চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গায় যৌতুক না দেওয়ায় শ্বশুরসহ চারজনকে পিটিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে জামাই ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে।
সোমবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে আহতদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। এর আগে রাত ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সড়াবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- সড়াবাড়িয়া গ্রামের মৃত আবু বকর মল্লিকের ছেলে আবু তাহের মল্লিক (৫৫), তার দুই ছেলে (কনের দুলাভাই) শরিফুল ইসলাম (২৫), বাবু (১৬) ও কনের বাবা জীবননগর উপজেলার সেনেরহুদা গ্রামের উম্মাদ আলীর ছেলে মধু মিয়া (৪৫)।
আহত মধু মিয়া (মেয়ের বাবা) বলেন, বছর খানেক আগে আমার মেয়ে কনার (১৬) সঙ্গে সড়াবাড়িয়া গ্রামের বিশ্বাসপাড়ার আজিজুল মল্লিকের ছেলে শাওনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আড়াই মাস আগে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়।
বিয়ের পর থেকেই জামাই শাওনসহ তার পরিবারের সদস্যরা যৌতুক বাবদ একটি মোটরসাইকেল, স্বর্ণের আংটি ও স্মার্টফোন দাবি করে আসছে। আমি দরিদ্র হওয়ায় তাদের দাবি মেনে নিতে পারিনি। এ নিয়ে মাঝেমধ্যেই আমার মেয়েকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়ার কথা বলে।
সোমবার সকালে আমার বেয়ান ময়না খাতুন মোবাইল ফোনে আবারও যৌতুক দাবি করেন। আমি একমত না হওয়ায় বিকেলে আমার বাড়িতে চলে আসেন তারা। পরে রাতে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে উভয়পক্ষের সম্মতিতে যৌতুক না নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এরপর শাওনের মা ময়না খাতুন গালিগালাজ শুরু করেন।
এতে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন উভয়পক্ষ। এক পর্যায়ে শাওন, তার বাবা আজিজুল ও তার তিনভাই বাঁশ দিয়ে আমাদের বেধড়ক পিটিয়ে জখম করে। পরে স্থানীয়রা আমাদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শাকিল জানান, আবু তাহেরের মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি আশঙ্কামুক্ত নন। তার শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। প্রয়োজনে উন্নত চিকিৎসার জন্য বাইরে পাঠানো হতে পারে। আহত বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফুল কবীর জানান, রাতে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। তবে ওই ঘটনায় এখনও কেউ অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।