপের শিরোপা জয়ের পরই হাজার হাজার মানুষ আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনস আয়ার্সের রাস্তায় নেমে আসে। তাদের উল্লাস-উচ্ছ্বাস ছিল বাঁধভাঙা।

আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থা রয়টার্স জানায়, প্রায় ৮৮ হাজার দর্শক-ভক্তদের সামনে কাতারে উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে তারকা খেলোয়াড় লিওনেল মেসির নেতৃত্বে আর্জেন্টিনা ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে পরাজিত করে তৃতীয় বিশ্বকাপ ঘরে তোলার পর রাজধানী বুয়েনস আয়ার্সের রাস্তায় নেমে আসেন হাজার হাজার আর্জেন্টাইন নাগরিক। এ সময় তারা উল্লাসে মেতে ওঠেন।

বিশ্বকাপ জয়ের পর পরিবারের সাথে জয় উদযাপন করতে বুয়েনস আয়ার্সের বাড়ির সামনের রাস্তায় বেরিয়ে আসে ১৩ বছর বয়সি ফুটবল ভক্ত সান্তিয়াগো। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় কিশোর এই ফুটবল ভক্তের অনুভূতি, “আমি এটা বিশ্বাস করতে পারছি না! এটা কঠিন ছিল, কিন্তু আমরা এটা পেরেছি, মেসিকে ধন্যবাদ।”

রয়টার্স বলছে, পতাকা, টুপি এবং দেশের আইকনিক নীল-সাদা জার্সি নিয়ে আর্জেন্টাইনরা ফাইনালে জয়ের কয়েক মিনিটের মধ্যে বুয়েনস আয়ার্সের কেন্দ্রস্থল এবং অন্যান্য আইকনিক স্পট দখল করে নেয়। একই সময়ে দেশজুড়ে আরও অনেক স্থানে আনন্দ, উল্লাস ও উদযাপন ছড়িয়ে পড়ে।

বুয়েনস আয়ার্সের শহরতলির ৪৬ বছর বয়সি দিয়েগো অ্যাবুর্গেলি বলেন, “এটি একটি অবিশ্বাস্য খেলা ছিল। গত কয়েক দশকের মধ্যে আর্জেন্টিনার এই দলটি প্রথমবারের মতো মানুষকে তাদের প্রেমে পড়তে বাধ্য করেছে।”

২০১৪ সালে জার্মানির বিপক্ষে টুর্নামেন্টের ফাইনালে হেরে যাওয়া লাতিন আমেরিকার এই দলটি ১৯৮৬ সাল থেকে গতকালের আগপর্যন্ত বিশ্বকাপ জিততে পারেনি। তবে দলের উত্থান আর্জেন্টিনাকে ব্যাপক উৎসাহিত ও উল্লসিত করেছে, যদিও এই দেশটি উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি এবং অর্থনৈতিক সংকটে জর্জরিত, যা দেশটির প্রায় ৪০ শতাংশ জনসংখ্যাকে দারিদ্র্যের দিকে ঠেলে দিয়েছে।

রয়টার্স বলছে, বিশ্বকাপ জয় আর্জেন্টাইনদের মধ্যে কিংবদন্তি হিসেবে লিওনেল মেসির মর্যাদা নিশ্চিত করেছে। রবিবারের এই ম্যাচটি আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপে তার শেষ খেলা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

সূত্র: রয়টার্স

ট্যাগস

বিশ্বকাপ জয়, উৎসবে উত্তাল আর্জেন্টিনার রাজধানী

আপডেট সময় ০৩:০৯:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২২

দীর্ঘ ৩৬ বছর পর ফিফা বিশ্বকাপের শিরোপা ঘরে তুলল আর্জেন্টিনা। ফুটবল জাদুকর লিওনেল মেসির হাত ধরে শিরোপার খরা কাটল লাতিন দেশটির। সেই ১৯৮৬ সালে ম্যারাডানো দিয়েছিলেন বিশ্বকাপ উপহার। এরপর ২০২২ সালে শিরোপা উপহার দিলেন আরেক মহাতারকা লিওনেল মেসি।

