ঢাকা ০৫:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উদ্বোধনের অপেক্ষায় দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের স্বপ্নের পায়রা সেতু

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : কর্ণফুলী সেতুর আদলে নির্মাণ করা হয়েছে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের স্বপ্নের পায়রা সেতু।  ২৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি এ সেতুর উদ্বোধন করবেন। ১৮ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সহকারী সচিব-১ ইসমাত মাহমুদা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

সেতু উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে এলাকায় উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করে বিভিন্ন পোস্ট দিয়েছেন সাধারণ জনগণ।

পায়রা নদীর ওপরে নির্মিত এই সেতু উদ্বোধন করলে ঢাকাসহ সারা দেশ থেকে নির্বিঘ্নে আরামদায়ক ভ্রমণের মূল কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠবে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। দেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে কুয়াকাটা পৌঁছাতে কোনো যানজটের বিড়ম্বনা থাকবে না।

পায়রা সেতু প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, এই সেতু নির্মাণে ১ হাজার ৪৪৭ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। এর মধ্যে ৮২ শতাংশ অর্থায়নে ছিল কুয়েত ফান্ড ফর আরব ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড এ্যাপেক্স ফান্ড। চট্টগ্রামের কর্ণফুলী সেতুর আদলেই এক্সট্রা ডোজ ক্যাবল পদ্ধতিতে পায়রা সেতু নির্মাণ করা হয়েছে।

সেতুতে থাকা ১৬৭টি বক্স গার্ডার সেগমেন্টের কারণে দূর থেকে দেখলে মনে হবে এটি শূন্যে ভেসে আছে। ১ হাজার ৪৭০ মিটার দৈর্ঘ্য সেতুটি নির্মাণে বসানো হয়েছে ১৩০ মিটার দৈর্ঘ্যের বেশ কিছু পাইল। এসব পাইল পদ্মা সেতুতে বসানো পাইলের থেকেও অধিক ক্ষমতাসম্পন্ন বলে জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক। ৩২টি স্প্যানের মূল সেতুটি বিভিন্ন মাপের ৫৫টি টেস্ট পাইলসহ ১০টি পিয়ার পাইল ও পিয়ার ক্যাপের ওপর নির্মিত।

সেতু নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক প্রকৌশলী আব্দুল হালিম বলেন, ‘সর্বোচ্চ জোয়ারেও নদীর উপরিভাগ থেকে ১৮.৩০ মিটার উঁচুতে থাকবে এ সেতুটি। ৪ লেন বিশিষ্ট এই সেতুর উভয় পাশে নির্মিত হয়েছে ১ হাজার ২৬৮ মিটার দৈর্ঘ্যের অ্যাপ্রোচ সড়ক। সেতুতে মনোরম আলোকসজ্জা করা হয়েছে।

সেতুর আলোতে ঝলমল করছে পায়রা নদী সংলগ্ন এলাকা। বাংলাদেশে এই প্রথম পায়রা সেতুতে বসানো হয়েছে হেলথ মনিটরিং সিস্টেম। ভূমিকম্প, বজ্রপাত এবং ওভারলোডেড গাড়ির ক্ষেত্রে এই সিস্টেম আগাম সংকেত দেবে। ফলে বড় ধরনের ক্ষতি থেকে রক্ষা পাবে সেতুটি।’

৩ দফা সময় বাড়ানোর ফলে সেতুটি নির্মাণে সময় লেগেছে ৮ বছর। এ প্রসঙ্গে প্রকৌশলী বলেন, ‘প্রথমত অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণে জমি অধিগ্রহণ নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছিল। নদী শাসনের ক্ষেত্রেও বেশ কিছু জটিলতা ছিল।

এখানে জয়েন্ট ভেঞ্চারে সেতু নির্মাণে লিডিং ঠিকাদার চীনের লো ঝিয়াং কোম্পানি। সেতুর অধিকাংশ মালামালও এসেছে চীন থেকে। করোনার কারণে মালামাল আসায় জটিলতা ছিল। এখন আমরা সব কাজ শেষ করেছি। ২৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে সেতুটি উদ্বোধন করবেন।’

সেতুতে যানবাহন পারাপারে যে টোল নির্ধারণ করা হয়েছে তা ফেরির তুলনায় কয়েকগুন বেশি বলে দাবি করছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, যেখানে ফেরিতে যাত্রীবাহী বাস পার হতে ৫০ টাকা লাগতো, সেখানে সেতুর টোল ধরা হয়েছে ৩৪০ টাকা। অন্যান্য যানবাহনের ক্ষেত্রেও একই হারে বাড়ানো হয়েছে টাকার অঙ্ক।

পটুয়াখালী মিনিবাস মালিক সমিতির সদস্য আলী হোসেন বলেন, ‘২৫ আসনের একটি মিনিবাসে বরিশাল থেকে পটুয়াখালী যেতে ভাড়া নেওয়া হয় মাথাপিছু ৮০ টাকা।

এই পথে আরও দুটি সেতু রয়েছে। ওই দুই সেতুতে ৫০ টাকা করে টোল আদায় করা হয়। সঙ্গে রয়েছে কর্মচারীর বেতন এবং জ্বালানি খরচ। পায়রা সেতুতে ৩৪০ টাকা টোল দিতে হলে লোকসানের মুখে পড়বেন বাস মালিকরা। তাই টোলের হার পুন:নির্ধারণের দাবি জানাচ্ছি।’

পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা কাজী আলমগীর বলেন, ‘পায়রা সেতু চালু হলে দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। বরিশাল থেকে মাত্র দুই-আড়াই ঘণ্টায় পৌঁছে যাওয়া যাবে পায়রাবন্দর ও সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটায়।

ফলে পর্যটন শিল্প সংশ্লিষ্ট অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে। পটুয়াখালীসহ আশপাশের জেলাগুলো যোগাযোগ ব্যবস্থায় আরও সমৃদ্ধ হয়ে উঠবে। এর কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।

পটুয়াখালী চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি ও পৌর মেয়র মহিউদ্দিন আহম্মেদ বলেন, সেতু উদ্বোধন করা হলে প্রগতিশীল জেলায় রূপ নেবে পটুয়াখালী। ঢাকাসহ সারাদেশের সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোর যোগাযোগ সহজ হবে।

পটুয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য মুহিব্বুর রহমান মুহিব বলেন, পদ্মা সেতুর পর কর্ণফুলী সেতুর আদলে পায়রা সেতু নির্মাণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাহসিকতা ও প্রগতিশীলতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। ২৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী সেতু উদ্বোধন করবেন।

প্রসঙ্গত, কুয়াকাটা থেকে পটুয়াখালী পৌঁছাতে ৩টি ফেরি পার হতে হতো। আর পটুয়াখালী থেকে বরিশাল পৌঁছাতে একইভাবে আরও ৩টি ফেরি পার হতে হতো। কুয়াকাটা থেকে প্রায় ৮-৯ ঘন্টা সময় লেগে যেতো বরিশাল পৌঁছাতে।

২০১৩ সালের ১৯ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পটুয়াখালী-বরিশাল মহাসড়কের লেবুখালী ফেরিঘাটের দক্ষিণ পাশে এই সেতুর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। ২০১৬ সালের ২৪ জুলাই সেতুর কাজ শুরু হয়। নানা জটিলতা পেরিয়ে এখন শুধু উদ্বোধনের অপেক্ষায় পায়রা সেতু।

 

ট্যাগস

উদ্বোধনের অপেক্ষায় দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের স্বপ্নের পায়রা সেতু

আপডেট সময় ০৬:০১:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অক্টোবর ২০২১

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : কর্ণফুলী সেতুর আদলে নির্মাণ করা হয়েছে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের স্বপ্নের পায়রা সেতু।  ২৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি এ সেতুর উদ্বোধন করবেন। ১৮ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সহকারী সচিব-১ ইসমাত মাহমুদা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

সেতু উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে এলাকায় উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করে বিভিন্ন পোস্ট দিয়েছেন সাধারণ জনগণ।

পায়রা নদীর ওপরে নির্মিত এই সেতু উদ্বোধন করলে ঢাকাসহ সারা দেশ থেকে নির্বিঘ্নে আরামদায়ক ভ্রমণের মূল কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠবে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। দেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে কুয়াকাটা পৌঁছাতে কোনো যানজটের বিড়ম্বনা থাকবে না।

পায়রা সেতু প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, এই সেতু নির্মাণে ১ হাজার ৪৪৭ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। এর মধ্যে ৮২ শতাংশ অর্থায়নে ছিল কুয়েত ফান্ড ফর আরব ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড এ্যাপেক্স ফান্ড। চট্টগ্রামের কর্ণফুলী সেতুর আদলেই এক্সট্রা ডোজ ক্যাবল পদ্ধতিতে পায়রা সেতু নির্মাণ করা হয়েছে।

সেতুতে থাকা ১৬৭টি বক্স গার্ডার সেগমেন্টের কারণে দূর থেকে দেখলে মনে হবে এটি শূন্যে ভেসে আছে। ১ হাজার ৪৭০ মিটার দৈর্ঘ্য সেতুটি নির্মাণে বসানো হয়েছে ১৩০ মিটার দৈর্ঘ্যের বেশ কিছু পাইল। এসব পাইল পদ্মা সেতুতে বসানো পাইলের থেকেও অধিক ক্ষমতাসম্পন্ন বলে জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক। ৩২টি স্প্যানের মূল সেতুটি বিভিন্ন মাপের ৫৫টি টেস্ট পাইলসহ ১০টি পিয়ার পাইল ও পিয়ার ক্যাপের ওপর নির্মিত।

সেতু নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক প্রকৌশলী আব্দুল হালিম বলেন, ‘সর্বোচ্চ জোয়ারেও নদীর উপরিভাগ থেকে ১৮.৩০ মিটার উঁচুতে থাকবে এ সেতুটি। ৪ লেন বিশিষ্ট এই সেতুর উভয় পাশে নির্মিত হয়েছে ১ হাজার ২৬৮ মিটার দৈর্ঘ্যের অ্যাপ্রোচ সড়ক। সেতুতে মনোরম আলোকসজ্জা করা হয়েছে।

সেতুর আলোতে ঝলমল করছে পায়রা নদী সংলগ্ন এলাকা। বাংলাদেশে এই প্রথম পায়রা সেতুতে বসানো হয়েছে হেলথ মনিটরিং সিস্টেম। ভূমিকম্প, বজ্রপাত এবং ওভারলোডেড গাড়ির ক্ষেত্রে এই সিস্টেম আগাম সংকেত দেবে। ফলে বড় ধরনের ক্ষতি থেকে রক্ষা পাবে সেতুটি।’

৩ দফা সময় বাড়ানোর ফলে সেতুটি নির্মাণে সময় লেগেছে ৮ বছর। এ প্রসঙ্গে প্রকৌশলী বলেন, ‘প্রথমত অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণে জমি অধিগ্রহণ নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছিল। নদী শাসনের ক্ষেত্রেও বেশ কিছু জটিলতা ছিল।

এখানে জয়েন্ট ভেঞ্চারে সেতু নির্মাণে লিডিং ঠিকাদার চীনের লো ঝিয়াং কোম্পানি। সেতুর অধিকাংশ মালামালও এসেছে চীন থেকে। করোনার কারণে মালামাল আসায় জটিলতা ছিল। এখন আমরা সব কাজ শেষ করেছি। ২৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে সেতুটি উদ্বোধন করবেন।’

সেতুতে যানবাহন পারাপারে যে টোল নির্ধারণ করা হয়েছে তা ফেরির তুলনায় কয়েকগুন বেশি বলে দাবি করছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, যেখানে ফেরিতে যাত্রীবাহী বাস পার হতে ৫০ টাকা লাগতো, সেখানে সেতুর টোল ধরা হয়েছে ৩৪০ টাকা। অন্যান্য যানবাহনের ক্ষেত্রেও একই হারে বাড়ানো হয়েছে টাকার অঙ্ক।

পটুয়াখালী মিনিবাস মালিক সমিতির সদস্য আলী হোসেন বলেন, ‘২৫ আসনের একটি মিনিবাসে বরিশাল থেকে পটুয়াখালী যেতে ভাড়া নেওয়া হয় মাথাপিছু ৮০ টাকা।

এই পথে আরও দুটি সেতু রয়েছে। ওই দুই সেতুতে ৫০ টাকা করে টোল আদায় করা হয়। সঙ্গে রয়েছে কর্মচারীর বেতন এবং জ্বালানি খরচ। পায়রা সেতুতে ৩৪০ টাকা টোল দিতে হলে লোকসানের মুখে পড়বেন বাস মালিকরা। তাই টোলের হার পুন:নির্ধারণের দাবি জানাচ্ছি।’

পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা কাজী আলমগীর বলেন, ‘পায়রা সেতু চালু হলে দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। বরিশাল থেকে মাত্র দুই-আড়াই ঘণ্টায় পৌঁছে যাওয়া যাবে পায়রাবন্দর ও সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটায়।

ফলে পর্যটন শিল্প সংশ্লিষ্ট অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে। পটুয়াখালীসহ আশপাশের জেলাগুলো যোগাযোগ ব্যবস্থায় আরও সমৃদ্ধ হয়ে উঠবে। এর কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।

পটুয়াখালী চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি ও পৌর মেয়র মহিউদ্দিন আহম্মেদ বলেন, সেতু উদ্বোধন করা হলে প্রগতিশীল জেলায় রূপ নেবে পটুয়াখালী। ঢাকাসহ সারাদেশের সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোর যোগাযোগ সহজ হবে।

পটুয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য মুহিব্বুর রহমান মুহিব বলেন, পদ্মা সেতুর পর কর্ণফুলী সেতুর আদলে পায়রা সেতু নির্মাণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাহসিকতা ও প্রগতিশীলতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। ২৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী সেতু উদ্বোধন করবেন।

প্রসঙ্গত, কুয়াকাটা থেকে পটুয়াখালী পৌঁছাতে ৩টি ফেরি পার হতে হতো। আর পটুয়াখালী থেকে বরিশাল পৌঁছাতে একইভাবে আরও ৩টি ফেরি পার হতে হতো। কুয়াকাটা থেকে প্রায় ৮-৯ ঘন্টা সময় লেগে যেতো বরিশাল পৌঁছাতে।

২০১৩ সালের ১৯ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পটুয়াখালী-বরিশাল মহাসড়কের লেবুখালী ফেরিঘাটের দক্ষিণ পাশে এই সেতুর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। ২০১৬ সালের ২৪ জুলাই সেতুর কাজ শুরু হয়। নানা জটিলতা পেরিয়ে এখন শুধু উদ্বোধনের অপেক্ষায় পায়রা সেতু।