ক্রীড়া ডেক্স :২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ডাবল সেঞ্চুরির (২০৩*) পরের ২০ ইনিংসে নেই কোনো সেঞ্চুরি। মাঝের দুই বছর যে খুব রানখরায় ভুগেছেন তা নয়। এর মধ্যে ৪ বার পঞ্চাশে পা রেখেছেন, একবার শতরানের খুব কাছাকাছি (৯১) গিয়েও অল্পের জন্য পারেননি।
তবে এ বছর জানুয়ারিতে মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়ের ম্যাচ থেকে শুরু করে টানা তিন টেস্টের ৬ ইনিংসে (১২, ৫, ৭, ০, ৫১ ও ১) একবার ছাড়া কথা বলেনি মুশফিকুর রহিমের ব্যাট। অবশেষে এবার ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে আবার নিজেকে ফিরে পেয়েছেন মুশফিক।
চট্টগ্রাম ও ঢাকায় পরপর দুই টেস্টে (১০৫ ও ১৭৫*) আবার দেখা মিলেছে চিরচেনা মিস্টার ডিপেন্ডেবলের। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে পুরো টেস্ট, টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে সিরিজে দেখা যাবে না আবার রানে ফেরা মুশফিকের। পবিত্র হজ পালনের জন্য পুরো সফরে ছুটিতে থাকবেন মুশফিক।টপঅর্ডারে তামিম ইকবাল ছাড়া ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ও দুই বাঁহাতি নাজমুল হোসেন শান্ত, মুমিনুল হকরা কেউ ফর্মে নেই। তিনজনই শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ব্যর্থতার ঘানি টেনেছেন। তাদের টানা ব্যর্থতায় দল ভুগেছে বেশ। বিপর্যয়ের মুখে লিটন দাসের সঙ্গে জুটি বেঁধে পরপর দুই টেস্টে হাল ধরেছেন মুশফিক।
খুব স্বাভাাবিকভাবেই ওয়েস্ট ইন্ডিজে তার অভাববোধ হবে। ফর্ম ফিরে পাওয়া মুশফিককে দল কতটা মিস করবে? তার অভাব কি পূরণ হবে? টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজনও চিন্তিত। তারও ধারণা মুশফিককে মিস করবে দল। তার জায়গাটা পূরণ করা কঠিন হবে।তবে মুশফিকের অনুপস্থিতির ব্যাখ্যায় টিম ডিরেক্টর একটু অন্যভাবে দেখতে চান। ইন ফর্ম মুশফিকের চেয়েও সুজনের কাছে মিস্টার ডিপেন্ডেবলের দীর্ঘ আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতাকে বড় করে দেখার পক্ষে সুজন। তার কথা, ‘মুশফিক আবার ছন্দে ফিরেছে, পরপর দুই টেস্টে সেঞ্চুরি করেছে- সেটাই একমাত্র বিবেচ্য নয়।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমার কাছে মুশফিকের দুটি লম্বা ইনিংসের চেয়েও তার দীর্ঘ আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা অনেক বড়। দীর্ঘদিন দেশে ও দেশের বাইরে অনুকূল, প্রতিকূল পরিবেশে অনেক ম্যাচে সে দলকে সার্ভিস দিয়েছে। তার অভিজ্ঞতার ভান্ডার বিশাল। আমি সেই অভিজ্ঞতাটাকে মিস করবো।’
সুজন আরও যোগ করেন, ‘আমাদের দলে অভিজ্ঞ ব্যাটারই মাত্র তিনজন (তামিম, মুশফিক ও সাকিব)। এখন মুশফিক না থাকার অর্থ একজন অভিজ্ঞ পারফরমার কমে যাওয়া। কখন কোন পরিবেশে কী করণীয়? তা মুশফিকের খুব ভাল জানা। এমন এক অভিজ্ঞ পারফরমারের দীর্ঘ আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতাকেই আমরা মনে হয় বেশি মিস করবো।’