রবিবার দিবাগত রাতে কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্স। ফাইনাল ম্যাচটি ছিল যেন থ্রিলারের ভরা। নির্ধারিত সময়ে ২-২ সমতা। এরপর ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে তখনও খেলা থেকে যায় অমীমাংসিত। ৩-৩ সমতা।

এরপর শ্বাসরুদ্ধকর টাইব্রেকারে গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজের নৈপুণ্যে শিরোপা জেতে আর্জেন্টিনা। এতে ৩৬ বছর পর শিরোপা খরা ঘোচে আকাশি-নীলদের।

বিশ্বকাপের শিরোপা জয়ের পরই হাজার হাজার মানুষ আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনস আয়ার্সের রাস্তায় নেমে আসে। তাদের উল্লাস-উচ্ছ্বাস ছিল বাঁধভাঙা।

আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থা রয়টার্স জানায়, প্রায় ৮৮ হাজার দর্শক-ভক্তদের সামনে কাতারে উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে তারকা খেলোয়াড় লিওনেল মেসির নেতৃত্বে আর্জেন্টিনা ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে পরাজিত করে তৃতীয় বিশ্বকাপ ঘরে তোলার পর রাজধানী বুয়েনস আয়ার্সের রাস্তায় নেমে আসেন হাজার হাজার আর্জেন্টাইন নাগরিক। এ সময় তারা উল্লাসে মেতে ওঠেন।

বিশ্বকাপ জয়ের পর পরিবারের সাথে জয় উদযাপন করতে বুয়েনস আয়ার্সের বাড়ির সামনের রাস্তায় বেরিয়ে আসে ১৩ বছর বয়সি ফুটবল ভক্ত সান্তিয়াগো। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় কিশোর এই ফুটবল ভক্তের অনুভূতি, “আমি এটা বিশ্বাস করতে পারছি না! এটা কঠিন ছিল, কিন্তু আমরা এটা পেরেছি, মেসিকে ধন্যবাদ।”

রয়টার্স বলছে, পতাকা, টুপি এবং দেশের আইকনিক নীল-সাদা জার্সি নিয়ে আর্জেন্টাইনরা ফাইনালে জয়ের কয়েক মিনিটের মধ্যে বুয়েনস আয়ার্সের কেন্দ্রস্থল এবং অন্যান্য আইকনিক স্পট দখল করে নেয়। একই সময়ে দেশজুড়ে আরও অনেক স্থানে আনন্দ, উল্লাস ও উদযাপন ছড়িয়ে পড়ে।

বুয়েনস আয়ার্সের শহরতলির ৪৬ বছর বয়সি দিয়েগো অ্যাবুর্গেলি বলেন, “এটি একটি অবিশ্বাস্য খেলা ছিল। গত কয়েক দশকের মধ্যে আর্জেন্টিনার এই দলটি প্রথমবারের মতো মানুষকে তাদের প্রেমে পড়তে বাধ্য করেছে।”

২০১৪ সালে জার্মানির বিপক্ষে টুর্নামেন্টের ফাইনালে হেরে যাওয়া লাতিন আমেরিকার এই দলটি ১৯৮৬ সাল থেকে গতকালের আগপর্যন্ত বিশ্বকাপ জিততে পারেনি। তবে দলের উত্থান আর্জেন্টিনাকে ব্যাপক উৎসাহিত ও উল্লসিত করেছে, যদিও এই দেশটি উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি এবং অর্থনৈতিক সংকটে জর্জরিত, যা দেশটির প্রায় ৪০ শতাংশ জনসংখ্যাকে দারিদ্র্যের দিকে ঠেলে দিয়েছে।

রয়টার্স বলছে, বিশ্বকাপ জয় আর্জেন্টাইনদের মধ্যে কিংবদন্তি হিসেবে লিওনেল মেসির মর্যাদা নিশ্চিত করেছে। রবিবারের এই ম্যাচটি আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপে তার শেষ খেলা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

সূত্র: রয়টার্স