ঢাকা ১০:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
Logo বিয়ের ওপর থেকে কর প্রত্যাহার করলো সরকার Logo অনির্বাচিত সরকারের চেয়ে যেকোনো নির্বাচিত সরকার ভালো: মির্জা ফখরুল Logo নওগাঁয় মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইকরা সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের শীতবস্ত্র বিতরণ Logo ছাত্রসমাজ শিবিরকে সভ্য, ভদ্র এবং মেধাবী ছাত্রদের ঠিকানা হিসেবে দেখে Logo চিকিৎসকদের পরামর্শে বাড়ি ফিরলেন সাইফ Logo ফরিদপুরে অটোরিকশা-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে কলেজছাত্র নিহত Logo ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষে মোটরসাইকেলের ৩ আরোহীর নিহত Logo শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে বের করে দেওয়ার দাবি শিবসেনা এমপির Logo অসৎ উদ্দেশ্যে নয়,নির্বাচনী অঙ্গনকে দুর্নীতিমুক্ত করতেই সংস্কারের প্রস্তাব: বদিউল আলম Logo জালিয়াতির অভিযোগ, শিল্পী সমিতি থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার নিপুণ

শিশুদের অধিকার নিশ্চিতে দারিদ্র্য বড় বাধা: প্রধানমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার : শিশুদের অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দারিদ্র্য অন্যতম বাধা বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ইউনিসেফের উদ্যোগে শিশুর সুরক্ষায় প্রথম জাতীয় সম্মেলন বাংলাদেশ-২০২২ এ এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ কথা জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকার সব প্রতিবন্ধীদের জন্য একটি জাতীয় সামাজিক সুরক্ষা কৌশল প্রণয়ন করেছে। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় সরকার এক কোটিরও বেশি মানুষকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে। শিশুরাও এসব কর্মসূচির উপকারভোগী।

প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে আমরা অভূতপূর্ব সাফল্য লাভ করেছি। ৯৮ শতাংশ স্কুলগামী শিশুকে প্রাথমিক শিক্ষায় অন্তর্ভুক্ত করা গেছে। এছাড়া শিশু মৃত্যুহার ও মাতৃমৃত্যুহার কমিয়ে আনা হয়েছে। নারী ও শিশুদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে সারাদেশে ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করা হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের জনসংখ্যার অর্ধেক ১৮ বছরের নিচে আর পাঁচ বছরের নিচে শিশুর সংখ্যা দুই কোটিরও বেশি। সরকারসহ উন্নয়ন সংস্থাগুলো এসব শিশুদের সুযোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার সংক্ষিপ্ত সময়ে শিশুদের অধিকার নিশ্চিতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। বাংলাদেশের সংবিধানের কয়েকটি ধারায় শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিতের কথা বলা হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ও শিশুদের উন্নয়নে আমার মেয়ে ড. সায়েম ওয়াজেদের কাজ বেশ প্রশংসনীয়। আমাদের সরকার ২০১৬ সালে ‘শিশু হেল্প লাইন ১০৯৮’ চালু করেছে। এই হেল্প লাইন ১০ লাখেরও বেশি শিশু ও তাদের পরিবারের কথা শুনেছে। থানাগুলো শিশুবান্ধব করার লক্ষ্যে চাইল্ড হেল্প ডেস্ক স্থাপন করা হয়েছে। একসময় শিশুশ্রম বাংলাদেশে অনেক বড় সমস্যা ছিল। আমাদের দেশে শিশুশ্রম উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে আনা হয়েছে। রপ্তানিমুখী পোশাকশিল্প এখন শিশুশ্রমমুক্ত।

সরকারপ্রধান আরও বলেন, আমরা আমাদের শিশুদের মানোন্নয়নে সবকিছু করছি, যদিও আরও অনেক কিছু করতে হবে। শিশুদের অধিকতর উন্নয়নে একটি জাতীয় নীতিমালা প্রণয়ন করা যেতে পারে। শিশু সুরক্ষা কার্যক্রম একটি নিয়মিত কর্মসূচি হিসেবে চালু করা যেতে পারে। পাশাপাশি প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালু করা যেতে পারে।

তিনি বলেন, আমাদের সরকার দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে একত্রে মিলে শিশু সুরক্ষায় কাজ করতে বদ্ধপরিকর। এ জাতীয় সম্মেলন আয়োজন করার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ইউনিসেফকে আমি ধন্যবাদ জানাই।

ট্যাগস

বিয়ের ওপর থেকে কর প্রত্যাহার করলো সরকার

শিশুদের অধিকার নিশ্চিতে দারিদ্র্য বড় বাধা: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় ০২:০৪:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২

স্টাফ রিপোর্টার : শিশুদের অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দারিদ্র্য অন্যতম বাধা বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ইউনিসেফের উদ্যোগে শিশুর সুরক্ষায় প্রথম জাতীয় সম্মেলন বাংলাদেশ-২০২২ এ এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ কথা জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকার সব প্রতিবন্ধীদের জন্য একটি জাতীয় সামাজিক সুরক্ষা কৌশল প্রণয়ন করেছে। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় সরকার এক কোটিরও বেশি মানুষকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে। শিশুরাও এসব কর্মসূচির উপকারভোগী।

প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে আমরা অভূতপূর্ব সাফল্য লাভ করেছি। ৯৮ শতাংশ স্কুলগামী শিশুকে প্রাথমিক শিক্ষায় অন্তর্ভুক্ত করা গেছে। এছাড়া শিশু মৃত্যুহার ও মাতৃমৃত্যুহার কমিয়ে আনা হয়েছে। নারী ও শিশুদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে সারাদেশে ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করা হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের জনসংখ্যার অর্ধেক ১৮ বছরের নিচে আর পাঁচ বছরের নিচে শিশুর সংখ্যা দুই কোটিরও বেশি। সরকারসহ উন্নয়ন সংস্থাগুলো এসব শিশুদের সুযোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার সংক্ষিপ্ত সময়ে শিশুদের অধিকার নিশ্চিতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। বাংলাদেশের সংবিধানের কয়েকটি ধারায় শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিতের কথা বলা হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ও শিশুদের উন্নয়নে আমার মেয়ে ড. সায়েম ওয়াজেদের কাজ বেশ প্রশংসনীয়। আমাদের সরকার ২০১৬ সালে ‘শিশু হেল্প লাইন ১০৯৮’ চালু করেছে। এই হেল্প লাইন ১০ লাখেরও বেশি শিশু ও তাদের পরিবারের কথা শুনেছে। থানাগুলো শিশুবান্ধব করার লক্ষ্যে চাইল্ড হেল্প ডেস্ক স্থাপন করা হয়েছে। একসময় শিশুশ্রম বাংলাদেশে অনেক বড় সমস্যা ছিল। আমাদের দেশে শিশুশ্রম উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে আনা হয়েছে। রপ্তানিমুখী পোশাকশিল্প এখন শিশুশ্রমমুক্ত।

সরকারপ্রধান আরও বলেন, আমরা আমাদের শিশুদের মানোন্নয়নে সবকিছু করছি, যদিও আরও অনেক কিছু করতে হবে। শিশুদের অধিকতর উন্নয়নে একটি জাতীয় নীতিমালা প্রণয়ন করা যেতে পারে। শিশু সুরক্ষা কার্যক্রম একটি নিয়মিত কর্মসূচি হিসেবে চালু করা যেতে পারে। পাশাপাশি প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালু করা যেতে পারে।

তিনি বলেন, আমাদের সরকার দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে একত্রে মিলে শিশু সুরক্ষায় কাজ করতে বদ্ধপরিকর। এ জাতীয় সম্মেলন আয়োজন করার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ইউনিসেফকে আমি ধন্যবাদ জানাই।