ঢাকা ০৯:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
Logo আদানির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি Logo ইউক্রেনের প্রথম আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল রাশিয়া Logo সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়াকে সম্ভাষণ জানালেন ড. ইউনূস Logo সুমন হত্যা মামলার প্রধান আসামি বুলবুল গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার Logo সাফ চ্যাম্পিয়ন তিন নারী খেলোয়াড়কে সাতক্ষীরায় গণসংবর্ধনা Logo আপত্তিকর ভিডিও ধারণের অভিযোগ তিশার Logo আমরা সব রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রাখব : প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস Logo নতুন আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব পেলেন বাহারুল আলম Logo সিরিয়ার ঐতিহ্যবাহী পালমিরা শহরে ইসরায়েলি ভয়াবহ হামলায়, নিহত ৩৬, আহত ৫০ Logo ঢাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের নির্দেশ দেওয়ায় চালকদের বিক্ষোভ

অতিভারী বর্ষণের আভাস

আবহাওয়া ডেস্ক :  টানা তিনদিন ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে অতিভারী বর্ষণ হচ্ছে, যা অব্যাহত থাকবে। ফলে চট্টগ্রামে পাহাড় ধসের শঙ্কাও দেখা দিয়েছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বুধবার (২৮ জুলাই) খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগে অতিভারী বর্ষণ হয়েছে।

তবে চট্টগ্রামে বিভাগে মৌসুমের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড করা হয়েছে। টেকনাফে ১৯৮ মিলিমিটার, চট্টগ্রামে ১২৯ মিলিমিটার, কক্সবাজারে ১১৯ মিলিমিটার, সন্দ্বীপে ১১২ মিলিমিটার, হাতিয়ায় ১০৭ মিলিমিটার বর্ষণ হয়েছে। বিভাগের অন্যান্য স্থানেও মাঝারি থেকে মাঝারি ধরণের ভারী বর্ষণ হয়েছে।

এছাড়া বরিশালের পটুয়াখালীতে ১৯০ মিলিমিটার, খেপুপাড়ায় ১২১ মিলিমিটার; খুলনার মোংলায় ১২৩ মিলিমিটার বর্ষণ হয়েছে। ৮৯ মিলিমিটারের বেশি বর্ষণ হলেই তাকে অতিভারী বর্ষণ বলা হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) দুপুর পর্যন্ত ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী (৪৪-৮৮ মি.মি.) থেকে অতিভারী (> ৮৯ মি.মি.) বর্ষণ হতে পারে।

অতিভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের শঙ্কা রয়েছে।

এদিকে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি বর্তমানে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সুস্পষ্ট লঘুচাপ হিসেবে অবস্থান করছে।

এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে ও গভীর সঞ্চারণশীল মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা, উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

এজন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

এই অবস্থায় উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত দেওয়া এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, লঘুচাপ ও মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

ঢাকায় দক্ষিণ/দক্ষিণপূর্ব দিক থেকে এ সময় ঘন্টায় বাতাসের গতিবেগ থাকবে ১০-১৫ কিমি, যা অস্থায়ীভবে দমকায় ঘণ্টায় ৩০-৪০ কিমিতে উঠে যেতে পারে।

শুক্রবার পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের বর্তমান প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। বর্ধিত পাঁচ বৃষ্টিপাত প্রবণতা হ্রাস পাবে।

বুধবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে সৈয়দপুরে, ৩৬ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

ট্যাগস

আদানির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

অতিভারী বর্ষণের আভাস

আপডেট সময় ১২:৩৩:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ জুলাই ২০২১

আবহাওয়া ডেস্ক :  টানা তিনদিন ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে অতিভারী বর্ষণ হচ্ছে, যা অব্যাহত থাকবে। ফলে চট্টগ্রামে পাহাড় ধসের শঙ্কাও দেখা দিয়েছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বুধবার (২৮ জুলাই) খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগে অতিভারী বর্ষণ হয়েছে।

তবে চট্টগ্রামে বিভাগে মৌসুমের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড করা হয়েছে। টেকনাফে ১৯৮ মিলিমিটার, চট্টগ্রামে ১২৯ মিলিমিটার, কক্সবাজারে ১১৯ মিলিমিটার, সন্দ্বীপে ১১২ মিলিমিটার, হাতিয়ায় ১০৭ মিলিমিটার বর্ষণ হয়েছে। বিভাগের অন্যান্য স্থানেও মাঝারি থেকে মাঝারি ধরণের ভারী বর্ষণ হয়েছে।

এছাড়া বরিশালের পটুয়াখালীতে ১৯০ মিলিমিটার, খেপুপাড়ায় ১২১ মিলিমিটার; খুলনার মোংলায় ১২৩ মিলিমিটার বর্ষণ হয়েছে। ৮৯ মিলিমিটারের বেশি বর্ষণ হলেই তাকে অতিভারী বর্ষণ বলা হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) দুপুর পর্যন্ত ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী (৪৪-৮৮ মি.মি.) থেকে অতিভারী (> ৮৯ মি.মি.) বর্ষণ হতে পারে।

অতিভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের শঙ্কা রয়েছে।

এদিকে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি বর্তমানে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সুস্পষ্ট লঘুচাপ হিসেবে অবস্থান করছে।

এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে ও গভীর সঞ্চারণশীল মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা, উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

এজন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

এই অবস্থায় উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত দেওয়া এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, লঘুচাপ ও মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

ঢাকায় দক্ষিণ/দক্ষিণপূর্ব দিক থেকে এ সময় ঘন্টায় বাতাসের গতিবেগ থাকবে ১০-১৫ কিমি, যা অস্থায়ীভবে দমকায় ঘণ্টায় ৩০-৪০ কিমিতে উঠে যেতে পারে।

শুক্রবার পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের বর্তমান প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। বর্ধিত পাঁচ বৃষ্টিপাত প্রবণতা হ্রাস পাবে।

বুধবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে সৈয়দপুরে, ৩৬ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।