ঢাকা ০১:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
Logo বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার সময় ‘মিয়ানমার নৌবাহিনীর গুলিতে’ বাংলাদেশি জেলে আহত Logo সাম্প্রদায়িক উসকানিতে পা না দিয়ে দেশবাসীকে সজাগ থাকাতে হবে: মামুনুল হক Logo ঝালকাঠিতে সম্পত্তি লিখে নিতে বাবাকে ৮ দিন তালাবদ্ধ করে রাখলেন মেয়েরা Logo চীন সরকারের আমন্ত্রণে, চীন সফরে গেলেন জামায়াত ও অন্যান্য দলের প্রতিনিধিরা Logo ১৫ বছর পর রিয়াল মাদ্রিদকে হারিয়ে লিভারপুলের জয় Logo ২০০ টাকার হিসাব দিতে না পারায় স্বামীর হাতে প্রাণ গেল স্ত্রীর Logo কর ফাঁকির ২ মামলা থেকে তারেক রহমানকে অব্যাহতি Logo এই ইসকন জঙ্গি, তারা স্বৈরাচারের সঙ্গী: হাসনাত আবদুল্লাহ Logo জটিলতা কাটিয়ে হিলি দিয়ে আসছে পেঁয়াজ Logo নওগাঁর পত্নীতলায় আমনের ভালো ফলন কাঙ্ক্ষিত দাম নিশ্চিত করার দাবি চাষিদের

শহীদ মিনারে ফুল দিতে গিয়ে আ’লীগ-বিএনপির সংঘর্ষ

শহীদ মিনারে ফুল দিতে গিয়ে আ’লীগ-বিএনপির সংঘর্ষ

বগুড়া প্রতিনিধি:  বগুড়ার নন্দীগ্রামে শহীদ মিনারে ফুল দেওয়ার সময় ‘খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই’ স্লোগান দেওয়ায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় উভয় পক্ষের অন্তত ১৩ জন আহত হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয়েছে ১০টির বেশি মোটরসাইকেল।

এ ঘটনায় বিএনপি ও আওয়ামী লীগ উভয় দলই স্থানীয় প্রশাসনকে দায়ী করে বিজয় দিবসে উপজেলা প্রশাসনের কর্মসূচি বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৮টায় নন্দীগ্রাম বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, সকাল ৭টার দিকে নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রফিকুল ইসলাম ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রানা’র নেতৃত্বে দলীয় নেতাকর্মীরা উপজেলা পরিষদ চত্বরের শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে যান।

এরআগে বগুড়া-৪ আসনের বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য মোশারফ হোসেনের নেতৃত্বে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা শহীদ মিনারে যান। শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পনের সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তারেক রহমানের দেশে ফিরিয়ে আনার দাবিতে স্লোগান দিলে সেখানে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।

পরে বিএনপি নেতাকর্মীরা তড়িঘড়ি করে শ্রদ্ধাঞ্জলী নিবেদন শেষে বাসস্ট্যান্ডে ফিরে আসেন। বিএনপি নেতাকর্মীরা একটি হোটেলে বসে নাস্তা করছিলেন। এ সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বাসস্ট্যান্ড চত্বরে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পমাল্য অর্পণ করতে যান এবং দলীয় স্লোগান দিতে থাকেন।

এ সময় হোটেলে থাকা বিএনপির নেতাকর্মীরাও দলীয় স্লোগান দিতে শুরু করলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। একপর্যায়ে এক পক্ষ আরেক পক্ষের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। এ সময় কমপক্ষে ১০টির বেশি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। সংর্ঘষে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১৩ জন আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

জানতে চাইলে বগুড়া-৪ (নন্দীগ্রাম-কাহালু) আসনের সংসদ সদস্য মোশাররফ হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগের লোকজন আমাদের ওপর হামলা করেছে। এতে ৬ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এরমধ্যে একজনকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। আমি এমপি হিসেবে পুলিশের কাছে নিরাপত্তা চেয়েও পাইনি। এ কারণে নন্দীগ্রাম ও কাহালু উপজেলা প্রশাসনের বিজয় দিবসের কর্মসূচি বর্জন করেছি।

অপরদিকে নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রফিকুল ইসলাম বলেন, বিএনপির লোকজন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের দেশে ফিরিয়ে আনার দাবিতে স্লোগান দিয়ে হোটেল থেকে আওয়ামী লীগ অফিসে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে ৭ জন নেতাকর্মী আহত হন।

