ক্রীড়া ডেক্স : চোখের জলে বার্সেলোনাকে বিদায় জানিয়ে প্যারিস সেইন্ট জার্মেইঁতে (পিএসজি) যোগ দিয়েছেন লিওনেল মেসি সেই কবে।
পিএসজি সমর্থকরা চাতকের ন্যায় অপেক্ষায় ছিল ফ্রেঞ্চ লিগে মেসির জাদুকরী খেলা দেখার। কিন্তু মাঠের পারফরম্যান্সে উজ্জ্বল হতে পারেননি ততটা। এর মধ্যেই ছিটকে গিয়েছিলেন ইনজুরিতে। খেলতে পারেননি লিগ ওয়ানের দুইটি ম্যাচ।
শঙ্কা ছিল চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে খেলা নিয়েও। কিন্তু পিএসজি সমর্থকদের জন্য সুখবর আসে সোমবারই। সাবেক গুরু পেপ গার্দিওলার বিপক্ষে লড়াইয়ে নামবেন মেসি।
মঙ্গলবার রাতের ম্যানসিটির বিপক্ষের ম্যাচের শুরুর একাদশেই মেসিকে রেখেছেন কোচ মাওরোসিও পচেত্তিনো।আর ২০ হাজার কোটি টাকার হাই ভোল্টেজ ম্যাচেই গোলের অভিষেক ঘটল মেসির।
ফরাসি ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপ্পের সঙ্গে দারুণ বোঝাপড়ায় গোল উদযাপনে মেতে উঠলেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার মেসি।
তার এই গোলে ঘরের মাঠে পাক দি ফ্রাঁসে ম্যানসিটির বিপক্ষে ২-০ গোলের দারুণ জয় তুলে নিল পিএসজি।
দলকে অবশ্য লিড এনে দেন পিএসজির গত ম্যাচের স্কোরার ইদ্রিস গেইয়ে। ম্যাচ শুরুর মাত্র ৮ মিনিটের মাথায় দারুণ এক গোল করেন ইদ্রিসা।
আশরাফ হাকিমির পাস ধরে বাইলাইন থেকে কাটব্যাক করলেন এমবাপ্পে। নেইমার মিস করলেও পেনাল্টি স্পটের কাছে বল পেয়ে বিনা বাধায় জোরালা উঁচু শটে ঠিকানা খুঁজে নিলেন ইদ্রিসা।
ওই এক গোলেই এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করে পিএসজি। দ্বিতীয়ার্ধে নেমে বেশখানিকটা সময় আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ দেখা যায়। ৭৪তম মিনিটে আসে কাঙ্ক্ষিত সেই ক্ষণ।
বল ধরে সঙ্গে লেগে থাকা ডিফেন্ডার এমেরিক লাপোর্তকে এড়িয়ে ডি-বক্সে এমবাপ্পেকে পাস দিলেন মেসি। ফরাসি তারকা প্রথম ছোঁয়ায় ফ্লিকে ফেরত পাঠালেন। সেই বল নিয়ে একজন ডিফেন্ডারকে এড়িয়ে সোজা জালে বল জড়িয়ে দেন মেসি।
রেফারির শেষ বাঁশিতে ২-০ গোলের ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে পিএসজি।
বল দখল, পাসিং ও আক্রমণে অবশ্য আধিপত্য বিস্তার করেছে ম্যানসিটি। ম্যাচে ১৮টি শট নিয়েছে গার্দিওলার শিষ্যরা। যার সাতটি ছিল লক্ষ্যে। কিন্তু পিএসজির গোলরক্ষক ও রক্ষণভাগের দৃঢ়তার জালের দেখা পায়নি কেউ।
পিএসজি নিতে পেরেছে মাত্র ছয়টি শট, যার তিনটি লক্ষ্যে। আর এর দুটিই জালে জড়িয়েছে।