দিনাজপুর প্রতিনিধি: দিনাজপুরের খানসামায় গোয়েন্দা পুলিশের পরিচয় দিয়ে দুই নারী ও তিন পুরুষকে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় দুইজনকে আটক করেছেন স্থানীয়রা। পরে তাদেরকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বুধবার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় চিরিরবন্দর উপজেলার বেকীপুল বাজারে তাদের আটক করা হয়।
আটকরা হলেন-খানসামা উপজেলার আঙ্গারপাড়া গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে আনারুল ইসলাম (৩৫) ও একই উপজেলার উত্তমপাড়ার জতীশ চন্দ্রের ছেলে নিতাই রায় (৩০)।
প্রতারণার শিকার ব্যক্তিরা হলেন-ঢাকার ৫১ নম্বর ওয়ার্ডের কামরাঙ্গীচর এলাকার মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে লিটন মুন্সি (৫০), মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলার উত্তর রঞ্জনপুর গ্রামের স্বপনের ছেলে হৃদয় হোসেন (২০), ঢাকার দোহার থানার বিক্রমপুর গ্রামের সোহেলের কন্যা মোছা. ময়না (২০), চাঁদপুর জেলার মতলবপুর থানার একলাছপরা গ্রামের আব্দুল আজিজের স্ত্রী মোছা. সিমা (৪০)। অপর একজনের নাম ও পরিচয় পাওয়া যায়নি।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, ডলার ও কষ্টি পাথরের মূর্তিসহ বিভিন্ন মূল্যবান জিনিস বিক্রির প্রলোভনে ২/৩ দিন আগে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে দুজন নারী ও তিনজন পুরুষ খানসামা উপজেলার আঙ্গারপাড়া এলাকার শামীম নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে আসে। বুধবার বিকেলে মোটরসাইকেলে করে ছয়জন ব্যক্তি ওই বাড়িতে এসে নিজেদেরকে গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তা বলে পরিচয় দেয়। এ সময় অবৈধ কার্যক্রমের অভিযোগে ওই পাঁচজনকে নিজেদের মোটরসাইকেলে তুলে নেয়। পাশাপাশি এক লাখ ৩০ হাজার টাকাও হাতিয়ে নেয় তারা।
ভুক্তভোগীরা জানান, থানায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে মোটরসাইকেলে তুললেও চিরিরবন্দর উপজেলার বেকীপুল বাজার এলাকায় ওই ছয়জনের মধ্যে চারজন মোটরসাইকেল নিয়ে সটকে পড়ে। বাকি দুজনও পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় বিষয়টি আঁচ করতে পেরে ভুক্তভোগীরা দুই মোটরসাইকেল আরোহীকে আটক করে। পেরে স্থানীয়রা তাদেরকে চিরিরবন্দর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
চিরিরবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুব্রত কুমার সরকার জানান, স্থানীয়রা দুজনকে আটক করে চিরিরবন্দর থানায় অবহিত করে। পরে থানা পুলিশ তাদেরকে আটক করে খানসামা থানায় হস্তান্তর করে।
খানসামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন জানান, দুজন নারী ও তিনজন পুরুষ ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে এখানে এসেছিলেন ডলার, মূর্তি কিংবা ওই জাতীয় কিছু কেনার জন্য। এখানে এসে তারা প্রতারণার শিকার হয়েছেন। যদিও তারা বলছেন যে তারা গরু কিনতে এখানে এসেছেন। কিন্তু বিষয়টি বিশ্বাসযোগ্য নয়। এ ঘটনায় ওই দুজনসহ আরও ৫/৬ জনকে আসামি করে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান তিনি।