সভায় কৃষিমন্ত্রী আরও জানান, এক বছরের ব্যবধানে কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়নের এ হার ১৭ শতাংশ বেড়েছে। গত বছরের মে মাসে এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতির হার ছিল ৫৯ শতাংশ। ওইসময় মোট বরাদ্দ ১ হাজার ৭৬৩ কোটি টাকার মধ্যে ব্যয় হয়েছিল ১ হাজার ৪২ কোটি টাকা। আর ২০২০-২১ অর্থবছরের ৮৫টি প্রকল্পের মোট বরাদ্দ ২ হাজার ৩২২ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১ হাজার ৭৫২ কোটি টাকা ইতিমধ্যে ব্যয় হয়েছে।
চলমান করোনা মহামারি, ঘূর্ণিঝড়, বন্যাসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এডিপি বাস্তবায়নে এ সাফল্য অর্জিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেন আবদুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, করোনাকালে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সম্মুখসারির যোদ্ধাদের মতো মন্ত্রণালয়ের সব স্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন। তাঁদের পরিশ্রমে এ অর্জন সম্ভব হয়েছে।
সভায় কৃষিমন্ত্রী দক্ষিণাঞ্চলের লবণাক্ত জমিতে অতিদ্রুত লবণসহিষ্ণু ধানের জাত সম্প্রসারণের নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, ব্রি ধান–৬৭, ব্রি ধান–৯৭, ব্রি ধান–৯৯, বিনা-১০সহ অনেকগুলো লবণসহিষ্ণু ধানের জাত উদ্ভাবিত হয়েছে। এসব ধানের পর্যাপ্ত বীজ উৎপাদন করে তা কৃষকের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। আমাদের চাষের জমি কমছে, বিপরীতে মানুষ ও খাবারের চাহিদা বাড়ছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আরও নতুন জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে হবে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মেসবাহুল ইসলামের সঞ্চালনায় এ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা) আবদুর রউফ, অতিরিক্ত সচিব (পিপিসি) রুহুল আমিন তালুকদার, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ওয়াহিদা আক্তার প্রমুখ।
উল্লেখ্য, সভার শুরুতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের শুদ্ধাচার পুরস্কার ২০২০-২১ প্রদান করা হয়। এ বছর পুরস্কার পেয়েছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহ, উপসচিব এস এম ইমরুল হাসান ও কম্পিউটার অপারেটর আবদুল বাতেন সিরাজী।