ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন মাঙ্গলুরুর কৃষ্ণারাজ রাই এবং ভ্রিন্দা রাই এর ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। ছোটবেলায় তার মা বাবা মুম্বাইয়ে চলে আসেন এবং তিনি সান্তা ক্রুজের আর্য বিদ্যা মন্দির উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন।
এরপর এক বছরের জন্য রাই চার্চ গেটের জয় হিন্দ কলেজে পড়াশোনা করেন এবং তারপর তিনি উচ্চ মাধ্যমিক পড়েন (এইচ এস সি) মাতুঙ্গার রুপারেল কলেজে থেকে। রাই বিয়ে করেছেন ভারতীয় অভিনেতা অভিষেক বচ্চনকে এবং তিনি অমিতাভ বচ্চন ও জয়া বচ্চনের পুত্রবধূ। বিবাহের পর তার নাম হয়েছে ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন।
১৯৯৪ সালে ভারতের প্রতিযোগী হিসেবে ‘মিস ওয়ার্ল্ড’-এ অংশ নিয়ে বিশ্বের সেরা সুন্দরী নির্বাচিত হন ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। এর পর ১৯৯৭ সালে ‘অউর পেয়ার হো গায়া’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক হয় তার।
তবে ঐশ্বরিয়া সবার নজর কাড়েন ১৯৯৯ সালে ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে। এই ছবিতে অভিনয়ের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করেছিলেন। ২০০২ সালে ‘দেবদাস’ সিনেমায় তিনি পার্বতী চরিত্রে অভিনয় করে ফের আলোচনায় আসেন।
২০০৩ থেকে ২০০৫ সাল ছিল তার কর্মজীবনের একটু বাজে সময়। এর পর তিনি অভিনয় করেন ব্লকবাস্টার ছবি ধুম ২ (২০০৬)-তে। এই ছবিটা ছিল তার বলিউডের বৃহত্তম অর্থনৈতিক সাফল্য ।
পরবর্তী সময় তাকে গুরু (২০০৭) এবং যোধা আকবর (২০০৮) এ অভিনয় করতে দেখা যায়, যেগুলো ছিল অর্থনৈতিকভাবে সফল ছবি এবং এই ছবিগুলোতে অভিনয়ের জন্য তিনি সমালোচকদের দ্বারা প্রশংসিতও হন। এইভাবে রাই ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতে তার সমকালীন অভিনেত্রীদের মধ্যে একজন অন্যতম অভিনেত্রী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন।
অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল, জোশ, মোহাব্বতে, আ আব লট চলে, ঢাই অক্ষর প্রেম কি, কুছ না কাহো, হাম তুমহারে হে সানাম, অ্যাকশন রিপ্লে, খার্কি, ফানি খান, চোখের বালি সিনেমাতে অভিনয় করে বেশ সাড়া তুলেছিলেন এই বিশ্বসুন্দরী।
কিছু হলিউড ছবিতেও সরব উপস্থিতি ঐশ্বরিয়ার। তিনি ব্রাইড অ্যান্ড প্রিজুডাইস (২০০৪) এর প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন। পল মায়দা বার্গেস পরিচালিত ডিনো ডি লরেন্টিয়াস ‘দ্য লাস্ট লেজিয়ান (২০০৭) কলিন ফিরথের বিপরীতে এবং স্যার বেন কিংসলে এবং স্টিভ মার্টিনের দ্য পিঙ্ক প্যান্থার ২ (২০০৯), দি মিস্ট্রেস অব স্পাইস (২০০৫) এ অভিনয় করেছেন।