সময় বদলেছে আর সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে দেশে বাড়ছে বেকারত্বের হাড়। ট্রেড ইকোনমিক্স সংস্থার তথ্যমতে এশিয়া মহাদেশের মধ্যে বাংলাদেশ বেকারত্ব হারের তালিকায় ১৯ তম স্থানে রয়েছে। বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ৫.৩% বেকার।
আর এই বেকারত্ব দূর করনে বর্তমানে দেশের অনেক যুবক আউটসোর্সিং বা ফ্রিল্যান্সিং পেশার দিকে ঝুকছে।
ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) মূলত এমন একটি পেশা যেখানে আপনি ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। এটি সাধারন চাকরির মতোই, কিন্তু ভিন্নতা হলো এখানে আপনি আপনার স্বাধীন মতো কাজ করতে পারবেন।
একই চিত্র উত্তরের জেলা নওগাঁ তেও। নওগাঁতেও অনেক যুবক প্রচলিত চাকরির পেছনে না ছুটে বেছে নিচ্ছেন মুক্ত কর্ম সংস্থান বা ফ্রিল্যান্সিং। তেমনই একজন নিরব কুমার দাস। তিনিও বসে না থেকে করছেন ফ্র্রিল্যান্সিং। প্রথমে সামান্য কিছু আয় দিয়ে শুরু করলেও এখন তাঁর মাসিক আয় লক্ষাধিক টাকা। নিজের উপার্জনের পাশাপাশি অন্যকে এই কাজের জন্য সুযোগ করে দিতে একটি প্রতিষ্ঠানও করেছেন তিনি।
নানা চরায়-উৎরায় পেরিয়ে “নীরব দাশ” এখন একজন সফল ফ্রিল্যান্সার। নীরব দাশের সাথে কথা বললে তিনি জানান, বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং সাইটে তিনি এখন সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, ডিজিটাল মার্কেটিং, সোসাল মিডিয়া মার্কেটিং কাজের পাশাপাশি ওয়েব পেজ ডেভলোপিং এও নিজেকে দক্ষ করে তুলছেন।
নিরব বলেন, ‘প্রথম যে দিন আয় করেছিলাম সেদিনের কথা আজও বারবার মনে পড়ে, দিনে বহু বার প্রোফাইলে গিয়ে রিভিউটা দেখতাম, কত ডলার যোগ হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে অনেক তরুণ-তরুণী আসছে এ সেক্টরে, তাদের উদ্দ্যেশে একটাই কথা নিজেকে দক্ষ করে লেগে থাকতে হবে, সাফল্যে একদিন ধরা দেবেই।’