দীর্ঘ সময় পরও বাসায় ফিরে না যাওয়ায় পরিবারের পক্ষ থেকে ওই নারীকে খোঁজাখুজি শুরু হয়। একপর্যায়ে তাঁর বাবা জানতে পারেন, মেয়ে ওই আজম কম্পিউটারে যাওয়ার পর তাঁকে আর দেখা যায়নি। পরে তিনি মেয়ে নিখোঁজের ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। পরে পুলিশ সফিউল ও রাশেদুলকে গ্রেপ্তার এবং দোকানের ভেতর থেকে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করেন।
পরে ওই নারীর বাবা থানায় একটি মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে সোনাগাজী থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক আমজাদ হোসেন দুই আসামি সফিউল ও রাশেদুলের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
এ মামলায় বাদীসহ ১৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।আদালতে সরকারপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন ফেনীর সিনিয়র সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) ফরিদ আহম্মদ হাজারী। তিনি জানান, রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাঁদের পুলিশের মাধ্যমে ফেনী জেলা কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
রায় ঘোষণার পর মামলার বাদী ন্যায়বিচার পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। মামলায় আসামিপক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ফয়েজুল হক মিলকী ও করিমুল হক।