শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার মোক্তারের চর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মৃত করিম মুন্সীর ছোট ছেলে মতু মুন্সীকে (৩০) কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ইকবাল মৃধাসহ তার দলবলের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে বাড়ির পার্শ্ববর্তী ফসলী চক থেকে ধাওয়া দিলে মতু মুন্সী দৌড়ে পালিয়ে মেজ ভাই বারেক মুন্সীর ঘরে ঢুকলে ইকবাল মৃধা (৩২), মোখলেস মৃধা (৩৮), বাদল মৃধা (২৭) আলি মৃধা (৩৭), ছোবহান ওরফে পাগলা মৃধা (৬০), সাজু মৃধা (৫৫) সবুজ মৃধারা চাইনিজ কুঠার, রাম দা, টেঁটা, চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।
এ সময় দুর্বৃত্তরা বাড়ির বউঝিদের গলার হাড়, নগদ টাকা, পাট, রসুন, গরু-বাছুরসহ অন্যান্য জিনিসপত্র নিয়ে বোমা মারতে মারতে পালিয়ে চলে যায়।
ঘটনার পর থেকে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। তবে এই নিউজ লেখার সময় দুপুর ৪টার দিকেও মুহুমুহু বোমার শব্দ পাওয়া গেছে।
ইকবাল মৃধার বাবা আবু মৃধা (৬৫) মতু মুন্সীর ঘর সংলগ্নে নতুন ঘর তুলেছে প্রায় এক মাস আগে। ঘর তোলা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত মতু মু্সী, তাহের মুন্সীদের সাথে শত্রুতা চলে আসছিল। তারই ধারাবাহিকতায় বুধবার সকালে এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন নিহত মতু মুন্সীর ভাই তাহের মুন্সী।
তাহের মুন্সী আরও বলেন, মোক্তারের চর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শাহ আলম চৌকিদার ও ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার টিপু মৃধা, আবু মৃধা গংদের নেতৃত্ব দিয়ে আমার ভাই মতু মুন্সীকে হত্যা করিয়েছে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
ইউনুছ শেখ বলেন, সকাল পৌনে ১০টার দিকে মতু মুন্সী ফোন দিয়ে বলেন, আমাকে মৃধারা আটকিয়েয়ে, আমার মেরে ফেলবে। আমাকে বাঁচাও। যে নিন্দনীয় ঘটনা তারা ঘটিয়েছে, তা ভাষায় প্রকাশহীন, আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
এ বিষয়ে জানার জন্য অভিযুক্ত আবু মৃধা, ইকবাল মৃধার বাড়িতে গেলে তাদেরকে পাওয়া যায়নি।
শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. সুমন কুমার পোদ্দার বলেন, মারাত্মক আহত অবস্থায় মতি মুন্সি নামে এক যুবককে হাসপাতালে আনা হয়। চিকিৎসার জন্য তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তির কিছুক্ষণ পরই তার মৃত্যু হয়। শরীরের একাধিক স্থানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর কারণে অনেক রক্তক্ষরণ হয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশ সুপার মো. সাইফুল হক বলেন, নড়িয়ার মোক্তারের চর ইউনিয়নের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত আমরা পাঁচজন গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। ঘটনাস্থলে পর্যাপ্ত পুলিশ রয়েছে। এ ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি।