নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলায় এবার সবুজ থেকে সোনলী বর্ণের রুপ নেয়া পাকা ধান কেটে তোলার ধুম শুরু হয়েছে । আবহাওয়া অনূকূলে থাকায় বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় চলতি মওসুমে কৃষকেরা প্রথমে খরার কবলে পড়লেও সেচ ব্যবস্থা করে ধান রোপনের পর কাঙ্খিত বৃষ্টির হওয়ায় ধানের চেহারা দিন দিন ফিরতে লাগে।
সময়মত সার ও কীটনাশক ব্যবহার করে এখন যেদিকে চোখ যায় শুধু সবুজের সমারোহ। ইতোমধ্যে কৃষকরা আগাম ব্রি ধান ১৭ কেটে সরি খেতের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। উপজেলা কৃষি অফিস জানায় এই মওসুমে পত্নীতলায় ২৫হাজর ৩৭০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষ হয়েছে।
উপজেলায় আম চাষ বৃদ্ধি পাওয়ায় আমন আবাদ গত মওসুমের চেয়ে ১ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমি কমেছে। কৃষকরা হাইব্রীড ধানী গোল্ড তেজ উপশী স্বর্ণা ৫ বিনা ৭ ১১ ১৭ ২০ ৩৪ ব্রি ধান ৫১ ৫২ ৫৯ ৬২ ৭১ ৭৫ ৮০ ৮৭ ৯০ ৯৪ এবং দেশীয় চিনি আতপ ধান চাষ করেছেন।
কৃষকেরা আরো জানান এবার অতিরিক্ত সেচ খরচ হাল-চাষ ও রোপন এবং বিভিন্ন পরিচর্যায় শ্রমিক খরচ গত মওসুমের তুলনায় অনেক বেশি হয়েছে। তাঁরা ধানের নায্য মূল্য আশা করছেন।
এই মওসুমে ধানের বাম্পার ফলনের মধ্যে দিয়ে পত্নীতলায় ৭২ হাজার মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হবে বলে আশা করছেন উপজেলা কৃষি অফিস। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ প্রকাশ চন্দ্র সরকার বলেছেন কৃষকেরা মওসুমে সুষম সার ব্যবহার করেছেন, আবহাওয়া অনূকূলে থাকায় এবং ধানের রোগবালাই কম থাকায় সময় মতো ধানের পরিচর্যা এবং অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় এবার ধানের বাম্পার ফলন হবে।