ঢাকা ০৯:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইয়াবা পাচারের দায়ে ১ রোহিঙ্গাসহ ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড

কক্সবাজারে ১৩ লাখ ইয়াবা পাচারের দায়ে এক রোহিঙ্গাসহ চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। এ সময় প্রত্যেককে আরও ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেয়া হয়। বুধবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল এ রায় ঘোষণা করেন।

মামলার পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম ফরিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। রায় ঘোষণার সময় আয়াজ ও বিল্লাল আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। অপর দুজন পলাতক।

পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম বলেন, সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে মামলার চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তাই আদালত সর্বোচ্চ শাস্তি দিয়েছেন। এ রায়ের মাধ্যমে মাদক কারবারিদের কাছে কঠোর বার্তা দেয়া হয়েছে।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন: কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প-১৩, ব্লক-এইস-১৬-এর মো. বশির আহমদের ছেলে মো. আয়াজ (৩৪), কক্সবাজার সদর ঝিলংজা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের পাওয়ার হাউস দক্ষিণ হাজীপাড়ার মকবুল আহমেদের ছেলে মোহাম্মদ বিল্লাল (৩৭), খাগড়াছড়ির মানিকছড়ির পঞ্চরামপাড়ার মকবুল আহমদের ছেলে আজিমুল্লাহ (৪৩) এবং একই এলাকার ফয়জুল হকের ছেলে আবুল কালাম (৩৭)।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, ২০২০ সালের ২৩ আগস্ট রাতে র‍্যাব-১৫-এর একটি দল অভিযান চালিয়ে কক্সবাজার শহরের মাঝিরঘাটে খুরুশকুল ব্রিজের পশ্চিম পাশে একটি মাছ ধরার নৌকা জব্দ করে। এ সময় নৌকায় থাকা মো. আয়াজ ও মো. বিল্লালকে আটক করা হয়। তবে সেসময় র‍্যাব সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে আরও ৪/৫ জন দৌড়ে পালিয়ে যান। পরে নৌকা তল্লাশি করে ১৩ লাখ ইয়াবা ও ১০ হাজার নগদ টাকা উদ্ধার এবং নৌকাটি জব্দ করা হয়।

এ ঘটনায় র‍্যাব-১৫-এর নায়েব সুবেদার মো. হারুনুর রশীদ বাদী হয়ে উল্লেখিত দুজনসহ অজ্ঞাত আরও ৪/৫ জনকে আসামি করে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় একটি মামলা করেন।

আসামি মো. আয়াজ ও মো. বিল্লাল তাদের দোষ স্বীকার করে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দেন। তারা জবানবন্দিতে পলাতক আসামি আজিমুল্লাহ ও আবুল কালামের নাম-ঠিকানা প্রকাশ করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও র‍্যাব-১৫-এর এসআই মোহাম্মদ সোহেল সিকদার ২০২১ সালের ১০ জুন আদালতে মামলাটির চার্জশিট দেন।

ট্যাগস

ইয়াবা পাচারের দায়ে ১ রোহিঙ্গাসহ ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড

আপডেট সময় ০৫:১৯:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ নভেম্বর ২০২২

কক্সবাজারে ১৩ লাখ ইয়াবা পাচারের দায়ে এক রোহিঙ্গাসহ চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। এ সময় প্রত্যেককে আরও ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেয়া হয়। বুধবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল এ রায় ঘোষণা করেন।

মামলার পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম ফরিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। রায় ঘোষণার সময় আয়াজ ও বিল্লাল আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। অপর দুজন পলাতক।

পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম বলেন, সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে মামলার চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তাই আদালত সর্বোচ্চ শাস্তি দিয়েছেন। এ রায়ের মাধ্যমে মাদক কারবারিদের কাছে কঠোর বার্তা দেয়া হয়েছে।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন: কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প-১৩, ব্লক-এইস-১৬-এর মো. বশির আহমদের ছেলে মো. আয়াজ (৩৪), কক্সবাজার সদর ঝিলংজা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের পাওয়ার হাউস দক্ষিণ হাজীপাড়ার মকবুল আহমেদের ছেলে মোহাম্মদ বিল্লাল (৩৭), খাগড়াছড়ির মানিকছড়ির পঞ্চরামপাড়ার মকবুল আহমদের ছেলে আজিমুল্লাহ (৪৩) এবং একই এলাকার ফয়জুল হকের ছেলে আবুল কালাম (৩৭)।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, ২০২০ সালের ২৩ আগস্ট রাতে র‍্যাব-১৫-এর একটি দল অভিযান চালিয়ে কক্সবাজার শহরের মাঝিরঘাটে খুরুশকুল ব্রিজের পশ্চিম পাশে একটি মাছ ধরার নৌকা জব্দ করে। এ সময় নৌকায় থাকা মো. আয়াজ ও মো. বিল্লালকে আটক করা হয়। তবে সেসময় র‍্যাব সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে আরও ৪/৫ জন দৌড়ে পালিয়ে যান। পরে নৌকা তল্লাশি করে ১৩ লাখ ইয়াবা ও ১০ হাজার নগদ টাকা উদ্ধার এবং নৌকাটি জব্দ করা হয়।

এ ঘটনায় র‍্যাব-১৫-এর নায়েব সুবেদার মো. হারুনুর রশীদ বাদী হয়ে উল্লেখিত দুজনসহ অজ্ঞাত আরও ৪/৫ জনকে আসামি করে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় একটি মামলা করেন।

আসামি মো. আয়াজ ও মো. বিল্লাল তাদের দোষ স্বীকার করে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দেন। তারা জবানবন্দিতে পলাতক আসামি আজিমুল্লাহ ও আবুল কালামের নাম-ঠিকানা প্রকাশ করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও র‍্যাব-১৫-এর এসআই মোহাম্মদ সোহেল সিকদার ২০২১ সালের ১০ জুন আদালতে মামলাটির চার্জশিট দেন।