এইচ এম শাহারিয়ার, নওগাঁঃ নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলায় ২৬ডিসেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। শেষ মুহুর্তের নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ততম সময় পার করছেন প্রার্থীরা। উপজেলার খেলনা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৪জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছেন।
এই ইউনিয়নের নির্বাচনের আলোচনার মুল কেন্দ্র বিন্দুতে রয়েছে চাচা-ভাতিজার ভোটযুদ্ধ।
চাচা বর্তমান চেয়ারম্যান মো. আব্দুস ছালাম গত ৫বছর দায়িত্ব পালনকালে নানারকম বিতর্কের জন্ম দেওয়ায় এ বছর তিনি নৌকার মনোনয়ন হতে বঞ্চিত হন। ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন লাভ করেন আব্দুস ছালামের ভাতিজা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. নাজমুল হোসেন। অপর দিকে দলীয় মনোনয়ন না পাওয়া আব্দুস ছালাম ঘোড়া প্রতীক নিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের মাঠে নামে।
এদিকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করায় সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুস ছালামকে সম্প্রতি দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। খেলনা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সর্বমোট ৪ চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।
সরেজমিনে খেলনা ইউনিয়নে গিয়ে সাধারণ মানুষের সাথে কথা বললে তারা জানান; সৎ, কর্মঠ, যোগ্য প্রার্থীকে তারা চেয়ারম্যান হিসাবে দেখতে চান।
আবার অনেকে বলছেন; আওয়ামী লীগ সমর্থীত নাজমুল হোসেনের মনোনয়ন যথার্থ হয়েছে। যে ইউনিয়নে সাধারণ জনগনের জন্য কাজ করা, এলাকার উন্নয়ন করা এবং আওয়ামী লীগের সুনাম ধরে রাখার ক্ষেত্রে নাজমুল হোসেন একজন যোগ্য প্রার্থী হওয়ায় তাঁকেই তাঁরা ভোট দিয়ে জয়ী করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করছেন।
খেলনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী বলেন, নৌকার প্রার্থী নাজমুল হোসেন দীর্ঘদিন ধরে তৃণমুলের রাজনীতির সাথে জড়িত। সাধারণ মানুষের সাথে তিনি নিয়মিত মেলামেশা করায় এলাকায় তাঁর বেশ সুনাম ও গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। সাধারণ মানুষের বিপদে-আপদে আমরা সব সময় তাঁকে মানুষের পাশে থাকতে দেখেছি। নির্বাচনে নাজমুল হোসেনের জয়ী হওয়ার বিষয়ে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন এই নেতা।
এ বিষয়ে নাজমুল হোসেন এর সাথে কথা বললে তিনি জানান; নৌকা স্বাধীনতার প্রতীক, মুক্ত মানুষের প্রতীক। তাই সাধারণ মানুষকে সাথে নিয়ে তিনি প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি প্রচারণার জন্য যেখানেই যাচ্ছেন সেখানেই ভোটারদের ঢল নামছে। জয়ের বিষয়ে শতভাগ আশাবাদ ব্যক্ত করে এই তরুণ নেতা।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচিত হতে পারলে আমার প্রথম কাজ হলো ইউনিয়ন পরিষদের কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা। সাধারণ মানুষের জন্য যোগ্যতা অনুযায়ী আমি সেবা নিশ্চিত করার চেষ্টা করা, মানুষ যাতে ইউনিয়ন পরিষদে সেবা নিতে এসে খুশি মনে ফিরে যেতে পারে সেটাই হবে ভোটরদের জন্য আমার উপহার।