বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, আমরা এ পর্যন্ত চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও খুলনায় তিনটি সমাবেশ করেছি। এই অভিজ্ঞতা ঢাকার মহাসমাবেশে কাজে লাগবে। তবে আমরা সরকারের ফাঁদে পা দেব না।
এই মুহূর্তে রাজনৈতিক অঙ্গনে সবচেয়ে আলোচিত আগামী ১০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় বিএনপির ঢাকার মহাসমাবেশ। এদিন কী হবে, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না নিলেও দলটির এই মহাসমাবেশ সফল করতে ঢাকা বিভাগের প্রতিটি সাংগঠনিক জেলাকে প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা বিভাগের নেতাদের নিয়ে এক যৌথসভায় এই নির্দেশ দেওয়া হয়।
জানতে চাইলে ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ বলেন, এই যৌথসভা থেকে উপস্থিত নেতাদের আগামী ১০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় ঢাকার মহাসমাবেশ সফল করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। জেলা-মহানগরের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের তাদের অধীন সংশ্লিষ্ট ইউনিট কমিটির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে একই নির্দেশনা দিতে বলা হয়েছে।
তবে বৈঠকে উপস্থিত নেতারা জানান, এই যৌথ সভায় কোন জেলা বা মহানগর কত লোক নিয়ে মহাসমাবেশে যোগ দিবে তারা একটি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এ ছাড়া সমাবেশ সফল করতে একাধিক উপকমিটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পরবর্তী বৈঠকে এসব উপকমিটি গঠন করা হতে পারে।
এই যৌথ সভায় মহাসমাবেশের দলনেতা বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমানের সভাপতিত্বে ও ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। মহাসমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির উপদেষ্টাও তিনি।
যৌথসভায় আরও অংশ নেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আমান উল্লাহ আমান, আফরোজা খানম রীতা, খায়রুল কবির খোকন, ড. আসাদুজ্জামান রিপন, সরাফত আলী সপু, আমিনুল হক, রফিকুল আলম মজনু, আবদুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, বেনজীর আহমেদ টিটু, অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী, আকরামুল হাসান, ঢাকা জেলার ডা. দেওয়ান মো. সালাহ উদ্দীন বাবু ও খন্দকার আবু আশফাক, গাজীপুর জেলার ফজলুল হক মিলন ও রিয়াজুল হান্নান, মহানগরের সোহরাব উদ্দিন ও শওকত হোসেন সরকার, মুন্সীগঞ্জের আবদুল হাই ও কামরুজ্জামান রতন নারায়ণগঞ্জ মহানগরের অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ও অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুসহ মোট ৯০ জন নেতা।