স্টাফ রিপোর্টারঃ পাবনার সাঁথিয়ায় পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি দরে। আর এই মরিগ গত এক সপ্তাহ আগেও ১০০ থেকে ১২০ টাকা এবং দুই সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছে ২২০ থেকে ২৪০ টাকা কেজি দরে।
উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সাঁথিয়া উপজেলায় কাঁচা মরিচ আবাদের মৌসুম এখন শেষের পথে। ১০০ হেক্টরের মতো জমিতে এখনো কাঁচা মরিচগাছ রয়েছে। সেই জমির গাছ থেকে কাঁচা মরিচ তুলে কৃষকেরা হাটে নিয়ে আসছেন। সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে এ উপজেলায় কাঁচা মরিচের উৎপাদন মৌসুম শেষ হয়ে যাবে।
সাঁথিয়ায় মরিচের আবাদ শুরু হয় মার্চের শুরুতে। আগস্ট মাসের শেষ পর্যন্ত খেত থেকে মরিচ পাওয়া যায়। তবে সাধারণত এর মধ্যেই বৃষ্টি ও বর্ষায় মরিচগাছগুলো মরে যেতে থাকে। কিন্তু এবার বৃষ্টি ও বর্ষা কম হওয়ায় অনেক জমির মরিচগাছ এখনো রয়ে গেছে। এ ছাড়া এবার ভালো দাম পাওয়ায় এসব জমির কৃষকেরাও যত্ন করে মরিচগাছগুলো বাঁচিয়ে রেখেছেন।
কৃষি অফিস জানায়, এবার সাঁথিয়া উপজেলায় ২ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে মরিচের আবাদ হয়েছিল। বেশির ভাগ জমি থেকে কৃষকেরা মরিচগাছগুলো তুলে নেওয়ার পর উঁচু এলাকার প্রায় ১০০ হেক্টর জমিতে এখনো মরিচের গাছ রয়ে গেছে। ওই সব জমি থেকে মরিচ তুলে কৃষকেরা বাজারে আনছেন।
হাটের ব্যবসায়ী ও আড়তদারেরা জানান, সাত দিন ধরে হাটে কাঁচা মরিচের দাম কমছে। সপ্তাহখানেক আগে এই হাটেই প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ কৃষকেরা পাইকারি ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছেন। আবার এরও আগে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি দরে (পাইকারি) বিক্রি হয়েছে।
হাটের কাঁচামালের আড়তদাররা জানান, রাজশাহী, বগুড়া, কুষ্টিয়া, যশোরসহ দেশের অনেক জেলাতে নতুন কাঁচা মরিচ উঠতে শুরু করায় দাম এখন প্রতিদিনই কমছে।
মরিচ চাষিরা বলেন, জমিতে মরিচের আবাদ করে এবার ভালো দাম পেয়েছি। আবাদে লাভ হওয়ায় সব মরিচ চাষিই এবার খুশি। অন্য বছর এই সময়ে জমির সব মরিচগাছ নষ্ট হয়া যায়। কিন্তু এবার বৃষ্টি না হওয়ায় গাছ বেঁচে আছে। তবে গাছের বয়স বেশি হওয়ায় ফলনও কমেছে।
এদিকে পাইকারিতে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হলেও খুচরা বাজারে আজ ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ বিক্রি হতে দেখা যায়।