ডেক্স রিপোর্ট : ভোলায় ভাসমান খাঁচায় মাছ চাষ করে ভাগ্য বদলে যাচ্ছে অনেক বেকার যুবকের। স্বল্প পুঁজিতে খাঁচায় মাছ চাষ করে অধিক লাভবান হওয়ায় দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে যুবকদের।
ফলে বেড়েই চলেছে মুক্ত জলাশয়ে আধুনিক পদ্ধতিতে মাছ চাষিদের সংখ্যা। এতে এ জেলায় বেকারত্ব দূর হওয়ার পাশাপাশি বাড়ছে মাছের উৎপাদন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, জেলা সদরের চর সামাইয়া, ভেদুরিয়া, ভেলুমিয়া, ধনিয়াসহ বিভিন্ন উপজেলায় নদী ও খালের মুক্ত জলাশয়ে আধুনিক পদ্ধতিতে ভাসমান খাঁচায় মাছ চাষ করছে প্রায় এক হাজার ভূমিহীন।
এ পদ্ধতিতে মাছ চাষ করতে জিআই পাইপ ও ড্রাম দিয়ে প্রতিটি ভাসমান খাঁচা তৈরিতে খরচ হয় ১০ হতে ১২ হাজার টাকা। যেখানে চাষ হয় মনোসেক্স তেলাপিয়া, পাঙ্গাশ, সরপুটি ও কাপ জাতীয় মাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ।
২০১৬ সালের দিকে ভোলার বেসরকারি ‘গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থা’ থেকে বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ শেষে ভাসমান খাঁচায় মাছ চাষে শুরুতেই লাভবান হন তারা। এ উৎসাহ বেড়ে যায় তাদের। এরপর বছরে দুই বার প্রতি খাঁচা থেকে ২৫ হতে ৩০ হাজার টাকার মাছ বিক্রি হচ্ছে। এ পদ্ধতিতে স্বল্প পুঁজিতে অধিক লাভ হওয়ায় এ পদ্ধতিতে মাছ চাষিদের সংখ্যা ক্রমেই বাড়তে থাকে।
মাছ চাষি আ. রহিম, মো. কবির, মো. হোসেন জানান, ৪ বছর আগে প্রশিক্ষণ নিয়ে ভাসমান পদ্ধতিতে মাছ চাষ শুরু করেন। প্রতি খাঁচায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা করে লাভ হচ্ছে তাদের। তারা এখন অনেক ভালো আছেন।
মো. হুমায়ুন বলেন, আমাদের বাড়ির আশপাশে সবাই এ পদ্ধতিতে মাছ চাষ করে ভালো লাভবান হচ্ছেন। তাই এ বছর থেকে আমিও ৫টি খাঁচায় মাছ চাষ শুরু করেছি।
‘গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থা’র সহকারী পরিচালক আনিছুর রহমান টিপু জানান, বেড়িবাঁধ এলাকায় বসবাসরত বেকার যুবকদেরকে ভাসমান মাছ চাষের প্রশিক্ষণ শেষে ৪শ যুবককে একটি করে ভাসমান খাঁচা তৈরি করে দিয়েছি। তাদেরকে ২ হাজার তেলাপিয়ার পোনা দিয়েছি। তারা এ পদ্ধতিতে মাছ চাষ করে সবাই ভালো আছেন এবং অনেক বেকার যুবক এ মাছ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।