খাগড়াছড়িতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের গুলিতে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের (পিসিপি) সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি বিপুল চাকমাসহ চারজন নিহত হয়েছেন। তারা সবাই পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বিরোধী ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) নেতাকর্মী।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) রাতে সীমান্তঘেঁষা পানছড়ির লোগাঙ ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের অনিলপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ২০১৮ সালের স্বনির্ভর হত্যাকাণ্ডের পর পাহাড়ে এটিই সবচেয়ে বড় ঘটনা। নিহতরা হলেন পিসিপির সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি বিপুল চাকমা, সহ-সভাপতি সুনীল ত্রিপুরা, যুব ফোরামের নেতা লিটন চাকমা ও ইউপিডিএফের সদস্য রুহিন ত্রিপুরা।
নিহতদের মধ্যে বিপুল চাকমা চেঙ্গী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের করল্যাছড়ি বুদ্ধধন পাড়া, সুনীল ত্রিপুরা মাটিরাঙ্গা উপজেলার বড়নাল ইউনিয়নের সুরেন্দ্র রোয়াজা হেডম্যান পাড়া, লিটন চাকমা খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার ভাইবোনছড়া ইউনিয়নের দ্রোনচার্য্য কার্বারি পাড়া এবং রুহিন বিকাশ ত্রিপুরা পানছড়ির উপল্টাছড়ি ইনিয়নের পদ্মিনী পাড়ার বাসিন্দা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ইউপিডিএফের জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা বলেন, আজ ওই এলাকায় গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের উদ্যোগে যুব সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। সম্মেলনে যোগ দিতে ওই চার নেতাকর্মী সেখানে অবস্থান করছিলেন। রাতে বাড়িতে ঢুকে তাদের হত্যা করা হয়েছে।
এ ঘটনায় ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিককে ‘নব্যমুখোশধারী’ আখ্যায়িত করে নিন্দা প্রকাশ ও হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেন তিনি। এ ঘটনায় ইউপিডিএফের নেতা হরি কমল চাকমা ও নীতিদত্ত চাকমাসহ তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানান অংগ্য মারমা।
তবে ঘটনার সঙ্গে নিজেদের জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফের সভাপতি শ্যামল চাকমা। পানছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিউল আজম বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি চারজন নিহত হওয়ার ঘটনা আমাকে জানিয়েছেন। আমরা সেখানে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।