ঢাকা ০৯:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জামালপুরে রাস্তায় শুয়ে স্কুলে ভর্তির দাবি জানালো শিক্ষার্থীরা

জামালপুরে রাস্তায় শুয়ে স্কুলে ভর্তির দাবি জানালো শিক্ষার্থীরা

জামালপুর প্রতিনিধি:  লটারিতে উত্তীর্ণ হয়েও বয়সের জটিলতায় জামালপুর জিলা স্কুলে ভর্তি হতে পারছে না ২৫ শিক্ষার্থী। অবশেষে সড়কে শুয়ে বিভাগীয় কমিশনারসহ সরকারি অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারদের পথ অবরোধ করে প্রতিবাদ করেছে তারা।

স্কুল সূত্রে জানা গেছে, ২৫ নভেম্বর তৃতীয় শ্রেণিতে প্রভাতি ৫৯ জন ও দিবা শাখায় ৫৬ এবং ষষ্ঠ শ্রেণিতে প্রভাতি ৪৩ ও দিবা শাখায় ৫৩ ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন আহ্বান করা হয়। দুটি শ্রেণিতেই অনলাইনে লটারি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ভর্তি করার কথা রয়েছে। সেই অনুযায়ী ১৫ ডিসেম্বর সারা দেশে একযোগে লটারি হয়।

ওই লটারিতে উত্তীর্ণ তৃতীয় ও ষষ্ঠ শ্রেণির কিছু ছাত্রের বয়স সংক্রান্ত জটিলতা দেখা দেয়। নীতিমালা অনুযায়ী এ সকল শিক্ষার্থীদের বয়স কম। ফলে স্কুল কর্তৃপক্ষ তাদের এখনো ভর্তি নেয়নি।

সূত্র জানায়, ভর্তির নীতিমালা অনুযায়ী তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তি হতে হলে শিক্ষার্থীর বয়স কমপক্ষে আট বছর বা তার বেশি হতে হবে। ষষ্ঠ শ্রেণির ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর বয়স হবে কমপক্ষে ১১ বছর। কিন্তু তাদের সেটা পূরণ হয়নি।

এর আগে ভর্তির সুযোগ চেয়ে সোমবার মানববন্ধন করেন তাদের অভিভাবকরা। তাদের অভিযোগ, যথাযথ ভর্তি নির্দেশনা মেনে আবেদন করে লটারিতে উত্তীর্ণ হয়েছে তাদের সন্তানরা। কোমলমতি শিশুদের শিক্ষার অধিকার বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকার ঘোষণা দেন তারা।

মঙ্গলবার সকালে জামালপুর জেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিষয়ে সভায় যোগ দিতে ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার মো. শফিকুল রেজা বিশ্বাস, ময়মনসিংহ রেঞ্জ উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক, ব্যারিস্টার মো. হারুন অর রশিদ, বিজিবি ময়মনসিংহের সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মো.মাহমুদুর রহমান পিএসসি, মুহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী উপ মহাপরিচালক বাংলাদেশ আনসার, মো. শাহেদুন্নবী আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ময়মনসিংহ, জামালপুর জেলা প্রশাসক মর্শেদা জামান ও পুলিশ সুপার নাছির উদ্দিন আহমেদসহ সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা যোগ দিতে যাওয়ার সময় শিল্পকলার প্রধান ফটকের মাটিতে শুয়ে শিশুরা পথ অবরোধ করে ভর্তির দাবি ও লিখিত আবেদন জানায়।

অভিভাবকরা জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে যে বয়সসীমা দেওয়া আছে স্কুল কর্তৃপক্ষ বলছে সেটার সংশোধন করা হয়েছে। তাই আমরা হতাশায় ভুগছি।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর অভিভাবক মো. সোলায়মান আরজু জানান, সরকারের বেঁধে দেওয়া সকল নীতিমালা অনুসরণ করে আমরা আবেদন করেছি এবং আমার ছেলে লটারিতে উত্তীর্ণ হয়েছে। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ বলছে বয়স কম হওয়ায় ভর্তি করা যাবে না।

অভিভাবক লুৎফা আক্তার বলেন, আমার ছেলে শারীরিক প্রতিবন্ধী কোঠায় উত্তীর্ণ হয়েছে কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ বলছে তার বয়স ৭ দিন কম, তাই ভর্তি করা যাবে না।

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার মো. শফিকুল রেজা বিশ্বাস শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উদ্দেশে বলেন, আপনাদের দাবি আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠাবো এবং খুব শিগগিরই আপনাদের জানিয়ে দেওয়া হবে। এই বিষয়টি নিয়ে আমি নিজে কথা বলবো। শিশুদের এই বিষয়টি নজরে না আনার কোনো কারণ নেই।

