ক্রীড়া ডেস্ক: সোমবার খবর ছড়িয়ে পড়েছিল, মুম্বাই বিমানবন্দরের কাস্টমসে রোববার রাতে আটকে দেওয়া হয়েছে ভারতীয় ক্রিকেটার হার্দিক পান্ডিয়ার পাঁচ কোটি রুপি মূল্যের দুইটি ঘড়ি। তা পুরোপুরি সত্য নয়। কাস্টকে ঘড়ি রেখে দেওয়া হয়েছে সত্যিই, তবে দুইটি নয় এবং মূল্যও পাঁচ কোটি রুপি নয়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে পাঁচ কোটি রুপির দুই ঘড়ি আটকে যাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ায় পান্ডিয়া নিজেই পরিষ্কার করেছেন পুরো বিষয়টি। এক বিস্তারিত বিবৃতিতে তিনি জানিয়েছেন, কাস্টমসে তার দেড় কোটি রুপি মূল্যের একটি ঘড়ি রাখা হয়েছে।
তবে সেটি কাস্টমসে আটকে রাখা হয়নি। বরং ঘড়ির মূল্য যথাযথ নির্ণয় করে সে অনুযায়ী কর নির্ধারণের জন্য করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পান্ডিয়া। এ বিষয়ে তিনি মুম্বাই বিমানবন্দরের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া বিবৃতিতে পান্ডিয়া লিখেছেন, ‘আমি স্বেছায়ই মুম্বাই বিমানবন্দরের কাস্টমসে গিয়েছিলাম নিজের কেনা সব জিনিস দেখিয়ে সে অনুযায়ী যথাযথ কর দেওয়ার জন্য। এ বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুল খবর উড়ে বেড়াচ্ছে। আমি তা পরিষ্কার করতে চাচ্ছি।’
‘কাস্টমসে আমি জানিয়েছি, দুবাই থেকে আইনগত দিক ঠিক রেখেই সবকিছু কিনেছি আমি এবং প্রয়োজন পড়লে কাস্টমসের চার্জ দিতেও রাজি আছি। এরপর তারা আমার সব কেনাকাটার কাগজ দেখতে চেয়েছে, সেগুলো দিয়েছি আমি। কাস্টমস এখন সবকিছুর যথাযথ নিরীক্ষণ করছে যে আমাকে কত চার্জ দিতে হবে।’
‘আমার ঘড়ির মূল্য দেড় কোটি রুপি, পাঁচ কোটি নয় যেমনটা সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে। আমি এই দেশের আইন মেনে চলা একজন নাগরিক এবং সরকারের সব সংস্থার নিয়ম মেনে চলি। কাস্টমসের কাছ থেকে পূর্ণাঙ্গ সহযোগিতাই করা হয়েছে আমাকে। আমিও পূর্ণ সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। আমার বিরুদ্ধে আইন ভাঙার কথা যা বলা হচ্ছে, তা পুরোপুরি ভিত্তিহীন।’