ইপিবি এর সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে পোশাক রফতানিতে প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৫২ শতাংশ কমেছে বলে জানিয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান। তিনি বলেন, নীটওয়্যারে কমেছে ৯ শতাংশ এবং ওভেন রফতানি কমেছে ৫৬ শতাংশ। অক্টোবরে প্রবৃদ্ধি আরও কমবে। আমাদের আশঙ্কা, নভেম্বর মাসে এটি আরও হ্রাস পাবে।
রোববার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ফারুক হাসান বলেন, আপনারা দেখেছেন যে, আমরা বর্তমান বোর্ড দায়িত্ব গ্রহণের পর গত বছরের আগস্ট থেকে চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত পোশাক নিয়ে টানা প্রবৃদ্ধি হয়েছে- যেটি উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি ছিল। যে কারণে গত অর্থবছরে এ শিল্পখাত থেকে রফতানি হয়েছে ৪২.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এ অর্থবছরের প্রথম দুইমাসে, জুলাই-আগস্টে প্রবৃদ্ধি ভালো ছিল। কিন্তু গত দুমাসে আমরা উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি, ক্রয়াদেশ ক্রমশ কমছে।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, আমরা দেখতে পারছি যে, বিশ্ব জুড়ে জ্বালানি সংকট চলছে। স্থানীয় পর্যায়ে গ্যাস-বিদ্যুতের সংকটের প্রস্তাব আমানের পোশাক শিল্পেও পড়ছে। এতে করে শিল্পে বায় বাড়ছে দু’ভাবে।
বিদ্যুতের অপ্রতুলতার কারণে কারখানাগুলোতে ডিজেল দিয়ে জেনারেটরগুলো চালানো হচ্ছে। অন্যভাবে, অধিক সময় জেনারেটর চালানোর কারণে জেনারেটরগুলো ঘনঘন বিকল হচ্ছে। এতে করে শিল্পে উৎপাদন ব্যয় বাড়ছে।
সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়ে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, রফতানিমুখী শিল্পকারখানাগুলোতে বিশেষ ব্যবস্থায় চাহিদা অনুযায়ী নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ করা হোক। সেইসাথে আমাদের আরেকটি অনুরোধ, আমাদের উৎসে কর যা এ বছরে ১ শতাংশ করা হয়েছে, সেটি পূর্ববর্তী বছরের ন্যয় একই পর্যায়ে রাখা হোক।