ট্যাগস

জামালপুরে রাস্তায় শুয়ে স্কুলে ভর্তির দাবি জানালো শিক্ষার্থীরা

আপডেট সময় ০৩:২০:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২১

জামালপুর প্রতিনিধি:  লটারিতে উত্তীর্ণ হয়েও বয়সের জটিলতায় জামালপুর জিলা স্কুলে ভর্তি হতে পারছে না ২৫ শিক্ষার্থী। অবশেষে সড়কে শুয়ে বিভাগীয় কমিশনারসহ সরকারি অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারদের পথ অবরোধ করে প্রতিবাদ করেছে তারা।

স্কুল সূত্রে জানা গেছে, ২৫ নভেম্বর তৃতীয় শ্রেণিতে প্রভাতি ৫৯ জন ও দিবা শাখায় ৫৬ এবং ষষ্ঠ শ্রেণিতে প্রভাতি ৪৩ ও দিবা শাখায় ৫৩ ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন আহ্বান করা হয়। দুটি শ্রেণিতেই অনলাইনে লটারি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ভর্তি করার কথা রয়েছে। সেই অনুযায়ী ১৫ ডিসেম্বর সারা দেশে একযোগে লটারি হয়।

ওই লটারিতে উত্তীর্ণ তৃতীয় ও ষষ্ঠ শ্রেণির কিছু ছাত্রের বয়স সংক্রান্ত জটিলতা দেখা দেয়। নীতিমালা অনুযায়ী এ সকল শিক্ষার্থীদের বয়স কম। ফলে স্কুল কর্তৃপক্ষ তাদের এখনো ভর্তি নেয়নি।

সূত্র জানায়, ভর্তির নীতিমালা অনুযায়ী তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তি হতে হলে শিক্ষার্থীর বয়স কমপক্ষে আট বছর বা তার বেশি হতে হবে। ষষ্ঠ শ্রেণির ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর বয়স হবে কমপক্ষে ১১ বছর। কিন্তু তাদের সেটা পূরণ হয়নি।

এর আগে ভর্তির সুযোগ চেয়ে সোমবার মানববন্ধন করেন তাদের অভিভাবকরা। তাদের অভিযোগ, যথাযথ ভর্তি নির্দেশনা মেনে আবেদন করে লটারিতে উত্তীর্ণ হয়েছে তাদের সন্তানরা। কোমলমতি শিশুদের শিক্ষার অধিকার বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকার ঘোষণা দেন তারা।

মঙ্গলবার সকালে জামালপুর জেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিষয়ে সভায় যোগ দিতে ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার মো. শফিকুল রেজা বিশ্বাস, ময়মনসিংহ রেঞ্জ উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক, ব্যারিস্টার মো. হারুন অর রশিদ, বিজিবি ময়মনসিংহের সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মো.মাহমুদুর রহমান পিএসসি, মুহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী উপ মহাপরিচালক বাংলাদেশ আনসার, মো. শাহেদুন্নবী আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ময়মনসিংহ, জামালপুর জেলা প্রশাসক মর্শেদা জামান ও পুলিশ সুপার নাছির উদ্দিন আহমেদসহ সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা যোগ দিতে যাওয়ার সময় শিল্পকলার প্রধান ফটকের মাটিতে শুয়ে শিশুরা পথ অবরোধ করে ভর্তির দাবি ও লিখিত আবেদন জানায়।

অভিভাবকরা জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে যে বয়সসীমা দেওয়া আছে স্কুল কর্তৃপক্ষ বলছে সেটার সংশোধন করা হয়েছে। তাই আমরা হতাশায় ভুগছি।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর অভিভাবক মো. সোলায়মান আরজু জানান, সরকারের বেঁধে দেওয়া সকল নীতিমালা অনুসরণ করে আমরা আবেদন করেছি এবং আমার ছেলে লটারিতে উত্তীর্ণ হয়েছে। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ বলছে বয়স কম হওয়ায় ভর্তি করা যাবে না।

অভিভাবক লুৎফা আক্তার বলেন, আমার ছেলে শারীরিক প্রতিবন্ধী কোঠায় উত্তীর্ণ হয়েছে কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ বলছে তার বয়স ৭ দিন কম, তাই ভর্তি করা যাবে না।

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার মো. শফিকুল রেজা বিশ্বাস শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উদ্দেশে বলেন, আপনাদের দাবি আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠাবো এবং খুব শিগগিরই আপনাদের জানিয়ে দেওয়া হবে। এই বিষয়টি নিয়ে আমি নিজে কথা বলবো। শিশুদের এই বিষয়টি নজরে না আনার কোনো কারণ নেই।