ঢাকা ০২:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
Logo আপত্তিকর ভিডিও ধারণের অভিযোগ তিশার Logo আমরা সব রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রাখব : প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস Logo নতুন আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব পেলেন বাহারুল আলম Logo সিরিয়ার ঐতিহ্যবাহী পালমিরা শহরে ইসরায়েলি ভয়াবহ হামলায়, নিহত ৩৬, আহত ৫০ Logo ঢাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের নির্দেশ দেওয়ায় চালকদের বিক্ষোভ Logo নওগাঁয় প্রকাশ্যে যুবককে কুপিয়ে হত্যা Logo ইউক্রেনে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট Logo সাবেক আইজিপিসহ ৮ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ Logo নওগাঁর পত্নীতলায় নেচে গেয়ে নবান্ন উৎসব উদযাপন Logo রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কার না চাইলে এখনই নির্বাচন দেব: প্রধান উপদেষ্টা

কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যা, ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক:নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় এক কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে চারজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) সকালে নারায়ণগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামল এই রায় দেন। 

মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন- কামরুল হাসান, রবিউল, আলী আকবর, শুক্কুর আলী। এ সময় সহায়তাকারী হিসেবে ডলি বেগমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া নাসরিন আক্তার নামে আরেকজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় রবিউল ও ডলি বেগম পলাতক ছিলেন। তবে মামলার অন্য আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি রকিব উদ্দিন। তিনি বলেন, ২০০৫ সালে ওই কিশোরীকে (সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী) আসামিরা জোরপূর্বক গণধর্ষণ করে।

আদালত ৬ আসামির মধ্যে চারজনকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন। আসামি কামরুল ও রবিউল ১৬৪ ধারায় ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। এই মামলায় মোট ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করে আদালত। পরে যুক্তিতর্ক শেষে চার আসামিকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন। এছাড়া এই মামলায় একজনকে খালাস ও একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাইদুল হাসান সুমন বলেন, ঘটনার দিন রবিউল, কামরুল, শুক্কুর আলী মিলে  ধর্ষণ করেন। এ সময় আলী আকবর ছিলেন বক্তাবলীর দিকের ট্রলারচালক। এ সময় কান্নার আওয়াজ পেয়ে ছুটে যান তিনি। গিয়ে দেখেন তারা তিনজন মিলে ধর্ষণ করছেন। এ সময় পুলিশকে বলে দেওয়ার কথা বললে তাকে হত্যা এবং তার স্ত্রীকে ধর্ষণের হুমকি দিয়ে পাহারায় রাখে। ধর্ষণ শেষে তাকেও ধর্ষণ করতে বলা হলে তিনি দেখেন, মেয়েটির অবস্থা গুরুতর। পরে তিনি আর ধর্ষণ করেননি।

তিনি আরও বলেন, এরপর মেয়েটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর প্রথমে ডলি আক্তারের বাসায় ও পরে নাসরিনের বাসায় নেওয়া হয়। দুজন মিলে লাশটি আবার ক্ষেতে নিয়ে ফেলে আসে। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। দীর্ঘ সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত আজ এ রায় ঘোষণা করেছে।

ট্যাগস

আপত্তিকর ভিডিও ধারণের অভিযোগ তিশার

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যা, ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড

আপডেট সময় ০১:৫১:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ অক্টোবর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক:নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় এক কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে চারজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) সকালে নারায়ণগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামল এই রায় দেন। 

মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন- কামরুল হাসান, রবিউল, আলী আকবর, শুক্কুর আলী। এ সময় সহায়তাকারী হিসেবে ডলি বেগমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া নাসরিন আক্তার নামে আরেকজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় রবিউল ও ডলি বেগম পলাতক ছিলেন। তবে মামলার অন্য আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি রকিব উদ্দিন। তিনি বলেন, ২০০৫ সালে ওই কিশোরীকে (সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী) আসামিরা জোরপূর্বক গণধর্ষণ করে।

আদালত ৬ আসামির মধ্যে চারজনকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন। আসামি কামরুল ও রবিউল ১৬৪ ধারায় ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। এই মামলায় মোট ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করে আদালত। পরে যুক্তিতর্ক শেষে চার আসামিকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন। এছাড়া এই মামলায় একজনকে খালাস ও একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাইদুল হাসান সুমন বলেন, ঘটনার দিন রবিউল, কামরুল, শুক্কুর আলী মিলে  ধর্ষণ করেন। এ সময় আলী আকবর ছিলেন বক্তাবলীর দিকের ট্রলারচালক। এ সময় কান্নার আওয়াজ পেয়ে ছুটে যান তিনি। গিয়ে দেখেন তারা তিনজন মিলে ধর্ষণ করছেন। এ সময় পুলিশকে বলে দেওয়ার কথা বললে তাকে হত্যা এবং তার স্ত্রীকে ধর্ষণের হুমকি দিয়ে পাহারায় রাখে। ধর্ষণ শেষে তাকেও ধর্ষণ করতে বলা হলে তিনি দেখেন, মেয়েটির অবস্থা গুরুতর। পরে তিনি আর ধর্ষণ করেননি।

তিনি আরও বলেন, এরপর মেয়েটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর প্রথমে ডলি আক্তারের বাসায় ও পরে নাসরিনের বাসায় নেওয়া হয়। দুজন মিলে লাশটি আবার ক্ষেতে নিয়ে ফেলে আসে। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। দীর্ঘ সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত আজ এ রায় ঘোষণা করেছে।