নন্দীগ্রাম প্রতিনিধি: বিয়ের জন্য মজুতকৃত মদ উদ্ধারে গিয়ে সংঘর্ষ, ৭ পুলিশ আহতবগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় চোলাই মদ উদ্ধারে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে আদিবাসীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ৭ পুলিশসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন। পরে সেখান থেকে পুলিশ ১৮ লিটার চোলাই মদ উদ্ধার করে।
মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে নন্দীগ্রাম উপজেলার বুড়ইল ইউনিয়নের দাসগ্রামে বৃন্দাবনপাড়ায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, আগামী শনিবার ওই এলাকায় জাম্বু মাহাতোর দুই মেয়ের বিয়ে। বিয়ে উপলক্ষে সামাজিক রীতি অনুযায়ী বর পক্ষের জন্য বাড়িতে চোলাই মদ তৈরি করে রাখা হয়। মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে নন্দীগ্রাম থানা পুলিশের একটি দল ওই বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় আদিবাসীদের ঘর তল্লাশিকালে পুলিশকে বাধা দেয়া হয়।
একপর্যায়ে আদিবাসীরা পুলিশের ওপর চড়াও হন। এ সময় আদিবাসী নারী-পুরুষ সংঘবদ্ধ হয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে আদিবাসী পল্লীর ৭-৮ জন নারী-পুরুষ আহত হন।
এছাড়া নন্দীগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রেজাউল করিমসহ ৭ পুলিশ সদস্য আদিবাসীদের হামলায় আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে এসআই রেজাউল করিমকে গুরুতর অবস্থায় বগুড়া জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অপর ৬ পুলিশ সদস্য স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
পরে থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং সুজন মাহাতো নামের একজনকে আটক করে। এ সময় জাম্বু মাহাতোর বাড়ি থেকে ১৮ লিটার চোলাই মদ উদ্ধার করে পুলিশ।
দাসগ্রামের আদিবাসী পল্লীর জাম্বু মাহাতো বলেন, পুলিশের মারপিটে আদিবাসীদের মধ্যে হরিদাস মাহাতো, ভক্তি রানী মাহাতো, অন্তরা মাহাতোসহ ৭-৮ জন আহত হন।
নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, তাদের হেফাজত থেকে চোলাই মদ উদ্ধার করতে গেলে আদিবাসীরা পুলিশের ওপর হামলা করে। এতে ৭ পুলিশ আহত হন। এ সময় ১৮ লিটার চোলাই মদ উদ্ধার করা হয়েছে।