স্টাফ রিপোর্টারঃ আগের সপ্তাহের ধারায় চলতি সপ্তাহেও ডিমের দাম ডজনে ১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ১৪০ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে। এদিকে সরকার শুল্ক কমানোর ঘোষণা দিলেও ভারতের শুল্কবৃদ্ধির কারণে চালের দাম কেজিতে এক থেকে দুই টাকা বেড়ে গেছে সপ্তাহের ব্যবধানে।
তবে মাছ, মাংস আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। প্রায় সব সবজিও আগের মতো বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে।
বিক্রেতারা জানান, আমাদের বেশি দামে কেনার কারণেই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। কম দামে পাওয়া গেলে তখন কম দামে বিক্রি করা হবে।
শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মোহাম্মদপুরের টাউন হল বাজারে সরজমিনে খুচরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এমনই জানা গেছে।
কমেনি সাবজির দাম
সবজি বিক্রেতা আবুল জানান, করলা, বেগুনের কেজি ৮০ টাকা। গাঁজর ও টমেটোর কেজি ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, শসা ৮০ থেকে ১২০ টাকা কেজি, শিম ১৬০ টাকা, পেঁপে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি, কচুরমুখী ৬০ টাকা, লাউ ও চাল কুমড়ার দাম ৪০ থেকে ৬০ টাকা। মরিচের কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকা। তবে ঢেঁড়শ, ধুন্দল, চিচিঙ্গা ও পটলের দাম একটু কমে ৪০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। কলার হালি ২৫ থেকে ৪০ টাকা, চাল কুমড়ার পিস ৪০ থেকে ৬০ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে।
ডিমের ডজন ১৪০
টাউন হল বাজারের মুন জেনারেল স্টোরের আনোয়ার বলেন, ‘ডিমের দাম বেড়েই যাচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে ডজনে ১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ১৪০ টাকা ডজন বিক্রি করা হচ্ছে। খোলা চিনির কেজি ৯০ টাকা ও প্যাকেট চিনি ৯৫ টাকা বিক্রি করা হচ্ছ। নতুন দামে সয়াবিন তেল বিক্রি করা হচ্ছে ৫ লিটার ৯৩০ টাকা, ২ লিটার ৩৮০ টাকা ও ১ লিটার ১৯০ টাকা। মসুর ডাল ৯০ থেকে ১৩৫ টাকা কেজি, দুই কেজির প্যাকেট আটা ১১৫ টাকা। পেঁয়াজ ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, রসুন ৮০ থেকে ১৩০ টাকা ও আদা ১০০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, চালের দাম ওঠা-নামা করছে। তাই কোনো ধরনের চাল বিক্রি করছি না।
চাল কেজিতে বেড়েছে দুই টাকা
ভারত সরকার চালের উপর বেশি শুল্ক আরোপ করেছে। সেই ঘোষণা হওয়া মাত্রই এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় সব ধরনের চালে এক থেকে দুই টাকা বেড়ে গেছে। ‘সরকার ট্যাক্স কমালেও ভারতের এক ঘোষণার কারণেই সব ধরনের চালে কেজিতে দুই টাকা বেড়ে গেছে। মিনিকেট চালের কেজি ৯০ টাকা, ২৮ চাল ৫৬ টাকা, মোটা চাল স্বর্ণা ৪৮ টাকা, পাইজাম ৫৫ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে ।
স্থিতিশীল মাংস-মাছের বাজার
আগের মতোই গরুর মাংস ৬৫০ টাকা, খাসির মাংস ৯০০ থেকে ৯৫০ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে বলে জনপ্রিয় মাংস বিতানের জসিম জানান। তবে গত সপ্তাহে পাকিস্তানি মুরগির দাম কেজিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা বেড়ে ৩২০ কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। এ সব আগের মতোই ৩২০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে।
পোল্ট্রি ১৭০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগি ৩২০ টাকা ও দেশি মুরগি ৪৫০-৫০০ কেজি টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। অন্যান্য মুরগির ব্যবসায়ীরাও বলছেন, বাজারে বেশি দাম, তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
ইলিশের কেজি এক হাজার থেকে ১৬০০ টাকা কেজি। টেংরা মাছ ৬০০ থকে ৮০০ টাকা, আইড় এক হাজার টাকা, রুই ও কাতল ২৮০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজি। তবে মাছ ব্যবসায়ী বাদশা মিয়া জানান অরিজিনাল নদীর কাতলা মাছ ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। চিংড়ি ৪০০ থেকে ৮০০ টাকা, বোয়াল ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা। কাচকি ৩০০ থেকে ৪৫০, বাতাসি ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে।