স্টাফ রিপোর্টার নওগাঁ: জমির মাঝ দিয়ে ৩ ফুট আকারে ড্রেন দিয়ে সেচ বাণিজ্য করতে না দেওয়ায় ৫ বিঘা পরিমান জমিতে সেচ বন্ধ করায় এবার বোরো মওসুমে ফলণ বঞ্চিত হয়েছেন নওগাঁর মোসলেম আলী নামের এক কৃষক ।
বিষয়টি নিয়ে প্রতিকার চাইতে গিয়ে ডিপ পরিচালনা কারীদের হামলা ও মারপিটের শিকার হয়েছেন তিনি । এ ঘটনায় বিচার চেয়ে আদালতে একটি মামলা করেছেন জমির মালিক মোসলেম আলী ।
মামলার এজার ও ভুক্তভুগীর অভিযোগে জানা যায়, নওগাঁ সদর উপজেলার চকরাম পুর শিয়াল পাড়া পিরোজপুর মৌজাধীন মাঠে বোরো চাষের জন্য ৫ বিঘা পরিমান জমিতে প্রস্ততি নিচ্ছিলেন কৃষক মোসলেম । দীর্ঘ দিন ধরে ফসল ফলানো ওই জমির মাঝ দিয়ে স্থানীয় গভীর নলকুপের অপারেটর মাজেদুল ড্রেন নির্মান করে বসে ।
জমির মাঝ বরাবর না করে জমির তলদেশ দিয়ে ড্রেন করার দাবী করে মোসলেম আলী । কিন্ত অপারেটর মাজেদুল জেদ করে বসে তিনি জমির মাঝ দিয়েই ড্রেন করবেন । এ অবস্থায় শান্তিপুর্ন সমাধার জন্য গত ২৬ জানুয়ারী স্থানীয় কালামের দোকানের সামনে বসার দিন ডাকা হয় ।
সেখানে মোসলেম সহ তার দু পত্র মামুনুর রশীদ ও শাহনেওয়াজ যায় । কিন্ত পুর্ব থেকেই মাজেদুল সহ বেশ কিছু লোকজন প্রস্তত রেখে সালিসে কথা বলার আগেই মারপিট শুরু করে । এ সময় মাজেদুল গংদের অতর্কিত হামলায় শাহ নেওয়াজ ও মামুনুর রহমান মারাত্বত জখম হয় । তাদের বাঁচাতে মমী নামের এক নারী এগিয়ে এলে তাকেও মারপিট করে শ্লীতাহানীর চেষ্টা চালায় মাজেদুলের লোকজন । পরে আহত মামুন ও শাহনেওয়াজ কে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ।
মোসলেম আলী জানায়, মারপিট সহ জমিতে সেচ নিয়ে পরে তারা আবারো শান্তি পুর্ন সমাধার ডাক দেয় কিন্ত প্রভাবশালী মাজেদুল গংরা তা এড়িয়ে আরো হিংসা বিবাদে জড়ানোর চেষ্টা চালায় । এ দিকে ঘটনার পর নানা ভাবে হুমকি দিতে থাকে মাজেদুল ও তার লোকজন । এ কারণে নিজেদের নিরাপত্তা চেয়ে ১৩ জন কে আসামী করে নওগাঁর ১ নং আমলী আদালতে গত মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে মামলা করে মোসলেম । মামলার বাদি মোসলেম জানান, যাদের আসামী করা হয়েছে তারা নানা অপরাধ কাজে জড়িত । এলাকার মানুষের শান্তি শৃংখলা নষ্ট করতে সব সময় মাজেদুল ইসলাম ধলু, আকবর হোসেন সহ আরো কয়েক জন জোট করে নানা অপরাধে জাড়িয়ে রয়েছেন ।
মামলার বাদি মোসলেম উদ্দিন জানান, যেখানে প্রধানমন্ত্রী বারবার বলেছেন এক ছটাক জমি ফেলে রাখা যাবে না সে অবস্থায় আমার ৫ বিঘা পরিমান জমিতে সেচ না দিয়ে ফসল করতে দিলো না মাজেদুল গংরা । এতে করে তিনি কয়েক লাখ টাকার ফসল বঞ্চিত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন ।