ঢাকা ০৬:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫, ৮ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
Logo অনির্বাচিত সরকারের চেয়ে যেকোনো নির্বাচিত সরকার ভালো: মির্জা ফখরুল Logo নওগাঁয় মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইকরা সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের শীতবস্ত্র বিতরণ Logo ছাত্রসমাজ শিবিরকে সভ্য, ভদ্র এবং মেধাবী ছাত্রদের ঠিকানা হিসেবে দেখে Logo চিকিৎসকদের পরামর্শে বাড়ি ফিরলেন সাইফ Logo ফরিদপুরে অটোরিকশা-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে কলেজছাত্র নিহত Logo ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষে মোটরসাইকেলের ৩ আরোহীর নিহত Logo শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে বের করে দেওয়ার দাবি শিবসেনা এমপির Logo অসৎ উদ্দেশ্যে নয়,নির্বাচনী অঙ্গনকে দুর্নীতিমুক্ত করতেই সংস্কারের প্রস্তাব: বদিউল আলম Logo জালিয়াতির অভিযোগ, শিল্পী সমিতি থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার নিপুণ Logo জন্মসূত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব বাতিল করলেন ট্রাম্প

প্রতিবন্ধী মেয়ের সুস্থতা কামনা পাগলা মসজিদে মায়ের চিঠি

স্টাফ রিপোর্টারঃ    কথিত আছে কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদে মানত করলে মনের বাসনা পূর্ণ হয়। এবার এমন ধারণা থেকে অসহায় এক মা প্রতিবন্ধী মেয়ের সুস্থতা কামনা করে মসজিদের দানবাক্সে প্রার্থনামূলক চিঠি দিয়েছেন।

প্রতি তিন মাস পর পর এ সিন্দুকগুলো খুলা হয়। এবারও ৩ মাস ১ দিন পর শনিবার (১ অক্টোবর) দান সিন্দুকগুলো খুলা হয়েছে। এ সময় ওই চিঠি পাওয়া যায়।

সন্তানের সুস্থতা চেয়ে চিঠিতে মা লিখেছেন, ‘হে পাগলা বাবার মসজিদে আর্জি দিচ্ছি যে, আমার মেয়ে প্রতিবন্ধী আপনার উছিলায় যাতে আমার মেয়ে জান্নাতুল মাওয়া ভাল হয়ে যায়। আমি আপনার দরবারে একটি ছাগল দিব। আমার আর্জি কবুল করেন।’

জানা গেছে, মসজিদের ৮টি দানবাক্স শনিবার (১ অক্টোবর) সকাল পৌনে ৯টায় খোলা হয়। এ সময় দানবাক্সগুলো থেকে পাওয়া ১৫ বস্তা টাকা দিনভর গণনা শেষে রেকর্ড ৩ কোটি ৮৯ লাখ ৭০ হাজার ৮৮২ টাকা পাওয়া গেছে।

এদিকে মসজিদ পরিচালনা কমিটি সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকাল পৌনে ৯টায় জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মসজিদের আটটি দানবাক্স খোলা হয়। দানবাক্সগুলো খুলে দানের টাকাগুলো প্রথমে ১৫টি বস্তায় ভরে আনা হয় গণনার জন্য। পরে সন্ধ্যা ৬টার দিকে টাকা গণনার কাজ শেষ হয়।

মসজিদের খতিব মাওলানা মুফতি খলিলুর রহমান জানান, এই মসজিদে মানত করলে মনের বাসনা পূর্ণ হয়- এমন ধারণা থেকে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই এখানে দান করেন।

তিনি আরও জানান, শনিবার সকাল থেকে টাকা গণনার কাজে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এটিএম ফরহাদ, সহকারী কমিশনার জোহরা সুলতানা যুথী, মোছা. নাবিলা ফেরদৌস, মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান ও রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক রফিকুল ইসলাম, সিবিএ নেতা আনোয়ার পারভেজসহ অন্যান্য কর্মকর্তা, ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ও মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাদরাসা ও এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ শামীম আলম জানান, ‘কিশোরগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী পাগলা মসজিদে আন্তর্জাতিক মানের দৃষ্টিনন্দন ইসলামিক কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দ্রুতই এর কাজ শুরু হবে। যার নামকরণ হবে ‘পাগলা মসজিদ ইসলামিক কমপ্লেক্স’। এটি নির্মাণে প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৫ কোটি টাকা’।

