ঢাকা ০৭:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নাটোরে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট, দুর্ভোগে যাত্রীরা

নাটোরসহ রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় চলছে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট। ১০ দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া এ ধর্মঘটের কারণে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। বাস না পেয়ে তিন/চারগুণ অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে বিকল্প বাহনে গন্তব্যে যাতায়াত করছেন অনেকে।

সকালে নাটোরের হরিশপুর বাসট্যান্ডে গিয়ে দেখা গেছে, দূরপাল্লার কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। বাসট্যান্ডে এসে বাস চলাচল বন্ধ দেখে বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা। স্বল্প দূরত্বের যানবাহনে ভেঙে ভেঙে গন্তব্যে যান অনেকে। তবে অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে তাদের।

ঢাকায় যাওয়ার উদ্দেশে বাসট্যান্ডে আসা সাঈদ হোসেন নামে এক প্রবাসী জানান, শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) তার সৌদিতে যাওয়ার ফ্লাইট। বাস বন্ধ থাকায় তিনি যেতে পারছেন না। নাটোর থেকে ঢাকায় যেতে তার ৫৯০ টাকা দিতে হতো। এখন বিকল্প বাহনে যেতে কমপক্ষে দুই হাজার টাকা খরচ পড়বে তার।

সাঈদের মতো একই পরিস্থিতি বাসট্যান্ডে আসা প্রায় সব যাত্রীর। স্বল্প দূরত্বের যানবাহনে করে তারা নিজ নিজ গন্তব্যে যাচ্ছেন অতিরিক্ত ভাড়ায়।

আসাদ নামে এক সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক জানান, তারা এলপি গ্যাস দিয়ে অটোরিকশা চালান। গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছেন তারা।

গত ২৬ নভেম্বর মহাসড়কে নসিমন ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বন্ধ, ২০১৮ সালের সড়ক পরিবহন আইন সংশোধন ও পুলিশি হয়রানি বন্ধসহ ১০ দফা দাবি পূরণে সরকারকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত আল্টিমেটাম দেয় রাজশাহী বিভাগের আট জেলার ১৭টি সংগঠন। তাদের বেঁধে দেয়া সময়ে দাবি পূরণ না হওয়ায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ধর্মঘটে যায় সংগঠনগুলো।

এদিকে, আগামী ৩ ডিসেম্বর রাজশাহীতে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ। বিএনপি নেতাদের দাবি, অন্যান্য বিভাগীয় গণসমাবেশের মতো রাজশাহীর গণসমাবেশে মানুষকে আসতে বাধা দিতে এ পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।

ট্যাগস

নাটোরে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট, দুর্ভোগে যাত্রীরা

আপডেট সময় ১১:৪৫:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২২

নাটোরসহ রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় চলছে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট। ১০ দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া এ ধর্মঘটের কারণে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। বাস না পেয়ে তিন/চারগুণ অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে বিকল্প বাহনে গন্তব্যে যাতায়াত করছেন অনেকে।

সকালে নাটোরের হরিশপুর বাসট্যান্ডে গিয়ে দেখা গেছে, দূরপাল্লার কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। বাসট্যান্ডে এসে বাস চলাচল বন্ধ দেখে বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা। স্বল্প দূরত্বের যানবাহনে ভেঙে ভেঙে গন্তব্যে যান অনেকে। তবে অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে তাদের।

ঢাকায় যাওয়ার উদ্দেশে বাসট্যান্ডে আসা সাঈদ হোসেন নামে এক প্রবাসী জানান, শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) তার সৌদিতে যাওয়ার ফ্লাইট। বাস বন্ধ থাকায় তিনি যেতে পারছেন না। নাটোর থেকে ঢাকায় যেতে তার ৫৯০ টাকা দিতে হতো। এখন বিকল্প বাহনে যেতে কমপক্ষে দুই হাজার টাকা খরচ পড়বে তার।

সাঈদের মতো একই পরিস্থিতি বাসট্যান্ডে আসা প্রায় সব যাত্রীর। স্বল্প দূরত্বের যানবাহনে করে তারা নিজ নিজ গন্তব্যে যাচ্ছেন অতিরিক্ত ভাড়ায়।

আসাদ নামে এক সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক জানান, তারা এলপি গ্যাস দিয়ে অটোরিকশা চালান। গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছেন তারা।

গত ২৬ নভেম্বর মহাসড়কে নসিমন ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বন্ধ, ২০১৮ সালের সড়ক পরিবহন আইন সংশোধন ও পুলিশি হয়রানি বন্ধসহ ১০ দফা দাবি পূরণে সরকারকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত আল্টিমেটাম দেয় রাজশাহী বিভাগের আট জেলার ১৭টি সংগঠন। তাদের বেঁধে দেয়া সময়ে দাবি পূরণ না হওয়ায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ধর্মঘটে যায় সংগঠনগুলো।

এদিকে, আগামী ৩ ডিসেম্বর রাজশাহীতে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ। বিএনপি নেতাদের দাবি, অন্যান্য বিভাগীয় গণসমাবেশের মতো রাজশাহীর গণসমাবেশে মানুষকে আসতে বাধা দিতে এ পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।