স্টাফ রিপোর্টার, নওগাঁঃ চলছে শরৎকাল, আর মাত্র কদিন পর থেকেই কনকনে শীতের আমেজ অনুভুত হবে। প্রকৃতিতে দেখা মেলবে কখনো হালকা আবার কখনো ঘন কুয়াশা। আর এই আগাম শীতের সবজি শিম চাষ করে বেশ লাভবান হচ্ছেন নওগাঁর চাষীরা। বাজারে চাহিদা থাকায় মিলছে ভাল দর।
এবার আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় প্রথম দিকেই সীমের ভাল ফলণ পাচ্ছেন কৃষকেরা ।
তবে ভেজাল বালাইনাশক প্রয়োগে আর্থিক ক্ষতি রোধে প্রশাসনের তদারকির দাবী চান সবজি চাষীরা । অন্যদিকে কৃষি বিভাগ বলছে বাণিজ্যক ভাবে লাভবান হওয়া যায় এমন সবজি চাষে সব ধরণের সহযোগিতা দিতে কাজ করছেন তারা ।
বিস্তৃত মাঠ জুড়ে দৃষ্টি নন্দন শোভা ছড়াচ্ছে শীতের আগাম সবজি শিমের ফোটা ফুল গুলো। গঞ্জের হাটে বিক্রির জন্য ভোর সকালে এসব সবজি ক্ষেত থেকে সবজি তুলতে ব্যস্ততা বাড়ে প্রান্তিক কৃষক কৃষানীর।
নওগাঁর কৃর্তিপুর, বর্ষাইল, গোবিন্দ পুর, হাপনিয়া এলাকার অন্তত অর্ধমত গ্রাম জুড়ে চাষ করা হয় নানা জাতের সবজি । তবে বাজারে ভাল দর পাওয়ায়র আশায় এসব এলাকার চাষীরা জুন মাসের শেষ দিকে তৈরি করে শিমের ক্ষেত । এসব ক্ষেত থেকে সেপ্টেম্বরে শুরুতেই তোলা হয় শিম । স্থানীয় শিম চাষীরা বলছেন এবার বেশ চড়া দামে বিক্রি হওয়ায় লাভবান হচ্ছেন।
বিশাল এলাকা জুড়ে চাষ করা সবজি চাষাবাদ কে ঘিরে রয়েছে নাম সর্বস্ব কীটনাশক কোম্পানীর তৎপরতা । এসব ক্ষেতে মাঝে মধ্যেই ভেজালে কীটনাষক প্রয়োগে ক্ষতির মুখে পড়ের চাষীরা ।
এ ব্যপারে নওগাঁ সদর কৃষি কর্মকর্তা ড. মো: আনোয়ারুল ইসলাম এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, বাণিজ্যক ভাবে লাভবান হওয়া যায় এমন ফসল চাষাবাদে কৃষকদের পাশে থেকে সব ধরণের সহযোগিতা দিতে কাজ করছে কৃষি বিভাগ। এবং মাঠ পর্যায়ে যেন নামি-বেনামী কম্পানির ঔষধ ব্যবহার করে কৃষকেরা ক্ষতির সম্মুক্ষিন না হন সে বিষয়ে কড়া নজরদারীও রয়েছে তাদের।
কৃষি সম্প্রসরণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, চলতি মওসুমে জেলায় ৩০ হাজার হেক্টর জমিতে সবজি চাষ করা হয়েছে । এর মধ্যে আগাম সীম রয়েছে প্রায় দের হাজার হেক্টর জমিতে।