ঢাকা ০৮:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বগুড়ার শেরপুরে যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার

বগুড়া প্রতিনিধি :বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় এনামুল হক (৩০) নামের এক যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২৬ মে) সকাল ৯টায় গাড়িদহ ইউনিয়নের হাপুনিয়া মহাবাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত এনামুল হক হাপুনিয়া কলোনি এলাকার মোতালেবের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, সাত বছর আগে হাপুনিয়া এলাকার সালমা খাতুন নামের এক মহিলাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছিলেন এনামুল হক। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হলে তিনি তিন বছর কারাভোগ করেন। এরপর চার বছর আগে তিনি জামিনে মুক্তি পান।

এর পর থেকে তিনি মানসিক ভারসাম্যহীনভাবে চলাফেরা করতেন এবং অনেক সারারাত বাজার এলাকা ও আশপাশে ঘোরাফেরা করে সকালে বাড়িতে ফিরতেন। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার রাতে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। সকালে স্কুলমাঠে শহীদ মিনারের পাশে তার লাশ দেখতে পেয়ে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

এনামুল হক তার খালা জাহানারা খাতুনের বাড়িতে থাকতেন। এ বিষয়ে জাহানারা খাতুন বলেন, ‘সে মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল। তাকে একটি টিনের ঘর দেয়া হয়েছিল, ঘরটি সে বিক্রি করে ফেলেছে। পরে আবারো একটি ছোট্ট কুঁড়েঘর করে দেয়া হয় তাকে।

সারারাত বাজার এলাকায় ঘোরাফেরা করে সকাল বেলা বাড়িতে এসে সে ওই কুঁড়েঘরে ঘুমাতো। আজ সকালে সে আর বাড়িতে ফেরেনি। সকাল সাড়ে আটটায় এলাকাবাসী তার লাশ দেখে আমাকে খবর দেয়।’

এ বিষয়ে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহীদুল ইসলাম জানান, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। লাশের গলায় ও পেটে ছুরির আঘাত পাওয়া গেছে। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।

ট্যাগস

বগুড়ার শেরপুরে যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার

আপডেট সময় ১১:৩৫:৫৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ মে ২০২২

বগুড়া প্রতিনিধি :বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় এনামুল হক (৩০) নামের এক যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২৬ মে) সকাল ৯টায় গাড়িদহ ইউনিয়নের হাপুনিয়া মহাবাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত এনামুল হক হাপুনিয়া কলোনি এলাকার মোতালেবের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, সাত বছর আগে হাপুনিয়া এলাকার সালমা খাতুন নামের এক মহিলাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছিলেন এনামুল হক। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হলে তিনি তিন বছর কারাভোগ করেন। এরপর চার বছর আগে তিনি জামিনে মুক্তি পান।

এর পর থেকে তিনি মানসিক ভারসাম্যহীনভাবে চলাফেরা করতেন এবং অনেক সারারাত বাজার এলাকা ও আশপাশে ঘোরাফেরা করে সকালে বাড়িতে ফিরতেন। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার রাতে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। সকালে স্কুলমাঠে শহীদ মিনারের পাশে তার লাশ দেখতে পেয়ে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

এনামুল হক তার খালা জাহানারা খাতুনের বাড়িতে থাকতেন। এ বিষয়ে জাহানারা খাতুন বলেন, ‘সে মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল। তাকে একটি টিনের ঘর দেয়া হয়েছিল, ঘরটি সে বিক্রি করে ফেলেছে। পরে আবারো একটি ছোট্ট কুঁড়েঘর করে দেয়া হয় তাকে।

সারারাত বাজার এলাকায় ঘোরাফেরা করে সকাল বেলা বাড়িতে এসে সে ওই কুঁড়েঘরে ঘুমাতো। আজ সকালে সে আর বাড়িতে ফেরেনি। সকাল সাড়ে আটটায় এলাকাবাসী তার লাশ দেখে আমাকে খবর দেয়।’

এ বিষয়ে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহীদুল ইসলাম জানান, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। লাশের গলায় ও পেটে ছুরির আঘাত পাওয়া গেছে। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।