নিয়ামতপুর, নওগাঁ প্রতিনিধিঃ বিশেষ কঠোর লকডাউনের ৫ দিনের মাথায় নওগাঁর নিয়ামতপুরে করোনা সংক্রমণ কিছুটা কমতে শুরু করেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ মোঃ তোফাজ্জল হোসেন বলেছেন, সবাই লকডাউন মেনে চললে এই হার আরো দ্রুত কমে যাবে।
এদিকে প্রশাসন বলছে করোনা সংক্রমণ আরো কমাতে বিশেষ লকডাউনের সময় আরো বাড়াতে হতে পারে। তবে সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে পরবর্তী সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এই সাত দিনে সংক্রমণের হার কেমন? বেশী, কম না স্থিতিশীল তার উপর সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হবে।
বিশেষ লকডাউনে নওগাঁর নিয়ামতপুরে শুধু সবজি বাজারগুলোকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে খোলা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। এই সুযোগে নিয়ামতপুর উপজেলায় চালু রাখা হয় গ্রামীণ হাটগুলো।
এদিকে এত কড়াকড়ির পরেও উপজেলার গ্রামাঞ্চলের মানুষ ইচ্ছেমত ঘুরাঘুরি করছে। দোকান পাট খোলা শুধু পুলিশ ও প্রশাসনের লোক দেখলেই সবকিছু বন্ধ হচ্ছে। তবে বিশেষ বিশেষ মোড় ও বাজারগুলোকে পুলিশ ও প্রশাসনের বিশেষ নজরদারী থাকার কারণে ঐসব স্থানে ঔষুধের দোকান ছাড়া সবকিছুই বন্ধ রয়েছে।
এরি মধ্যে লকডাউনের বিপক্ষে কথা বলা শুরু করেছে। অবশ্য বেশীর ভাগই সর্বাত্মক লকডাউনের পক্ষে মত দিয়েছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ মোঃ তোফাজ্জল হোসেন জানান, গত ২৫ মে থেকে লকডাউন শুধু হওয়ার সময় সংক্রমণের হার ছিল সর্বোচ্চ ৩৭ ভাগ। যা বর্তমানে এসেছে ২৭.৬৪ ভাগে। এই সাত দিনে তেমন কিছু বুঝা যাবে না। করোনা সংক্রণের হার কমাতে হলে লকডাউনের কোন বিকল্প নেই। সকলকে মাস্ক পরে ঘরের বাইরে বের হতে হবে এবং স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হবো না।
প্রশাসনিক কর্মকর্তারা বলছেন, সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে পরবর্তী সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এই সাত দিনে সংক্রমণের হার কেমন? বেশী, কম না স্থিতিশীল তার উপর সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হবে।
করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ৩ জুন থেকে এক সপ্তাহের বিশেষ কঠোর লকডাউন শুরু হয়।
উপজেলায় এ পর্যন্ত নমুনা সংগ্রহ হয় ১ হাজার ১শ ২৬ জনের, করোনা পজেটিভ ১শ ৮৭ জনের। রির্পোট আসেনি ৪২ জনের। করোনা পজেটিভে মৃত্যুবরণ করেন ২জন এবং উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করেন ২জন। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৮জন। উপজেলায় বর্তমানে করোনা রোগীর সংখ্যা ৭৯ জন।
গত ৭দিনে অর্থাৎ ৩০ মে হতে ৫ জুন পর্যন্ত নমুনা সংগ্রহ ১শ ২৩ জনের, পজেটিভ ৩৪ জনের, নমুনা সংগ্রহের অনুপাতে সংক্রমণের হার ২৭.৬৪ শতাংশ।