ঢাকা ০৮:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সুনামগঞ্জে পানিতে পরে দুই ভাই নিখোঁজ

এরপর খায়রুল ফিরে আসতে দেরি করায় মুস্তফা মিয়া তাকে আনতে বড় ছেলে মেরাজুলকে পাঠান। প্রায় আধঘণ্টা পর দুই ছেলেই ফিরে না আসায় তিনি নিজেই নদীর পাড়ে যান।
সেখানে গিয়ে ছেলেদের দেখতে না পেয়ে আশপাশে থাকা লোকজনকে জিজ্ঞাসা করেন মুস্তফা। পরে আত্মীয়স্বজনের বাড়িসহ আশপাশের বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও তাদের দুজনের সন্ধান পাওয়া যায়নি। এতে স্বজনেরা ধারণা করছেন, দুই ভাই নদীর পানিতে পড়ে ডুবে গেছে।

এরপর আজ সকালে মুস্তফা মিয়া বিষয়টি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এরশাদ মিয়াকে জানালে তিনি পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনকে ওই দুই শিশুর নিখোঁজ থাকার বিষয়টি জানান।

পরে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সফর উদ্দিন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাদিউর রহিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

খবর পেয়ে বেলা ১১টা থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল উদ্ধার কাজ শুরু করে। এরশাদ মিয়া বলেন, দুই শিশু পানিতে পড়ে নিখোঁজ হয়েছে, সেটি সরাসরি কেউ দেখেনি। পরিবার ও অন্যদের ধারণা থেকেই নদীতে খোঁজা হচ্ছে।

সুনামগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা নিউটন দাশ তালুকদার জানান, সকাল থেকেই তাঁরা উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেছেন। পরিবার ও স্থানীয় লোকজনের দেখানো স্থানগুলোতে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন তাঁরা। তবে বেলা তিনটা পর্যন্ত তাদের সন্ধান মেলেনি।

বিশ্বম্ভরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের জানানোর পর সেখানে পুলিশের একটি দল যায়। পুলিশ সদস্যরা সেখানে অবস্থান করে উদ্ধার তৎপরতায় সহযোগিতা করছেন।

বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিউর রহিম জানান, ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদের সাহায্যে শিশুদের উদ্ধারের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে।’

ট্যাগস

সুনামগঞ্জে পানিতে পরে দুই ভাই নিখোঁজ

আপডেট সময় ০৬:৩২:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুন ২০২১
এরপর খায়রুল ফিরে আসতে দেরি করায় মুস্তফা মিয়া তাকে আনতে বড় ছেলে মেরাজুলকে পাঠান। প্রায় আধঘণ্টা পর দুই ছেলেই ফিরে না আসায় তিনি নিজেই নদীর পাড়ে যান।
সেখানে গিয়ে ছেলেদের দেখতে না পেয়ে আশপাশে থাকা লোকজনকে জিজ্ঞাসা করেন মুস্তফা। পরে আত্মীয়স্বজনের বাড়িসহ আশপাশের বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও তাদের দুজনের সন্ধান পাওয়া যায়নি। এতে স্বজনেরা ধারণা করছেন, দুই ভাই নদীর পানিতে পড়ে ডুবে গেছে।

এরপর আজ সকালে মুস্তফা মিয়া বিষয়টি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এরশাদ মিয়াকে জানালে তিনি পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনকে ওই দুই শিশুর নিখোঁজ থাকার বিষয়টি জানান।

পরে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সফর উদ্দিন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাদিউর রহিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

খবর পেয়ে বেলা ১১টা থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল উদ্ধার কাজ শুরু করে। এরশাদ মিয়া বলেন, দুই শিশু পানিতে পড়ে নিখোঁজ হয়েছে, সেটি সরাসরি কেউ দেখেনি। পরিবার ও অন্যদের ধারণা থেকেই নদীতে খোঁজা হচ্ছে।

সুনামগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা নিউটন দাশ তালুকদার জানান, সকাল থেকেই তাঁরা উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেছেন। পরিবার ও স্থানীয় লোকজনের দেখানো স্থানগুলোতে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন তাঁরা। তবে বেলা তিনটা পর্যন্ত তাদের সন্ধান মেলেনি।

বিশ্বম্ভরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের জানানোর পর সেখানে পুলিশের একটি দল যায়। পুলিশ সদস্যরা সেখানে অবস্থান করে উদ্ধার তৎপরতায় সহযোগিতা করছেন।

বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিউর রহিম জানান, ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদের সাহায্যে শিশুদের উদ্ধারের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে।’