তিনি বলেন, বিএনপি বহিরাগত লোকজন এনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে বিজয় দিবসের পরিবেশ নষ্ট করেছে। এ কারণে আমরা উপজেলা প্রশাসনের বিজয় দিবসের কর্মসূচি বর্জনের ঘোষণা দিয়েছি।

এ বিষয়ে নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, শহীদ মিনারে ফুল দেওয়ার পর বাসস্ট্যান্ড চত্বরে বিএনপি-আওয়ামী লীগের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

ট্যাগস
সর্বাধিক পঠিত

বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার সময় ‘মিয়ানমার নৌবাহিনীর গুলিতে’ বাংলাদেশি জেলে আহত

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

শহীদ মিনারে ফুল দিতে গিয়ে আ’লীগ-বিএনপির সংঘর্ষ

আপডেট সময় ১২:০৬:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২১

বগুড়া প্রতিনিধি:  বগুড়ার নন্দীগ্রামে শহীদ মিনারে ফুল দেওয়ার সময় ‘খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই’ স্লোগান দেওয়ায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় উভয় পক্ষের অন্তত ১৩ জন আহত হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয়েছে ১০টির বেশি মোটরসাইকেল।

এ ঘটনায় বিএনপি ও আওয়ামী লীগ উভয় দলই স্থানীয় প্রশাসনকে দায়ী করে বিজয় দিবসে উপজেলা প্রশাসনের কর্মসূচি বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৮টায় নন্দীগ্রাম বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, সকাল ৭টার দিকে নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রফিকুল ইসলাম ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রানা’র নেতৃত্বে দলীয় নেতাকর্মীরা উপজেলা পরিষদ চত্বরের শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে যান।

এরআগে বগুড়া-৪ আসনের বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য মোশারফ হোসেনের নেতৃত্বে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা শহীদ মিনারে যান। শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পনের সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তারেক রহমানের দেশে ফিরিয়ে আনার দাবিতে স্লোগান দিলে সেখানে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।

পরে বিএনপি নেতাকর্মীরা তড়িঘড়ি করে শ্রদ্ধাঞ্জলী নিবেদন শেষে বাসস্ট্যান্ডে ফিরে আসেন। বিএনপি নেতাকর্মীরা একটি হোটেলে বসে নাস্তা করছিলেন। এ সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বাসস্ট্যান্ড চত্বরে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পমাল্য অর্পণ করতে যান এবং দলীয় স্লোগান দিতে থাকেন।

এ সময় হোটেলে থাকা বিএনপির নেতাকর্মীরাও দলীয় স্লোগান দিতে শুরু করলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। একপর্যায়ে এক পক্ষ আরেক পক্ষের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। এ সময় কমপক্ষে ১০টির বেশি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। সংর্ঘষে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১৩ জন আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

জানতে চাইলে বগুড়া-৪ (নন্দীগ্রাম-কাহালু) আসনের সংসদ সদস্য মোশাররফ হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগের লোকজন আমাদের ওপর হামলা করেছে। এতে ৬ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এরমধ্যে একজনকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। আমি এমপি হিসেবে পুলিশের কাছে নিরাপত্তা চেয়েও পাইনি। এ কারণে নন্দীগ্রাম ও কাহালু উপজেলা প্রশাসনের বিজয় দিবসের কর্মসূচি বর্জন করেছি।

অপরদিকে নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রফিকুল ইসলাম বলেন, বিএনপির লোকজন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের দেশে ফিরিয়ে আনার দাবিতে স্লোগান দিয়ে হোটেল থেকে আওয়ামী লীগ অফিসে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে ৭ জন নেতাকর্মী আহত হন।

তিনি বলেন, বিএনপি বহিরাগত লোকজন এনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে বিজয় দিবসের পরিবেশ নষ্ট করেছে। এ কারণে আমরা উপজেলা প্রশাসনের বিজয় দিবসের কর্মসূচি বর্জনের ঘোষণা দিয়েছি।

এ বিষয়ে নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, শহীদ মিনারে ফুল দেওয়ার পর বাসস্ট্যান্ড চত্বরে বিএনপি-আওয়ামী লীগের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।