ঢাকা ১২:৪৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ২৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ব্রাজিলের জয়রথ থামাল ইকুয়েডর

ক্রীড়া ডেক্স :কোপা আমেরিকায় টানা তিন ম্যাচ জিতে কোয়ার্টার ফাইনাল আগেই নিশ্চিত করেছিল ব্রাজিল। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে কলম্বিয়ার বিপক্ষে টানা দশম জয় পেয়েছিল তারা। ২০১৯ সালের নভেম্বরে আর্জেন্টিনার কাছে প্রীতি ম্যাচে হেরে যাওয়ার পর থেকে ছুটছিল তাদের জয়রথ।

দীর্ঘ দেড় বছরেরও বেশি সময় পর তাদের সেই জয়রথ থামাল ইকুয়েডর। রোববার (২৮ জুন) গয়ানিয়ায় ব্রাজিলকে ‘এ’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে ১-১ গোলে রুখে দিয়েছে তারা।

৩৭ মিনিটে এডার মিলিটাও-এর হেড থেকে দুর্দান্ত একটি গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় ব্রাজিল। বিরতির পর অ্যাঞ্জেল মেনা সমতা ফেরান। নেইমারহীন ব্রাজিল পরে আর জালের নাগাল পায়নি।

চার ম্যাচে তিন জয় ও এক ড্রয়ে ১০ পয়েন্ট সংগ্রহ করে কোয়ার্টার ফাইনালে পা রাখছে তারা। আর ড্র করেও চতুর্থ দল হিসেবে গ্রুপ থেকে ব্রাজিলের সঙ্গী ইকুয়েডর। একই দিন ভেনেজুয়েলাকে ১-০ গোলে হারিয়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় পেরু। কলম্বিয়া তিনে থেকে শেষ করেছে গ্রুপের লড়াই।

আগেই কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় নতুন চেহারার দল মাঠে নামান কোচ তিতে। নেইমার, থিয়াগো সিলভা, ফ্রেডরা ছিলেন বেঞ্চে। আগের ম্যাচ থেকে কেবল অধিনায়ক মারকুইনহোস ও গোলকিপার আলিসন ছিলেন প্রথম একাদশে।

এই দল নিয়েই এগিয়ে যায় ব্রাজিল। ৩৭ মিনিটে এভারটনের ক্রস থেকে অনেক উঁচুতে লাফিয়ে দুর্দান্ত হেডে লিড এনে দেন মিলিতাও। এর আগে গ্যাবি ও পাকুয়েতা গোলের সুযোগ তৈরি করেও সফল হতে পারেননি। ওই এক গোলই প্রথমার্ধে গড়ে দেয় দুই দলের পার্থক্য।

দ্বিতীয়ার্ধে দারুণ দলগত নৈপুণ্যে স্কোর সমান করে ইকুয়েডর। কর্নার থেকে ব্রাজিল বল বিপদমুক্ত করতে ব্যর্থ হলে দুটি হেড পাস থেকে মেনা করেন সমতাসূচক গোল। ১৭ মিনিটে কায়কেদো চোট নিয়ে মাঠ ছাড়লে নামেন তিনি।

তার ওই ৫৩ মিনিটের গোলেই পয়েন্ট ভাগাভাগি করে ইকুয়েডর। অবশ্য ভিনিসিউস জুনিয়র ও এমারসন গোল মিস না করলে ব্রাজিলের জন্য ভিন্ন গল্প হতে পারতো।

২০১৬ সালের কোপায় গোলশূন্য ড্রর পর দ্বিতীয়বার ইকুয়েডরের কাছে ধরা খেলো তিতের শিষ্যরা। আগামী ২ জুলাই নিল্তন অলিম্পিক সান্তোসের মাঠে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলবে ব্রাজিল, তাদের প্রতিপক্ষ ‘এ’ গ্রুপের চতুর্থ দল।

ট্যাগস

ব্রাজিলের জয়রথ থামাল ইকুয়েডর

আপডেট সময় ০১:১৮:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুন ২০২১

ক্রীড়া ডেক্স :কোপা আমেরিকায় টানা তিন ম্যাচ জিতে কোয়ার্টার ফাইনাল আগেই নিশ্চিত করেছিল ব্রাজিল। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে কলম্বিয়ার বিপক্ষে টানা দশম জয় পেয়েছিল তারা। ২০১৯ সালের নভেম্বরে আর্জেন্টিনার কাছে প্রীতি ম্যাচে হেরে যাওয়ার পর থেকে ছুটছিল তাদের জয়রথ।

দীর্ঘ দেড় বছরেরও বেশি সময় পর তাদের সেই জয়রথ থামাল ইকুয়েডর। রোববার (২৮ জুন) গয়ানিয়ায় ব্রাজিলকে ‘এ’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে ১-১ গোলে রুখে দিয়েছে তারা।

৩৭ মিনিটে এডার মিলিটাও-এর হেড থেকে দুর্দান্ত একটি গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় ব্রাজিল। বিরতির পর অ্যাঞ্জেল মেনা সমতা ফেরান। নেইমারহীন ব্রাজিল পরে আর জালের নাগাল পায়নি।

চার ম্যাচে তিন জয় ও এক ড্রয়ে ১০ পয়েন্ট সংগ্রহ করে কোয়ার্টার ফাইনালে পা রাখছে তারা। আর ড্র করেও চতুর্থ দল হিসেবে গ্রুপ থেকে ব্রাজিলের সঙ্গী ইকুয়েডর। একই দিন ভেনেজুয়েলাকে ১-০ গোলে হারিয়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় পেরু। কলম্বিয়া তিনে থেকে শেষ করেছে গ্রুপের লড়াই।

আগেই কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় নতুন চেহারার দল মাঠে নামান কোচ তিতে। নেইমার, থিয়াগো সিলভা, ফ্রেডরা ছিলেন বেঞ্চে। আগের ম্যাচ থেকে কেবল অধিনায়ক মারকুইনহোস ও গোলকিপার আলিসন ছিলেন প্রথম একাদশে।

এই দল নিয়েই এগিয়ে যায় ব্রাজিল। ৩৭ মিনিটে এভারটনের ক্রস থেকে অনেক উঁচুতে লাফিয়ে দুর্দান্ত হেডে লিড এনে দেন মিলিতাও। এর আগে গ্যাবি ও পাকুয়েতা গোলের সুযোগ তৈরি করেও সফল হতে পারেননি। ওই এক গোলই প্রথমার্ধে গড়ে দেয় দুই দলের পার্থক্য।

দ্বিতীয়ার্ধে দারুণ দলগত নৈপুণ্যে স্কোর সমান করে ইকুয়েডর। কর্নার থেকে ব্রাজিল বল বিপদমুক্ত করতে ব্যর্থ হলে দুটি হেড পাস থেকে মেনা করেন সমতাসূচক গোল। ১৭ মিনিটে কায়কেদো চোট নিয়ে মাঠ ছাড়লে নামেন তিনি।

তার ওই ৫৩ মিনিটের গোলেই পয়েন্ট ভাগাভাগি করে ইকুয়েডর। অবশ্য ভিনিসিউস জুনিয়র ও এমারসন গোল মিস না করলে ব্রাজিলের জন্য ভিন্ন গল্প হতে পারতো।

২০১৬ সালের কোপায় গোলশূন্য ড্রর পর দ্বিতীয়বার ইকুয়েডরের কাছে ধরা খেলো তিতের শিষ্যরা। আগামী ২ জুলাই নিল্তন অলিম্পিক সান্তোসের মাঠে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলবে ব্রাজিল, তাদের প্রতিপক্ষ ‘এ’ গ্রুপের চতুর্থ দল।