উল্লেখ্য, গত ২ জুলাই পাগলা মসজিদের আটটি দানবাক্স খোলা হয়েছিল। এ সময় ৩ কোটি ৬০ লাখ ২৮ হাজার ৪১৫ টাকা এবং বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গিয়েছিল। এ ছাড়াও ১২ মার্চ পাগলা মসজিদের আটটি দান সিন্দুক খোলা হয়েছিল। এ সময় রেকর্ড ৩ কোটি ৭৮ লাখ ৫৩ হাজার ২৯৫ টাকা এবং বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া যায়। ওই সময় করোনার কারণে চার মাস ছয় দিন পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়ে ছিল।

ট্যাগস

অনির্বাচিত সরকারের চেয়ে যেকোনো নির্বাচিত সরকার ভালো: মির্জা ফখরুল

প্রতিবন্ধী মেয়ের সুস্থতা কামনা পাগলা মসজিদে মায়ের চিঠি

আপডেট সময় ১১:০০:৫৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ অক্টোবর ২০২২

স্টাফ রিপোর্টারঃ    কথিত আছে কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদে মানত করলে মনের বাসনা পূর্ণ হয়। এবার এমন ধারণা থেকে অসহায় এক মা প্রতিবন্ধী মেয়ের সুস্থতা কামনা করে মসজিদের দানবাক্সে প্রার্থনামূলক চিঠি দিয়েছেন।

প্রতি তিন মাস পর পর এ সিন্দুকগুলো খুলা হয়। এবারও ৩ মাস ১ দিন পর শনিবার (১ অক্টোবর) দান সিন্দুকগুলো খুলা হয়েছে। এ সময় ওই চিঠি পাওয়া যায়।

সন্তানের সুস্থতা চেয়ে চিঠিতে মা লিখেছেন, ‘হে পাগলা বাবার মসজিদে আর্জি দিচ্ছি যে, আমার মেয়ে প্রতিবন্ধী আপনার উছিলায় যাতে আমার মেয়ে জান্নাতুল মাওয়া ভাল হয়ে যায়। আমি আপনার দরবারে একটি ছাগল দিব। আমার আর্জি কবুল করেন।’

জানা গেছে, মসজিদের ৮টি দানবাক্স শনিবার (১ অক্টোবর) সকাল পৌনে ৯টায় খোলা হয়। এ সময় দানবাক্সগুলো থেকে পাওয়া ১৫ বস্তা টাকা দিনভর গণনা শেষে রেকর্ড ৩ কোটি ৮৯ লাখ ৭০ হাজার ৮৮২ টাকা পাওয়া গেছে।

এদিকে মসজিদ পরিচালনা কমিটি সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকাল পৌনে ৯টায় জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মসজিদের আটটি দানবাক্স খোলা হয়। দানবাক্সগুলো খুলে দানের টাকাগুলো প্রথমে ১৫টি বস্তায় ভরে আনা হয় গণনার জন্য। পরে সন্ধ্যা ৬টার দিকে টাকা গণনার কাজ শেষ হয়।

মসজিদের খতিব মাওলানা মুফতি খলিলুর রহমান জানান, এই মসজিদে মানত করলে মনের বাসনা পূর্ণ হয়- এমন ধারণা থেকে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই এখানে দান করেন।

তিনি আরও জানান, শনিবার সকাল থেকে টাকা গণনার কাজে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এটিএম ফরহাদ, সহকারী কমিশনার জোহরা সুলতানা যুথী, মোছা. নাবিলা ফেরদৌস, মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান ও রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক রফিকুল ইসলাম, সিবিএ নেতা আনোয়ার পারভেজসহ অন্যান্য কর্মকর্তা, ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ও মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাদরাসা ও এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ শামীম আলম জানান, ‘কিশোরগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী পাগলা মসজিদে আন্তর্জাতিক মানের দৃষ্টিনন্দন ইসলামিক কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দ্রুতই এর কাজ শুরু হবে। যার নামকরণ হবে ‘পাগলা মসজিদ ইসলামিক কমপ্লেক্স’। এটি নির্মাণে প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৫ কোটি টাকা’।

উল্লেখ্য, গত ২ জুলাই পাগলা মসজিদের আটটি দানবাক্স খোলা হয়েছিল। এ সময় ৩ কোটি ৬০ লাখ ২৮ হাজার ৪১৫ টাকা এবং বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গিয়েছিল। এ ছাড়াও ১২ মার্চ পাগলা মসজিদের আটটি দান সিন্দুক খোলা হয়েছিল। এ সময় রেকর্ড ৩ কোটি ৭৮ লাখ ৫৩ হাজার ২৯৫ টাকা এবং বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া যায়। ওই সময় করোনার কারণে চার মাস ছয় দিন পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়ে ছিল।