স্টাফ রিপোর্টার: সক্ষমতার প্রতীক পদ্মা সেতু দিয়ে সর্ব সাধারণের যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে। রবিবার (২৬ জুন) সকাল ৬টার দিকে শুরু হয় যানবাহন চলাচল। এর মধ্য দিয়ে সর্বসাধারণের চলাচল শুরু হয়।
সকাল ৬টায় পদ্মা সেতুর এবং জাজিরা প্রান্তে দেখা গেছে শত শত যানবাহন সেতু পারাপারের জন্য টোল প্লাজা খোলার অপেক্ষায় রয়েছে। তবে চার চাকার যানবাহনের চেয়ে মোটরসাইকেলের সারি ছিল দীর্ঘ। উৎসুক সাধারণ মানুষের উপস্থিতি ছিল ব্যাপক।
সকাল থেকেই দুই প্রান্তের ১৪টি টোল গেট চালু করা হয়। সবকয়টি গেটে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে টোল আদায় করা হচ্ছে।
সরকারের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, পদ্মা সেতু পারাপারে মোটরসাইকেলের টোল নির্ধারণ করা হয়েছে ১০০ টাকা, কার ও জিপে ৭৫০ টাকা, পিকআপে এক হাজার ২০০ টাকা, মাইক্রোবাসে এক হাজার ৩০০ টাকা টোল পরিশোধ করতে হবে।
বাসের ক্ষেত্রে টোল নির্ধারণ করা হয়েছে- ছোট বাস (৩১ আসন) এক হাজার ৪০০ টাকা, মাঝারি বাস (৩২ আসন বা এর বেশি) দুই হাজার টাকা, বড় বাস (থ্রি-এক্সেল) প্রতি দুই হাজার ৪০০ টাকা।এ ছাড়া ছোট ট্রাককে (পাঁচ টন পর্যন্ত) এক হাজার ৬০০ টাকা, মাঝারি ট্রাকে (পাঁচ টনের বেশি ও সর্বোচ্চ আট টন পর্যন্ত) দুই হাজার ১০০ টাকা, মাঝারি ট্রাক (৮ টনের বেশি ও সর্বোচ্চ ১১ টন) দুই হাজার ৮০০ টাকা, ট্রাকে (থ্রি-এক্সেল পর্যন্ত) পাঁচ হাজার ৫০০ টাকা, ট্রেইলার (ফোর-এক্সেল পর্যন্ত) ছয় হাজার টাকা। আর ট্রেইলার (ফোর-এক্সেলের অধিক) ছয় হাজারের সঙ্গে প্রতি এক্সেলের জন্য এক হাজার ৫০০ টাকা যুক্ত হবে।
দেশের দক্ষিণ, দক্ষিণ পশ্চিমের ২১টি জেলার বঞ্চনার অবসান ঘটে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে। শনিবার (২৫ জুন) সকাল ১১টা ৫৮ মিনিটে পদ্মা সেতুর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সেদিন নিজের গাড়িবহর নিয়ে পদ্মা সেতু দিয়ে জাজিরা প্রান্তে শিবচর কাঠালবাড়ি জনসভায় যোগদান করেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে জনসভায় বক্তব্য প্রদান শেষে সেতুর এক কিলোমিটার এলাকা পায়ে হেঁটে চলাচলের সুযোগ দেওয়া হয়। তবে উৎসবমুখর মানুষ সকল বাধা অতিক্রম করে সেতুতে মানুষের ঢল নামে।
শনিবার মাওয়া প্রান্তের টোল প্লাজায় নিজের গাড়ির টোল ৭৫০ টাকা এবং বহরে থাকা ১৮টি গাড়িসহ সব মিলে ১৬ হাজার ৪০০ টাকা টোল দিলেন প্রধানমন্ত্রী। এর মধ্য দিয়ে পদ্মা সেতু থেকে রাজস্ব আহরণ শুরু হলো। প্রধানমন্ত্রীই প্রথম ব্যক্তি যিনি টোল দিয়ে পদ্মা সেতু পার হয়েছেন।